এইমাত্র
  • বদলে যাবে ভারতের তিন রাজ্য
  • মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা খুলনার সুশোভন বাছাড়
  • নবীজির ঘর মোবারক দাবির বিষয়ে যা জানা গেল
  • বিয়ের ওপর কর বাতিলের দাবি
  • মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • শিশু সন্তান নিয়ে মেঘনা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন গৃহবধূ
  • অনেক কাজ আছে, যেগুলোয় আমি চাইলেও আমাকে মানাবে না: সুমাইয়া শিমু
  • ক্যারিয়ার নিয়ে থাকতে থাকতে একসময় দেখবেন পরিবার ছাড়া কেউ নেই: মডেল পিয়া
  • যুদ্ধবিরতির পর বাড়ির পথে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি
  • জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদুৎ
  • আজ সোমবার, ৬ মাঘ, ১৪৩১ | ২০ জানুয়ারি, ২০২৫

    ধর্ম ও জীবন

    ১৬ জানুয়ারি: নামাজের সময়সূচি
    আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ইংরেজি, ২ মাঘ ১৪৩১ বাংলা, ১৫ রজব ১৪৪৬ হিজরি। ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো- নামাজের সময়সূচি ফজর- ৫:২৬ মিনিট। জোহর- ১২:১০ মিনিট। আসর- ৩:৫৪ মিনিট। মাগরিব- ৫:৩৪ মিনিট। ইশা- ৬:৫১ মিনিট। আজ সূর্যাস্ত- ৫:৩৩ মিনিট। আজ সূর্যোদয়- ৬:৪৩ মিনিট।বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তা হলো-বিয়োগ করতে হবে- চট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট।সিলেট: -০৬ মিনিট।যোগ করতে হবে- খুলনা: +০৩ মিনিট। রাজশাহী: +০৭ মিনিট। রংপুর: +০৮ মিনিট। বরিশাল: +০১ মিনিট।এইচএ
    মসজিদুল হারামের প্রসিদ্ধ গাইড শেখ মোস্তফা দাব্বাগ মারা গেছেন
    পবিত্র মক্কা ও মদিনার মসজিদের গাইড শেখ মোস্তফা আল-দাব্বাগ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নলিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি পবিত্র মসজিদে হাজিদের সেবায় কর্মরত ছিলেন ।গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার ইন্তেকালে হারমাইন শরিফাইন কর্তৃপক্ষ শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তিনি পবিত্র মসজিদে হাজিদের ও ইবাদতকারীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তি হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন ।শেখ আল-দাব্বাগ তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন আল্লাহর ঘরে আসা মানুষের পথপ্রদর্শনে। তিনি হাজিদের সঠিক নিয়ম মেনে তাওয়াফ, সাঈ ও অন্যান্য ইবাদত করার পদ্ধতি শিক্ষা দিতেন সবসময় ।কাবার চারপাশের তাওয়াফ এলাকার মধ্যে হোক বা সাফা-মারওয়ার পথে, তার উপস্থিতি ছিল প্রশান্তির প্রতীক। তিনি হাজিদের ইহরামের সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করা, হজ ও ওমরাহ পালনের আদবসমূহ শেখানো আর সুন্নাহর অনুসরণে ইবাদত করতে হাজীদের উপদেশ দিতেন ।শেখ আল-দাব্বাগ এর অনেক প্রস্তাব হারাম শরিফ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছেন। যেমন হারামের প্রবেশপথে জুতা রাখার জন্য ব্যাগের ব্যবস্থা ইত্যাদি। শেখ আল-দাব্বাগ ছিলেন বিনয়, উদারতা ধর্মপরায়ণতার মূর্ত প্রতীক। তার সাদা-সিধে জীবনযাপন ও আল্লাহর ইবাদতে গভীর মনোযোগ তাকে ‘জাহেদ শেখ’ নামে পরিচিত করেছিল। জ্ঞান ও প্রজ্ঞার পাশাপাশি তিনি তার অহংকারহীন জীবন যাপন করতেন ।বিশ্বের লাখো মুসলিম তাকে চিনতেন। শেখ মোস্তফা আল-দাব্বাগের মৃত্যুতে বৃহত্তর মুসলিম উম্মাহর গভীর শোকাহত হন। এইচএ 
    ১৫ জানুয়ারি: নামাজের সময়সূচি
    আজ বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ইংরেজি, ১ মাঘ ১৪৩১ বাংলা, ১৪ রজব ১৪৪৬ হিজরি। ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো-নামাজের সময়সূচিফজর- ৫:২৬ মিনিট।জোহর- ১২:১০ মিনিট।আসর- ৩:৫৪ মিনিট।মাগরিব- ৫:৩৪ মিনিট।ইশা- ৬:৫১ মিনিট।আজ সূর্যাস্ত- ৫:৩২ মিনিট।আজ সূর্যোদয়- ৬:৪৩ মিনিট।বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তা হলো-বিয়োগ করতে হবেচট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট।সিলেট: -০৬ মিনিট।যোগ করতে হবেখুলনা: +০৩ মিনিট।রাজশাহী: +০৭ মিনিট।রংপুর: +০৮ মিনিট।বরিশাল: +০১ মিনিট।এইচএ
    ওমরাহ যাত্রীদের ৫ টিকা বাধ্যতামূলক করেছে সৌদি আরব
    চলতি বছর ২০২৫ সালের ওমরাহ যাত্রীদের জন্য ৫টি রোগের টিকা বাধ্যতামূলক করেছে সৌদি আরব সরকার । সোমবার (১৪ জানুয়ারি) এমন একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।টিকাগুলোর মধ্যে মেনিনজাইটিস, পোলিও, ইয়েলো ফিভার, করোনা এবং সিজোনাল ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগের টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।উল্লেখিত ওই ৫ রোগের বিপরীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সৌদি আরব সরকার যে সকল টিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশটিতে পৌঁছানোর আগে ওমরাহ্‌ যাত্রীদের সেসব টিকা গ্রহণ করতে হবে।এতে আরও বলা হয়েছে, মেনিনগোকোকাল মেনিনজাইটিস, করোনা এবং সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা সব দেশের হজযাত্রীদের জন্য অত্যাবশ্যক।এছাড়াও পাকিস্তান,নাইজেরিয়া, আফগানিস্তানের যাত্রীদের জন্য পোলিও এবং অ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো,ব্রাজিল ও নাইজেরিয়ার যাত্রীদের জন্য পীত জ্বরের টিকা বিশেষভাবে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।এইচএ
    ১৪ জানুয়ারি: নামাজের সময়সূচি
    ইসলামের ৫টি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম। পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। কেয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের। তাই যতই ব্যস্ততায় থাকুক না কেন ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আজ মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বাংলা, ১৩ রজব ১৪৪৬ হিজরি। ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো-নামাজের সময়সূচিফজর- ৫:২৬ মিনিট।জোহর- ১২:১০ মিনিট।আসর- ৩:৫৪ মিনিট।মাগরিব- ৫:৩৪ মিনিট।ইশা- ৬:৫১ মিনিট।আজ সূর্যাস্ত- ৫:৩১ মিনিট।আজ সূর্যোদয়- ৬:৪৩ মিনিট।বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তা হলো-বিয়োগ করতে হবে-চট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট।সিলেট: -০৬ মিনিট।যোগ করতে হবে-খুলনা: +০৩ মিনিট।রাজশাহী: +০৭ মিনিট।রংপুর: +০৮ মিনিট।বরিশাল: +০১ মিনিট।এইচএ
    ১৩ জানুয়ারি: নামাজের সময়সূচি
    ইসলামের ৫টি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম। পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। কেয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের। তাই যতই ব্যস্ততায় থাকুক না কেন ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়াক্তে নামাজ পড়া হলেও মিরাজের পর থেকে নামাজের বর্তমান রীতি চালু হয়। আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম হিসাবে নামাযই একমত্র মাধ্যম। আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই নামায পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন। নামাজের গুরুত্ব ও ফায়েদা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে অসংখ্য হাদিন বর্ণনা করেছেন।আজ সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বাংলা, ১২ রজব ১৪৪৬ হিজরি। ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো- নামাজের সময়সূচি ফজর- ৫:২৬ মিনিট। জোহর- ১২:১০ মিনিট। আসর- ৩:৫৪ মিনিট। মাগরিব- ৫:৩৪ মিনিট। ইশা- ৬:৫১ মিনিট। আজ সূর্যাস্ত- ৫:৩১ মিনিট। আজ সূর্যোদয়- ৬:৪৩ মিনিট।বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তা হলো-বিয়োগ করতে হবে- চট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট। সিলেট: -০৬ মিনিট।যোগ করতে হবে- খুলনা: +০৩ মিনিট। রাজশাহী: +০৭ মিনিট। রংপুর: +০৮ মিনিট। বরিশাল: +০১ মিনিট।এইচএ
    এজেন্সি কোটা ১ হাজার বহাল রেখে হজ চুক্তি সম্পন্ন
    সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ২০২৫ সালের হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রবিবার (১২ জানুয়ারি) সৌদি আরবের জেদ্দায় স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এই দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদিত হয়।বাংলাদেশের পক্ষে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি আরবের পক্ষে সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রী তওফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়া হজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি নিয়ে সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশি হজ এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা এক হাজার থেকে কমানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। কিন্তু সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রী এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা এক হাজারই বহাল রেখেছেন।উল্লেখ্য, গতবছরের অক্টোবরে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রীকে এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর কোটা দুই হাজার থেকে কমিয়ে ২৫০ জন করার অনুরোধ করেন। তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালের জন্য বাংলাদেশি এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর ন্যূনতম কোটা দুই হাজার হতে কমিয়ে এক হাজার নির্ধারণ করে। তবে আগামীবছর এই কোটা হবে দুই হাজার জন।এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলোয়ার হোসেন, কনসাল জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ মাইনুল কবির, কাউন্সিলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলাম ও উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদসহ সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এইচএ
    রমজান ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানাল আমিরাত
    ২০২৫ সালের পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইব্রাহিম আল জারওয়ান। আমিরাত জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটির এই চেয়ারম্যান বলেছেন, আগামী ১ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অর্থাৎ আর মাত্র সাত সপ্তাহের অপেক্ষার পরই শুরু হবে ইবাদতের মাস রমজান। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই খালি চোখে বা আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে রমজান মাস শুরুর তারিখ ঘোষণা করে থাকে। কিছু দেশে দিন ক্যালেন্ডার গণনার মাধ্যমে আগে থেকেই দিন তারিখ নির্ধারণ করা  থাকে।আরবি ১২ মাসের মধ্যে নবমতম মাস হলো রমজান। এই মাসটিতে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থেকে রোজা রাখেন বিশ্বের সব মুসলিম। এছাড়া এই মাসটি অন্যান্য ইবাদত ও দান সদকা দেওয়ার মাধ্যমে কাটান তারা।এবারের রমজান মাসটি যদি ২৯ দিনের হয়। তাহলে আগামী ৩০ মার্চ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় ঈদুল ফিতর পালিত হবে। অপরদিকে ৩০ দিনের হলে ৩১ মার্চ হবে ঈদ।এবি 
    কোনো দলের পক্ষে বা টার্গেট করে আমরা কথা বলি না: আজহারী
    মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে দেশের যেকোনো সমস্যা-অসঙ্গতি নিয়ে মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। এজন্য আমাকে রাজনীতিতে আসতে হবে এরকম মন্তব্য ঠিক না। আমরা কুরআন সুন্নাহ ও ইসলামের পক্ষে কথা বলি। কোনো দলের পক্ষে আমরা কথা বলি না। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সিলেটের এমসি কলেজ মাঠে তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে সম্প্রতি বিএনপি নেতাদের মন্তব্য প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।এর আগে একটি মাহফিলে ইসলামের আলোকে দেশ গঠন নিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। এই বক্তব্য ঘিরে দেশীয় রাজনীতি অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।আজহারী বলেন, কোনো দল এটা নিয়ে কথা বলেনি। আপনারা এটা নিজেদের গায়ে নিয়ে যেভাবে মাখলেন, সেটা ঠিক হয়নি। এটা খুবই অনভিপ্রেত। কোনো দলকে টার্গেট করে কিংবা কোনো দলের পক্ষে আমরা কথা বলি না। আমরা কুরআন সুন্নাহর কথা বলি, ইসলামের পক্ষে কথা বলি। একটা সাধারণ কথা নিজেদের গায়ে নিয়ে যদি ক্ষোভ প্রকাশ করেন আর ক্ষুব্ধ প্রতিবাদ জানান তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে আপনাদের ব্যাপারে একটা নেগেটিভ মেসেজ যাবে। এটা আমরা চাই না।তিনি বলেন, আমি একজন আলেম। এর বাইরে আমার একটি পরিচয় রয়েছে। আমি বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক। আমার দেশের যেকোনো সমস্যা অসঙ্গতি বিষয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমার রয়েছে। আপনারাইতো বাকস্বাধীনতার কথা বলেন, আপনারাই যদি আবার কোনো মন্তব্যের ব্যাপারে বলেন রাজনীতিতে আসেন এটা ঠিক হবে না।আজহারী বলেন, গতানুগতিক রাজনৈতিক চর্চা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই। যখন ক্ষমতার পালাবদল হয়, তখন ওই দুর্নীতির ফিরিস্তি আমরা জানতে পারি। এর আগে কোনোভাবে জানা যায় না। প্রতিটি দলের ভেতরে এই বাজে চর্চা রয়েছে। এখন আমাদের শুধরে নেওয়ার সময় এসেছে। আমরা চাই না এদেশে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতি থাকুক। আমাদের নিবন্ধিত ৩৮ দলেরই এখন শপথ নেওয়ার সময় এসেছে।আঞ্জুমানে খেদমতে কুরআন সিলেটের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের শেষ দিন ছিল শনিবার। রাত আটটায় তাফসির পেশ করতে মঞ্চে ওঠেন মিজানুর রহমান আজহারী।উল্লেখ্য, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক মাহফিলে মিজানুর রহমান আজহারী বলেছিলেন, ‘ইসলামের আলোকে দেশ সাজাবো। কোনো জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস সৃষ্টি হতে দেওয়া যাবে না। ১৫ বছরে দেশে প্রচুর লুটপাট হয়েছে। যখন অন্য দেশ উন্নয়নে ব্যস্ত, তখন আমাদের দেশের সরকার লুটপাটে মগ্ন। এক দল যায়, আরেক দল এসে লুটপাট চালায়। আমাদের কোরআনের আলোকে দেশ গড়তে হবে।’আজহারীর এই বক্তব্যের প্রতিবাদে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা শামসুজ্জামান দুদু সাম্প্রতিক এক আলোচনায় ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীকে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চাইলে জামায়াতে যোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।এইচএ
    গৃহহীনকে ঘর দেওয়া অনেক বড় ইবাদত
    আল্লাহর রহমত ও দয়া লাভের একটি সহজ মাধ্যম হলো- আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি দয়া করা। তাদের প্রতি যাবতীয় কল্যাণ ও উপকারের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (স.) বলেছেন, ‘যতক্ষণ একজন মানুষ অন্য মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থাকবে, আল্লাহ তাআলাও তার কল্যাণে রত থাকবেন।’ (মুসলিম: ৬৭৪৬) অন্য হাদিসে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান!  তুমি ব্যয় করো, আমিও তোমার প্রতি ব্যয় করব।’ (বুখারি: ৫৩৫২)।বসবাসের জন্য ছোট হলেও ঘরবাড়ি মানুষের অতীব প্রয়োজন। যে ব্যক্তি কোনো গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর তৈরি করে দেবে তার সওয়াব মৃত্যুর পরও সে কবরে পেতে থাকবে। এ বিষয়ে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘মুমিন মৃত্যুবরণের পর তার সঙ্গে যে আমলের সওয়াব সম্পৃক্ত থাকবে, তা হলো ইলম শিক্ষা দেওয়া ও কিতাব রচনা করা, নেক সন্তান রেখে যাওয়া, মসজিদ তৈরি করা, অভাবগ্রস্তদের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়া, পানি প্রবাহিত হওয়ার ব্যবস্থা করা এবং তার সম্পদ থেকে সদকা করা।’ (সহিহ ইবনে খুজাইমা: ২৪৯)মানুষকে যেকোনো রকম আর্থিক সহায়তার গুরুত্ব ইসলামে অনেক বেশি। মানুষের খাওয়ার পানির ব্যবস্থা করাও বিরাট সওয়াবের কাজ। হাদিস অনুযায়ী, কূপ খনন করা সদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত। (আল বাহরুজ জাখখার: ১৩/৪৮৪) এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘এক লোক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, তার পানির খুব পিপাসা পেল, পথিমধ্যে সে একটি কূপ পেল এবং সেখান থেকে পানি পান করল। অতঃপর দেখতে পেল একটি কুকুর পানির পিপাসায় ময়লা খাচ্ছে, সেখানে সে মোজা দিয়ে পানি ভরে কুকুরকে পানি পান করাল এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করল। এজন্য আল্লাহ তাআলা তাকে মাফ করে দিলেন। সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! প্রাণীকে পানি পান করালেও কি সওয়াব আছে? রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, প্রত্যেক সজীব অন্তরকে পানি পান করানোর জন্য সওয়াব রয়েছে।’ (সহিহ বুখারি: ৬০০৯)দরিদ্রদের পোশাক দান করার ফজিলত সম্পর্কে আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, হুজুর (স.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলমান অপর মুসলমানকে বস্ত্রহীনতায় বস্ত্র দিলে আল্লাহপাক তাকে জান্নাতের সবুজ বস্ত্র পরাবেন।’ (তিরমিজি: ২৮৩৫)আসলে ইসলামে একজন মুমিনের সঙ্গে অন্য মুমিনের সম্পর্ক ভাইয়ের মতো। সে কখনও অন্য ভাইয়ের কষ্ট দেখে হাত গুটিয়ে রাখতে পারে না। আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘মুমিন মুমিনের জন্য ইমারতসদৃশ, যার একাংশ অন্য অংশকে মজবুত করে। এরপর তিনি (হাতের) আঙুলগুলো (অন্য হাতের) আঙুলের (ফাঁকে) ঢোকালেন।’ (বুখারি: ৬০২৬) নুমান ইবনু বাশির বর্ণিত হাদিসে ‘রাসুল (স.) বলেছেন, মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের ন্যায়, যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’ (মুসলিম: ৬৪৮০)।তাই ভাইয়ের কল্যাণে এগিয়ে আসা মুমিনের দায়িত্ব। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন মেটাবে, আল্লাহ তার প্রয়োজন মেটাবেন। একইভাবে যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের বিপদ দূর করবে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তার বিপদ দূর করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ গোপন রাখবে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষ গোপন রাখবেন।’ (আবু দাউদ: ৪৮৯৩)অসহায়-গরিবদের সাহায্য করা রাসুল (স.)-এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। রাসুলুল্লাহ (স.) সর্বপ্রথম যখন ওহির সংবাদ এবং ভয় পাওয়ার কথা খাদিজা (রা.)-কে জানান, তখন তিনি রাসুল (স.)-এর বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেন। খাদিজা (রা.) রাসুল (স.)-এর গুণাবলি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আল্লাহ আপনাকে কখনো লাঞ্ছিত করবেন না। আপনি তো আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সদাচরণ করেন, অসহায় দুস্থদের দায়িত্ব বহন করেন, নিঃস্বকে সহযোগিতা করেন, মেহমানের আপ্যায়ন করেন এবং হক পথের দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করেন।’ (বুখারি: ৩)ইসলামের ইতিহাসে আনসার সাহাবিদের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। তাঁরা মুহাজির ভাইদের জন্য নিজের ঘর-বাড়ি, জায়গা-জমি ভাগাভাগি করেছিলেন। আল্লাহর রাসুল (স.) তাদের সামনে নিয়ে এ কথা বলেছেন যে- أللهم أنتم أحب الناس الي ‘হে আল্লাহ (সাক্ষী থাকো, আল্লাহকে সাক্ষী রেখে আনসারদের প্রতি লক্ষ্য করে) তোমরা আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় মানুষ। এটা তিনি ৩ বার বলেছেন।’ (সহিহ বুখারি: ৩৫১৪) বুখারির অন্য বর্ণনায় আনসার সাহাবিদের নবীজি বলেছেন- وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ إِنَّكُمْ أَحَبُّ النَّاسِ إِلَيَّ ‘ওই আল্লাহর কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ, লোকদের মধ্যে তোমরাই আমার সবচেয়ে প্রিয়জন। কথাটি তিনি দু’বার বললেন। (সহিহ বুখারি: ৩৭৮৬)অতএব, মুসলমান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অভাবীদের যতটুকু সম্ভব সাহায্য করা, সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। যাদের আল্লাহ তাআলা পর্যাপ্ত ধন-সম্পদ দিয়েছেন তারা অসহায় ও ঘরহীনদের ঘর করে দেবেন। যেখানে পানির সমস্যা, সেখানে পানির ব্যবস্থা করে দেবেন। এই শীতে যাদের জামাকাপড় নেই তাদের জামা-কাপড় দিয়ে জান্নাতের সবুজ জামা জমা করবেন। হাদিসের ভাষ্যমতে, এসবকিছুই সদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত। আর সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব মৃত্যুর পরও জারি থাকে। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।এফএস
    সামনে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে তারা যেন পুরুষ হয়: আমির হামজা
    সামনে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে তারা যেন পুরুষ হয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজা।শনিবার সন্ধ্যায় সিলেটে তাফসির মাহফিলে বক্তব্যকালে এ মন্তব্য করেন।পবিত্র কুরআনের আয়াত উল্লেখ করে আমির হামজা বলেন, নেতা হবে পুরুষ। মহিলা নেতা হতে পারবে না। কোনও জালিম নেতা হতে পারবে না। যারা জালেম তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর আমরা দেখেছি অনেকে জুলুম শুরু করেছেন। আমরা মাজলুম যারা তারা যেন আবার জালিম না হয়ে যাই।তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৫৩/৫৪ বছরে যারা শাসন করেছে তাদের অধিকাংশ ছিল গাফেল (উদাসীন)। তারা কুরআন সম্পর্কে অবগত নন।মুফতি আমির হামজা আরও বলেন, সরকার পতনের পর জাতীয় মসজিদের ইমামকে পালাতে দেখেছি। পালাবে মন্ত্রী-এমপিরা। আপনি পালাবেন কেন। আপনার পলায়নে আমাদের মাথা কাটা গেল।আঞ্জুমানে খেদমতে কুরআন সিলেট আয়োজিত এমসি কলেজ মাঠে আয়োজিত তাফসির মাহফিলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বক্তব্য দেন আমির হামজা। তার পরে এশার নামাজ শেষে রাত ৮টার দিকে মঞ্চে আসেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি তিন দিনের তাফসির মাহফিলের সমাপনী বক্তা হিসেবে তাফসির পেশ করেন।এফএস
    ১১ জানুয়ারি: নামাজের সময়সূচি
    ইসলামের ৫টি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম। পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। কেয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের। তাই যতই ব্যস্ততায় থাকুক না কেন ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়াক্তে নামাজ পড়া হলেও মিরাজের পর থেকে নামাজের বর্তমান রীতি চালু হয়। আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম হিসাবে নামাযই একমত্র মাধ্যম। আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই নামায পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন। নামাজের গুরুত্ব ও ফায়েদা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে অসংখ্য হাদিন বর্ণনা করেছেন।আজ শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ইংরেজি, ২৭ পৌষ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বাংলা, ১০ রজব ১৪৪৬ হিজরি। ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো-নামাজের সময়সূচি ফজর- ৫:২৪ মিনিট। জোহর- ১২:০৮ মিনিট। আসর- ৩:৫০ মিনিট। মাগরিব- ৫:৩০ মিনিট। ইশা- ৬:৪৮ মিনিট। আজ সূর্যাস্ত- ৫:২৯ মিনিট। আজ সূর্যোদয়- ৬:৪২ মিনিট।বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তা হলো-বিয়োগ করতে হবে-চট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট।সিলেট: -০৬ মিনিট।যোগ করতে হবে-খুলনা: +০৩ মিনিট।রাজশাহী: +০৭ মিনিট।রংপুর: +০৮ মিনিট।বরিশাল: +০১ মিনিট।এইচএ
    পুরোদমে চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতির কাজ
     পুরোদমে চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতির কাজ গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরের ১৬০ একর বিশাল ময়দান প্রস্তুতির কাজ চলছে পুরোদমে। জানুয়ারি ৩১ ও ১,২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ আসন্ন ৫৮তম টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার জন্য মাঠ প্রস্তুতির এ কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।  এদিকে, বিশ্ব ইজতেমা সামনে রেখে প্যান্ডেল নির্মাণের কাজে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক তবলীগ জামাতের সাথী-মুসল্লি, মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও নানা শ্রেণি পেশার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, আলহামদুলিল্লাহ! এবার দেরিতে হলেও মাঠ প্রস্তুতির কাজ যথাসময়েই সম্পূর্ণ হবে ইনশাআল্লাহ। কাজ দেরিতে শুরু করার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসলে ইজতেমার জন্য মাঠ প্রস্তুতকরণ কাজ আমাদের অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। মাঝখানে আমাদের যে সমস্ত তাবলীগের সাথী ভাইয়েরা মাঠ প্রস্তুতির কাজে নিয়োজিত ছিলেন, সাদপন্থীরা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে যে জোড় ইজতেমা করার ঘোষণা টঙ্গী ময়দানে দিয়েছিল, তারা সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে, গত ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে আমাদের প্রস্তুতির কাজে নিয়োজিত সাথীদের মেরে রক্তাক্ত করে, এতে আমাদের তিনজন সাথী নিহত হন এবং শতাধিক সাথী আহত হন।’শত শত স্বেচ্ছাসেবী শীত উপেক্ষা করে কাজ করছেন টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে।  সম্মিলিত প্রয়াসে কাজ এগিয়ে চলছে প্রস্তুতির কাজ।দ্বীনের কাজে আগত লোকদের মেহমানদারি করা কর্তব্য উল্লেখ করে মুসল্লিরা বলছেন, কেবল সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের আশায় শ্রম দিচ্ছেন তারা। দ্বীনের এ কাজের অংশীদার হতে পেরে খুশি বলেও জানান তারা।এইচএ
    সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশ গ্রহণ যে কারণে সুদ হয়
    মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব: ইসলামী শরীয়তে সুদ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং ভয়াবহ একটি গুনাহ হিসেবে বিবেচিত। কোরআন ও হাদিসে সুদের ভয়াবহতা এবং এ থেকে বিরত থাকার জন্য দৃঢ় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশ সুদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এটি গ্রহণ করা ইসলামি শরীয়তে জায়েজ নয়। এই বিষয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো।কোরআনের নির্দেশনাআল্লাহ তায়ালা কোরআন মাজীদে ইরশাদ করেন—يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرّبَا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ ، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوا فَأْذَنُوا بِحَرْبٍ مِنَ اللهِ وَرَسُولِهِহে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা বাকি আছে তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক। আর যদি তোমরা তা না কর, তাহলে আল্লাহ ও তার রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা শুনে নাও। (সূরা বাকারা, আয়াত : ২৭৮-২৭৯)এখানে সুদ পরিহারের জন্য কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।অন্যত্র আল্লাহ বলেন— الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسযারা সুদ খায়, তারা (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির মতো দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে। (সূরা বাকারা, আয়াত : ২৭৫)হাদিসের আলোকেরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুদ সম্পর্কে বলেছেন—اجْتَنِبُوا السّبْعَ المُوبِقَاتِ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ وَمَا هُنّ؟ قَالَ: الشّرْكُ بِاللهِ، وَالسّحْرُ، وَقَتْلُ النّفْسِ الّتِي حَرَّمَ اللهُ إِلّا بِالحَقِّ، وَأَكْلُ الرِّبَا৭টি ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বেঁচে থাকো। সাহাবারা জিজ্ঞাসা করলেন, সেগুলো কী? তিনি বললেন, আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা, জাদু করা, অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা, এবং সুদ খাওয়া।(সহীহ বুখারি ও মুসলিম)অন্য এক হাদিসে তিনি ইরশাদ করেন—رَأَيْتُ اللَّيْلَةَ رَجُلَيْنِ أَتَيَانِي، فَأَخْرَجَانِي إِلَى أَرْضٍ مُقَدَّسَةٍ، فَانْطَلَقْنَا حَتَّى أَتَيْنَا عَلَى نَهَرٍ مِنْ دَمٍ فِيهِ رَجُلٌ قَائِمٌ وَعَلَى وَسَطِ النَّهَرِ رَجُلٌ بَيْنَ يَدَيْهِ حِجَارَةٌ، فَأَقْبَلَ الرَّجُلُ الَّذِي فِي النَّهَرِ، فَإِذَا أَرَادَ الرَّجُلُ أَنْ يَخْرُجَ رَمَى الرَّجُلُ بِحَجَرٍ فِي فِيهِ، فَرَدَّهُ حَيْثُ كَانَ، فَجَعَلَ كُلَّمَا جَاءَ لِيَخْرُجَ رَمَى فِي فِيهِ بِحَجَرٍ، فَيَرْجِعُ كَمَا كَانَ، فَقُلْتُ مَا هَذَا؟ فَقَالَ: الَّذِي رَأَيْتَهُ فِي النَّهَرِ آكِلُ الرِّبَا.আমি স্বপ্নে দেখলাম, এক ব্যক্তি রক্তের নদীতে দাঁড়িয়ে আছে। যখনই সে নদী থেকে বের হতে চায়, নদীর তীরের এক ব্যক্তি তার মুখে পাথর ছুড়ে তাকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এই ব্যক্তিটি হল সুদখোর। (সহিহ বুখারি)সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশ কেন সুদ?সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে সরকার নির্দিষ্ট একটি মেয়াদে বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং এর বিপরীতে একটি নির্ধারিত লভ্যাংশ প্রদান করে। এই লভ্যাংশ মূলত বিনিয়োগের উপর সুদের ভিত্তিতে নির্ধারিত। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের উপর অতিরিক্ত মুনাফা পান, যা ইসলামি শরীয়তে সুদ হিসেবেই গণ্য হয়।সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশ কেন গ্রহণযোগ্য নয়? সঞ্চয়পত্রের মেয়াদে বিনিয়োগকারী মূলধন ফেরত পান না। বরং নির্ধারিত হারে লভ্যাংশ পান।এই লভ্যাংশ কোনো উপঢৌকন নয়, বরং মূলত সুদ।ইসলামী শরীয়ত সুদ গ্রহণ ও প্রদানে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।ইসলামের আহ্বান: আল্লাহ তায়ালা আমাদের সুদ থেকে বিরত থাকতে আদেশ করেছেন এবং সুদ গ্রহণকারীদের জন্য কঠোর শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ آكِلَ الرِّبَا وَمُؤْكِلَهُআল্লাহ তার লানত দিয়েছেন সুদ গ্রহণকারী, সুদ প্রদানকারী, সুদের দলিল লেখক এবং সাক্ষীদের উপর। (সহিহ মুসলিম)সমাধান:  যারা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করেছেন, তাদের উচিত দ্রুত সুদ থেকে মুক্ত হওয়া এবং এই অর্থ কোনো দাতব্য কাজে ব্যয় করা, যাতে এটি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার না হয়।আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুদ এবং সকল প্রকার হারাম কাজ থেকে বাঁচার তৌফিক দান করুন। আমীন।এইচএ
    ৮ জানুয়ারি: নামাজের সময়সূচি
    ইসলামের ৫টি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম। পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। কেয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের। তাই যতই ব্যস্ততায় থাকুক না কেন ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়াক্তে নামাজ পড়া হলেও মিরাজের পর থেকে নামাজের বর্তমান রীতি চালু হয়। আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম হিসাবে নামাযই একমত্র মাধ্যম। আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই নামায পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন। নামাজের গুরুত্ব ও ফায়েদা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে অসংখ্য হাদিন বর্ণনা করেছেন।আজ বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ইংরেজি, ২৪ পৌষ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বাংলা, ৭ রজব ১৪৪৬ হিজরি। ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো-নামাজের সময়সূচিফজর- ৫:২৪ মিনিট।জোহর- ১২:০৮ মিনিট।আসর- ৩:৫০ মিনিট।মাগরিব- ৫:৩০ মিনিট।ইশা- ৬:৪৮ মিনিট।আজ সূর্যাস্ত- ৫:২৭ মিনিট।আজ সূর্যোদয়- ৬:৪২ মিনিট।বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তা হলো-বিয়োগ করতে হবে-চট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট।সিলেট: -০৬ মিনিট।যোগ করতে হবে-খুলনা: +০৩ মিনিট।রাজশাহী: +০৭ মিনিট।রংপুর: +০৮ মিনিট।বরিশাল: +০১ মিনিট।এইচএ

    Loading…