এইমাত্র
  • ঢাকা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান গ্রেপ্তার
  • আ.লীগ-ছাত্রলীগের নামে বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না: নাহিদ ইসলাম
  • মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে কী ঘটে, অবশেষে হাজার বছরের রহস্যের জট খুলল
  • কারখানার মালিক হওয়াই কি অপরাধ শহিদুজ্জামান শুভ'র?
  • 'স্বাভাবিক মৃত্যু'কে ফরেনসিকের কারিশমায় হত্যা প্রমাণের অভিযোগ
  • সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মির্জা ফখরুল
  • 'এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়' তাহসান খানের বিয়ে প্রসঙ্গে মিথিলা
  • নতুন বিজ্ঞাপনে চিত্রনায়ক ইমন, সঙ্গী তার স্ত্রী আয়েশা
  • ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৬
  • মিরপুরে দেশীয় অস্ত্রসহ আ.লীগের ৫ নেতা কর্মী গ্রেফতার
  • আজ মঙ্গলবার, ২৭ মাঘ, ১৪৩১ | ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

    রাজধানী

    উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসি মুজিবুর রহমান গ্রেফতার
    রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনানের প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর মহাখালী, রামপুরা ও উত্তরায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে দুই পুলিশ সদস্যসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসি মো. মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হচ্ছে।
    তিন ছাত্রকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় হামলা শিক্ষার্থীদের
    ঢাকা উত্তরায় তিন ছাত্র আটকের ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানা ঘেরাওয়ের পর উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ হামলা চালান বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এ সময় উত্তরা পশ্চিম থানায় কর্তব্যরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মহাদেব আহত হয়েছেন।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আজম এভিনিউ সড়কে উত্তরা পশ্চিম থানা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বৈঠক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। সেখান থেকে আকাশ, রবিন ও বাপ্পি নামের তিন ছাত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আমাদের তিন সহপাঠী আকাশ, রবিন ও বাপ্পিকে আটক করে উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পূর্ব থানায় আমরা গিয়ে জানতে পারি, তিন ছাত্রকে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ আটক করে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশের হেফাজতে রেখেছে। এতে উত্তেজিত ছাত্ররা উত্তরা পশ্চিম থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। সেই সঙ্গে থানার গেটে হামলা চালিয়েছে।চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ওই তিন ছাত্রকে পরে পুলিশ ছেড়ে দেয়। সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছাত্রদের বৈঠক চলছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান সাংবাদিকদের বলেন, উত্তরা পূর্ব থানার কম্পিউটার ল্যাব রুমে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে পুলিশ। পুলিশের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়েছেন।এফএস
    ঢাকায় এসে নিখোঁজ সুবা, সিসি ক্যামেরায় যা দেখা গেল
    ক্যানসারে আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য দু’মাস আগে বরিশাল থেকে ঢাকায় এসেছিল ১১ বছরের আরাবি ইসলাম সুবা। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বয়সে ছোট ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে বাসা থেকে বের হয় সুবা। এরপর রাস্তা পার হতে গিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় নিখোঁজ হয় সে।ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ারের সামনে সুবাকে দেখা গেছে। তবে সেখানে সুবার ফুফাতো ভাই ছাড়া আরেকজনও ছিল। তার সঙ্গে সুবাকে হাঁটতে দেখা গেছে।এদিকে শিশু সুবার নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবা ইমরান রাজিব সোমবার সন্ধ্যায় আদাবর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।জানা গেছে, বরিশালের একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুবা। সম্প্রতি জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তার মায়ের কেমোথেরাপি শুরু হয়। গত চারদিন আগে সুবাকে সঙ্গে নিয়ে মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের কাছে আত্মীয়ের বাসায় ওঠেন সুবার মা। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফুপাতো ভাইকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয় সুবা। কৃষি মার্কেট এলাকার প্রিন্স বাজার এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় তার ভাই একটি গাড়িকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যায়। এরপর সুবা আর বাসায় পৌঁছায়নি।সুবার বাবা ইমরান রাজিব বলেন, স্ত্রীর ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য দুই মাস ধরে ঢাকায় বোনের (সুবার ফুফু) বাড়িতে আছি। সুবা নিখোঁজের ঘটনায় আদাবর থানায় জিডি করেছি। পুলিশ বলেছে তারা চেষ্টা করছে।এ বিষয়ে আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া বলেন, মেয়েটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আশপাশের একাধিক সড়কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে।এবি 
    মহাখালীতে ট্রেন আটকে দিলেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা
    বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাখালী রেলপথ অবরোধ করেছেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিতুমীর কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে আসা শিক্ষার্থীরা এ অবরোধ করেছেন। কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন করছেন।আজ বেলা সোয়া ৩টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তিতুমীর কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে মহাখালীর আমতলী মোড়ের দিকে অগ্রসর হন। এ সময় তিনজন অনশনকারী শিক্ষার্থীকেও হুইলচেয়ারে করে নেওয়া হয়। মিছিলে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল। এদিকে রেললাইন অবরোধের ফলে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন আটকে গেছে। লাল পতাকা দেখিয়ে ট্রেনটি থামানো হয়।আটকে যাওয়া ট্রেনটির লোকোমাস্টার লতিফ বলেন, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৩টা ২৫ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসে। আমার ট্রেনের গতিসীমা ছিল ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে তিতুমীর রেলগেটে দূর থেকেই লাল পতাকা ও মানুষের জটলা দেখতে পাই। পরে ট্রেনটি দ্রুত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গতি কমিয়ে থামাতে সক্ষম হই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
    হাতিরঝিলে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ সংঘর্ষ, কলা বিক্রেতাসহ গুলিবিদ্ধ ২
    রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ দুপক্ষের গোলাগুলির মধ্যে জিলানী (৫৫) ও শুভ (১৭) নামে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাতিরঝিল থানাধীন ফুলন পুরাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।গুলিবিদ্ধ জিলানীর ছেলে সাইফুল জানান, তার বাবা উলন পুরাবাড়ি এলাকায় কলা বিক্রি করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ দুর্বৃত্তরা গুলি ছোড়ে। এতে তার বাবা গুলিবিদ্ধ হন। তখন পাশে থাকা শুভ নামের একজনও গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, হাতিরঝিলের উলন এলাকা থেকে এক বৃদ্ধ ও এক কিশোরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তারা বর্তমানে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এমআর
    পঙ্গু হাসপাতালের সামনে আহতদের ফের সড়ক অবরোধ
    সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে ফের রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা। এ সময় পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কের দুই লেনই অবরোধ করেন তারা। এতে আগারগাঁও থেকে শিশু মেলা লিংক রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কে আহতরা অবস্থান নেন বলে জানা যায়।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পঙ্গু হাসপাতাল, নিউ সায়েন্স ও চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শতাধিক আহত ব্যক্তি রাস্তায় নেমে এসেছেন। সড়কে শুয়ে অনেকেই স্লোগান দিচ্ছেন। কেউ কেউ স্ট্রেচারে ভর করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। তারা নানা ধরনের বৈষম্যবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন।দেখা যায়, জুলাই আন্দোলনের আহতরা ‘দালালি না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আস্থা নাই রে আস্থা নাই’ ইত্যাদি নানান স্লোগান দিচ্ছেন।আরও দেখা যায়, সড়কের দুলেনে অবস্থান নিয়ে জুলাই আন্দোলনের আহতদের বিক্ষোভের কারণে আগারগাঁওগামী ও আগারগাঁও থেকে শিশুমেলা মোড় পর্যন্ত লিংক রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গাড়িগুলো ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে সামনে পেছনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।আহতদের মধ্যে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে পতন ঘটানোর আন্দোলনের আহতরা টাকা-পয়সা কিছুই চাই না, শুধু সুচিকিৎসা, পুনবার্সন চাই। শেখ হাসিনার পতনের পর যে সরকার আমাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারেনি তাদের কাছে আমাদের আর কোনো আস্থা নাই।’এ সময় উপদেষ্টাদের প্রতি আহতদের কোনো আস্থা নেই বলে তারা আজ রাস্তায় নেমেছেন বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের নেতা কোরবান শেখ হিল্লোল বলেন, ‘আজকে বিদেশি ডাক্তার এসেছিল। তারা আমাদের পরীক্ষা করে একটা মতামত দিয়েছে। আমাদের মধ্যে যাদের বিদেশ পাঠানো হয়েছে, তাদের আর আমাদের শারীরিক অবস্থা একই বলে ডাক্তারদের মতামতে উঠে এসেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আমাদের ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু তারা কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। এ কারণে আবার পথে নেমেছি। আমাদের কথা কেউ শুনছে না। আমাদের ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন।’এমআর
    রাজধানীর নীলক্ষেতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও তার অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর নীলক্ষেত মোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই নীলক্ষেতে ৭ প্লাটুন পুলিশ অবস্থান নেয়, পাশাপাশি ঘটনাস্থলে ৫ প্লাটুন পুলিশ  রিজার্ভ রাখা হয়।এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবারের (২৭ জানুয়ারি) সব পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত করার পর এবার সাত কলেজের সব চূড়ান্ত পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত সাত কলেজের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী গতকাল প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে আসে। তারা নীলক্ষেত মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নেন।এক পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে কয়েক শ’ শিক্ষার্থী বেরিয়ে এসে তাদের ধাওয়া দেন। পরে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। এতে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাত কলেজের সমস্যা ও ভর্তির আসন সংখ্যা কমানোর বিষয়ে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) কাছে গেলে তিনি অশোভন আচরণ করে রুম থেকে বের করে দেন। তিনি বলেন, সাত কলেজের বিষয়ে কিছু জানেন না।আরইউ
    জামায়াত আমির বললেন, ‘একদম ভালো কাজ হয়নি’
    চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নেওয়া ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের লাঠিপেটার ঘটনা যাতে আর না ঘটে, এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।আজ রবিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জামায়াত আমির এই কথা বলেন। জামায়াত আমির ফেসবুকে লেখেন, ‘চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান নেওয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিপেটা, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা একদম ভালো কাজ হয়নি।শফিকুর রহমান আরও লেখেন, ‘ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ যদি শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে ন্যায্য দাবি পেশ করে, তার দাবিটা শোনাও সংগত। শক্তি প্রয়োগের সংস্কৃতি খুব ভালো ফল বয়ে আনে না।আজ দুপুরে শাহবাগে পুলিশের লাঠিপেটায় অন্তত ৬ শিক্ষক আহত হন। তারা হলেন আনোয়ার হোসেন (৩৫), ফরিদুল ইসলাম (৩০), আমিনুল (৩৫), মিজানুর রহমান (৩৫), বিন্দু ঘোষ ও মারুফা আক্তার (২৫)। তারা ইবতেদায়ি শিক্ষক বলে জানা গেছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।এফএস
    ৫ দফা দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সাইন্সল্যাব অবরোধ
    রাজধানীর মিরপুর সড়কের সাইন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অবরোধ করেন। এতে সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত মোড় ও এলিফ্যান্ট রোডসহ আশপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।জানা গেছে, সাত কলেজে ভর্তির আসন কমানোসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে ঢাবির প্রো-ভিসি শিক্ষা  এবং কয়েকজন শিক্ষক সাত কলেজের অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থীকে তৎক্ষনাৎ অপমান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আফজাল হোসেন বলেন, আমরা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির কাছে গেলে তারা আমাদেরকে অপমান করে বের করে দেয়। এখন শিক্ষার্থীদের নিকট ক্ষমা চাওয়াসহ সবগুলো দাবি রাতের মধ্যে মেনে নিতে হবে। না মানলে রাস্তা ছাড়বো না।দাবিসমূহ: ১.২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।২.শ্রেণীকক্ষের ধারণক্ষমতার বাহিরে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না।৩.শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।৪. নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে।৫. সাত কলেজের ভর্তি ফির স্বচ্ছতা নিশ্চিতে, মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ  কমিটির সাথে সমন্বয় করে ঢাবি ব্যতীত নতুন একাউন্টে ভর্তি ফির টাকা জমা রাখতে হবে।উল্লেখ্য, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজ সংলগ্ন মিরপুর সড়কে অবস্থান করছিল।পিএম
    ইবতেদায়ি শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ
       জাতীয়করণের দাবিতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের ওপর জলকামান, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। রোববার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সুপারিশের আলোকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণাসহ ছয় দফা দাবিতে সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট। অবস্থান কর্মসূচি থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।এরপর তারা জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করে। পরে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ।তবে পুলিশ বলছে, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আন্দোলনকারীরা শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। শাহবাগ এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য রয়েছেন। আন্দোলনকারীরা এক জায়গায় একত্রিত না থাকলেও শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।এমএইচ
    দুই ট্রাক বিনামূল্যের পাঠ্যবই জব্দ, গ্রেফতার ২
    সংকটের মধ্যেই খোলাবাজার থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বিতরণের ১০ হাজার বই জব্দ করা হয়েছে। এ সময় দুই জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর সূত্রাপুরের বাংলা বাজার ইস্পাহানি গলির বিভিন্ন গোডাউনে অভিযান চালিয়ে এসব বই জব্দ করা হয়।জব্দকৃত প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের এসব বইয়ের বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো– সিরাজুল ইসলাম উজ্জ্বল (৫৫) ও দেলোয়ার হোসেন (৫৬)।বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি চক্র বাংলাবাজারের ইস্পাহানি গলিতে বিভিন্ন গোডাউনে প্রথম থেকে দশম শ্রেণির বিনামূল্যের সরকারি পাঠ্যবই বিক্রির উদ্দেশে মজুদ করেছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুই ট্রাক বই জব্দ করা হয়। যেখানে বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় ১০ হাজার বই রয়েছে। সিরাজুল ও দেলোয়ারের বাইরেও আরও বেশ কয়েকটি চক্রের তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতারে ডিবির তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।’তিনি আরো বলেন, জব্দ করা বইগুলোর বিষয়ে আদালতকে জানানো হবে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এনসিটিবিকে হস্তান্তরের কথাও জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।এক প্রশ্নের জবাবে ডিবির যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘বইগুলো পরিবহনের জন্য যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়, একটা চক্র বইগুলো নিয়ে যায়। এরপর অতিরিক্ত বই এনে খোলা বাজারে বিক্রি করে।’অতিরিক্ত বই ছাপানোর সুযোগ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা সরকারি কার্যাদেশ পেয়ে থাকে এ রকম ১১৬টি প্রেসে বই ছাপানো হয়। ঢাকার বাংলাবাজার এবং ঢাকার বাইরেও কয়েকটি প্রেসে ছাপানো হয়। অতিরিক্ত বই ছাপানোর সুযোগ আছে কিনা বিষয়টা তদন্তাধীন। যদি অনুসন্ধানে পাই অতিরিক্ত বই ছাপানো হয়েছে, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’এনসিটিবি অথবা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) কেউ জড়িত কিনা জানতে চাইলে মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘এনসিটিবির দুটা গোডাউন রয়েছে, একটা তেজগাঁও ও আরেকটা টঙ্গীতে। সেখানেই বইগুলো সংরক্ষণ করা হয়। এর বাইরে কোথাও সংরক্ষণের সুযোগ নেই। ভেতরের কারও সংশ্লিষ্টতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’গ্রেফতার সিরাজুল ১০ বছর আগে একই অভিযোগে গ্রেফতার হয়ছিল জানিয়ে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এবার তার গোডাউন থেকেই বইগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। সে ১০-১২ টাকা করে বইগুলো কিনে ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি করে আসছিল। বিতরণ এবং পরিবহনের অনিয়মে কার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন আরও কিছু নাম আমরা পেয়েছি। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
    আসিফ নজরুলের আশ্বাসে মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুকদের আন্দোলন স্থগিত
    আগামী মার্চ মাসের মধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। এই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকাল থেকে আন্দোলন করা মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুক কর্মীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করেছেন। তারা এখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে ৩ টা ১৮ মিনিটে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে আলোচনা শেষে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ও আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়ার পর প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে আন্দোলন কারীদের উদ্দেশ্যে মাইনুদ্দিন বাবু বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আমরা আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদেরকে বলেছেন যাদের ম্যানপাওয়ার ও ই-ভিসা আছে তাদেরকে পর্যায়ক্রমে আগামী মার্চের শেষের দিকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে। স্যার আরও বলেছেন যাদের ই-ভিসা কিংবা ম্যানপাওয়ার হয়নি তাদেরকে এজেন্সি থেকে টাকা এবং পাসপোর্ট নিয়ে নেওয়ার জন্য বলেছেন। তাদেরকে পর্যায়ক্রমে অন্য কোনো দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। স্যার আমাদেরকে বলেছেন উনাদের ওপর আশ্বাস রাখার জন্য। তিনি আরও বলেছেন আমরা যদি মালয়েশিয়া নাও যেতে পারি তাহলে অন্য কোনো দেশে প্রবাসী পাঠানো হলে তাহলে সবার আগে আমাদেরকে পাঠাবেন। আমরা মনে করছি আমাদের কথা কাজে আমরা মিল পাবো। সেজন্য তাদের আশ্বাসে আমরা আমাদের আন্দোলন স্থগিত করে আমরা ঘরে ফিরে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আর আমাদের মধ্যে যাদের ই-ভিসা কিংবা ম্যানপাওয়ার কোনোটাই হয়নি তারা এজেন্সির কাছ থেকে টাকা ও পাসপোর্ট দেখে নিবেন। যদি তারা টাকা ও পাসপোর্ট না দেয় তাহলে আপনারা থানা পুলিশের পাশাপাশি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নিবেন।আন্দোলন স্থগিত করে যাওয়ার আগে আন্দোলনকারীরা আরেকটি ঘোষণা দিয়ে যান। যদি সরকার আশ্বাস অনুযায়ী কথা না রাখে তাহলে তারা আবারও রাস্তায় নামবেন এবং তীব্র আন্দোলন করবেন।এবি 
    প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামনে আন্দোলনকারীরা, চলছে আলোচনা
    মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীরা এখন রয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সামনে। সাময়িক সময়ের জন্য অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে তারা। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এবং তারা তাতে রাজি হয়েছে বলে জানা গেছে।আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ১২টার দিকে পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওনা দেন তারা।এর আগে, সকাল ৯টা থেকে চার দাবি নিয়ে কারওয়ান বাজারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এরপর বেলা সোয়া ১১টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর ওই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন তারা।এসময় আন্দোলনকারীরা জানান, আমাদের কারওয়ান বাজার অবস্থান করতে দেয়া হয়নি। তাই আমরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবো। সেখানে আমাদের দাবিগুলো ফের উপস্থাপন করা হবে।উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন বন্ধের পর ২০২২ সালের আগস্টে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের পথ খোলে। দেশটিতে গত বছরের ৩১ মে পর্যন্ত ১০১টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে পৌনে পাঁচ লক্ষ কর্মী পাড়ি দেয়ার কথা ছিল। তবে টিকিট জটিলতার কারণে যেতে পারেনি প্রায় আঠারো হাজারের বেশি কর্মী।মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা এসব শ্রমিকদের দাবি, টাকা দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। এখনও রিক্রুটিং এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থও ফেরত পাননি। তাই মালয়েশিয়া যেতে না পারলেও অন্তত তারা তাদের অর্থ ফেরত চান।এবি 
    ঢাবিতে মেহগনি গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় মেহগনি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শাহবাগ থানা পুলিশ খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় মরদেহটি উদ্ধার করে। এর আগে ৯টায় দিকে পথচারীরা গাছের আবডালে একটি ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। পরে তাৎক্ষণিকভাবে তারা পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিমকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।প্রত্যক্ষদর্শী এক ঢাবি শিক্ষার্থী বলেন, আমরা সকালে ক্লাস করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলাম। এ সময় দেখি কিছু মানুষ জটলা হয়ে উপরে তাকিয়ে আছে। পরে গিয়ে দেখি একটা লাশ ঝুলছে। কারেন্টের খুটিরও অনেক উপরে লাশটি ঝুলে ছিল।গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মোর্শেদ আলম শফিক বলেন, কিছুক্ষণ আগেই লাশ নামানো হয়েছে। লাশটি কোনো ভবগুড়ে ব্যক্তির হতে পারে। হয়তো নিচেই ফুটপাতে সে ঘুমাতো। কাপড়-চোপড় সবকিছু ফুটপাতেই পড়ে ছিল।মরদেহ উদ্ধার করতে আসা ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্য বলেন, ঢাবির জিমনেসিয়াম এলাকায় গাছে ঝুলে থাকা অজ্ঞাত লাশটি বয়স্ক কোনো একজন ভবঘুরে মানুষের। তার বয়স ৫০ এর কাছাকাছি। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। লাশ নামিয়ে ঢামেক মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ হাদিউজ্জামান জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ থেকে তার মরদেহটি নিচে নামানো হয়। পরে, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।তিনি আরও জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে। থাকতেন ওই এলাকার ফুটপাতেই। মানসিক সমস্যাও ছিল তার। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যে কোনো সময় সে ওই গাছের চূড়ায় উঠে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। তবে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।এবি 
    কারওয়ান বাজার থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিলো পুলিশ
    টাকা দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পেরে আন্দোলনে নামা বিদেশগামী কর্মীদের রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড় থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেয়া হয় তাদের।গত ৩১ মে কলিং ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার কর্মীদের ‘মহাসমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি’ শীর্ষক ব্যানারে সকাল থেকেই সড়কের ওপর অবস্থান করেন মালয়েশি যেতে না পারা কর্মীরা। এতে মূল সড়কের উভয় পাশে যানবাহনের দীর্ঘ জটলা তৈরি হয়। এ সময় আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।তাদের দাবি- তারা এখনো রিক্রুটিং এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থ ফেরত পাননি। তাই অর্থ ফেরতসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় অবস্থান নেন।আবরোধকারীদের একজন বলেন, ৫ লাখ টাকা দিয়েও আমরা মালয়েশিয়া যেতে পারিনি। বর্তমানে ঋণ করে চলছি, পরিবার নিয়ে খুব কষ্টের মধ্যে আছি। জানুয়ারির মধ্যেই আমাদের মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ সময় বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিও জানান তিনি।আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মাইন উদ্দীন বাবু বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই আমাদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমাদের একেকজনের পরিবারের এমন অবস্থা যে, তারা এখন বাড়িতেও ফিরতে পারবে না। কিন্তু পুলিশ আমাদের জোরপূর্বক সরিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন এখান থেকে শাহবাগ যাব এবং সেখানে অবস্থান নিব। তবু আমরা দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবো।এবি 

    Loading…