এইমাত্র
  • একযুগ পর 'তাণ্ডবে' এক হচ্ছেন শাকিব খান ও জয়া আহসান
  • ১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত, অপেক্ষায় আরও ৩৫ জন
  • বাধা পেয়ে সড়কেই বসে পড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা
  • মুন্সীগঞ্জে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের সন্ধান চেয়ে থানায় হামলা ও ভাঙচুর
  • সাবেক সিএমপি কমিশনার সাইফুল ইসলাম গ্রেফতার
  • গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, চিকিৎসাধীন কাশেম মারা গেছেন
  • জুলাই আন্দোলন নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ
  • ওসি-এসআইসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার চাঁদাবাজির মামলা
  • জুলাই আন্দোলনে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা: জাতিসংঘ
  • ববিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি গঠন
  • আজ বুধবার, ২৯ মাঘ, ১৪৩১ | ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

    বিচিত্র

    যে মুরগির একটি ডিম কিনতে গুনতে হবে ১৬শ’ টাকা!
    মুরগি বা চিকেন খাবার হিসেবে প্রায় সব দেশেই জনপ্রিয়। দামও মানুষের অনেকটা নাগালের মধ্যে। তবে মুরগির ঝোল কিংবা ঝাল ফ্রাই, ফ্রায়েড চিকেন বা রোস্ট যেভাবেই পাখি প্রজাতির এই প্রাণীটির মাংস খাওয়ার কথা ভাবতে পারেন একজন সাধারণ বাংলাদেশি, তাতে কালো মুরগির কথা ভাবেন না প্রায় কেউই। কারণ খুব সাধারণ, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছে কালো মুরগি পরিচিত নয়। কিন্তু এই কালো মুরগিকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে দামি মুরগি। আর যে মুরগিই এত দামি তার ডিমতো ১৬শ’ টাকা দাম হবেই।এবার তাহলে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি এই মুরগির মূল্যটা জেনে নিন। এই এক মুরগির দাম নাকি কয়েক লাখ টাকা। শুনে চোখ কপালে ওঠার মতোই অবস্থা। না, আপনি ভুল পড়েননি। ইন্দোনেশিয়ার জাভা দীপে বেড়ে ওঠে বিরল এই মুরগির নাম আইয়াম চিমানি। আইয়াম অর্থ মুরগী আর চিমানি মানে সম্পূর্ণ কালো। বাস্তবে এই মুরগি দেখতে একদমই কালো। এই মুরগির হাড়, মাংস, এমনকি জিহ্বা-সবই কালো। শুধুমাত্র রক্ত অন্যান্য প্রাণীর মতোই লাল। তবে কেনো এই মুরগির সব অঙ্গপ্রতঙ্গ কালো? বিজ্ঞানীরা বলেন, ফাইব্রোমেলানোসিস নামের জেনেটিক মিউটেশন থেকে এই মুরগির রং কালো হয়ে থাকে। অন্যান্য জাতের মুরগির গায়ের রঙের জন্য শুধুমাত্র কয়েকটি কোষ দায়ী। আর আইয়াম চিম্যানির পুরোপুরি কালো হওয়ার পেছনে কারণ হলো এর প্রায় সব কোষের পিগমেনটেশন।যুক্তরাষ্ট্র, চায়না, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, নেদারল্যান্ডসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ নানা মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ার এই মুরগি সংগ্রহ করেন। অনেকে এর বাচ্চা কিনে লালন পালন করেন। পুরো মুরগি কালো হলেও এই মুরগির ডিম কিন্তু কালো নয়। সাধারন ডিমের মতোই এর রঙ। ইন্দোনেশিয়ায় এই মুরগীর সর্বোচ্চ দাম দুই হাজার থেকে ছয় হাজার ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশি টাকায় যা ছয় লাখ টাকার বেশি। প্রতিটি ডিমের দাম ১৬ ডলার যা ১৬০০ টাকার বেশি।ইন্দোনেশিয়ার বাইরে একেক দেশে একেক দামে বিক্রি হয় এটি। যুক্তরাষ্ট্রে যদিও আইয়াম চিম্যানি ২০০০ থেকে ৩০০০ ডলারে বিক্রি হয়। তবে ভালো মানের মুরগি ৯ থেকে দশ হাজার ডলার পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে ভালো মান বোঝা যায় মুরগির মুখ ও জিহ্বা কতটা কালো তা দেখে। যত কালো তত ভালো। খুবই শান্ত ও অনুগত স্বভাবের এই মুরগীর এতো বেশি দামের মূল কারণ মূলত এর মাংস। চর্বিহীন এই প্রাণীর মাংসের স্বাদ জাদুকরী।সাধারণ মুরগির মাংসের চেয়ে এই মাংসে আছে অনেক বেশি প্রোটিন। যার কারণে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ এটি অনেক বেশি পছন্দ করেন। এছাড়াও ভিটামিন এ ডি ই, আয়রন ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টিগুণ আছে এতে। আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র‌্যরডিকেলের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে শরীরকে রক্ষা করে। শুধুমাত্র খাবার হিসেবেই নয় এই মুরগির বিভিন্ন অংশ ওষুধ ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানেও ব্যবহার করা হয়। ইন্দোনেশিয়ানদের অনেকে এটিকে দামী পোষা প্রাণী হিসেবে বাড়িতে পুষে থাকেন। ইন্দোনেশিয়ায় এই মুরগিটি মোটামুটি পরিচিত হলেও, অন্যান্য দেশে এগুলো হাজার হাজার ডলারে বিক্রি হয়। এটি স্পোর্টস চিকেন নামেও বিখ্যাত।প্রাণীটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে অনেক ধরনের বিশ্বাস প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করেন, কালো রঙের কারণে এরা সুপারন্যাচারাল ক্ষমতার অধিকারি এবং পৃথিবীব্যাপী বিচরণ করতে পারে। এই মুরগির প্রথম ডিম খেলে সন্তানধারণ হয় বলেও স্থানীয়দের বিশ্বাস। তবে কোনো দম্পতি চাইলে প্রথম ডিমটি টাকা ছাড়াই তাদের দিয়ে দেন ইন্দোনেশিয়ানরা। বিভিন্ন ওষুধের কাজে এই মুরগি ব্যবহার করা হলেও তার নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম। এটি অসুস্থ্য হলে কালো রঙ ধীরে ধীরে বিবর্ণ হতে শুরু করে। তাই এই মুরগিকে সুস্থ্য রাখতে হলে অবশ্যই খুব সাবধানে এবং যত্ন সহকারে লালন পালন করতে হয়। সাধারণত ৬ থেকে ৮ বছর বাঁচে এই প্রাণী। এই মুরগির পালনও বেশ কষ্টসাধ্য এবং জটিল। এরজন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি মুরগির সঠিক জোড়া। সঠিক জোড়া না হলে তাদের মাধ্যমে অন্য জাতের মুরগির জন্ম নিতে পারে। যার রঙ কালো না হয়ে সাদা কিংবা অন্য রঙেরও হতে পারে।এমআর
    শরীরের পোড়া ক্ষত সারাতে তেলাপিয়া মাছের চামড়ার ব্যবহার
    ব্রাজিলের ফোর্টালেজ খুবই দরিদ্র এলাকা হিসেবে পরিচিত। এই স্থানের অধিকাংশ বাসিন্দাই দিন আনা, দিন খাওয়া মানুষ। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটে থাকে। এই কথা মাথায় রেখে চিকিৎসক এডমার ম্যাসিয়েল, মার্সেলো বোরগেস এবং তাঁর দল সান্টোসের ক্ষত স্থানে মাছের ছালের প্রলেপ দিয়ে চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেন। আর শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সফলও হয়ে যান তাঁরা। বিকল্প ছাল দিয়ে দগ্ধ অঙ্গ সারিয়ে তোলার প্রথা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। মানুষের চামড়ার পাশাপাশি এই কাজে কৃত্রিম চামড়া ও শুয়োরের ছালও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ব্রাজিলের মতো দেশে এই ধরনের সামগ্রীর যা যোগান তাতে দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব। তবে তেলেপিয়া এমন একটি প্রজাতির মাছ যা মোটামুটি সব জায়গাতেই কম-বেশি পাওয়া যায়। তাই এই রোগীর শরীরের পুড়ে যাওয়া ক্ষত সারাতে চিকিৎসকরা তেলাপিয়া মাছের ত্বকের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখছেন। এই পদ্ধতিতে অনেকের উপরেই চিকিৎসা চালিয়েছেন তাঁরা এখন পর্যন্ত সাফল্য পাওয়ার কথাই জানাচ্ছেন তারা।• ওষুধের প্রয়োজন নেইব্রাজিলের গবেষকরা বলছেন, পোড়া ক্ষতের চিকিৎসায় তেলাপিয়া মাছের ত্বক ব্যবহার করে সাধারণ উপায়ে চিকিৎসার চেয়ে কম সময়ে সুফল পাওয়া গেছে। এই চিকিৎসায় বাড়তি কোনও ওষুধেরও প্রয়োজন হয় না।• মানুষের ত্বকের মতোতেলাপিয়ার ত্বকে মানুষের ত্বকের প্রায় সমপরিমাণ আর্দ্রতা আর কোলাজেন প্রোটিন আছে। এছাড়া তেলাপিয়ার ত্বক মানুষের ত্বকের মতোই রোগপ্রতিরোধী বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। তাদের দাবি, তেলাপিয়ার ত্বক ব্যথা উপশমে সহায়ক।• চলিত উপকরণের অভাবপোড়া ক্ষতের চিকিৎসায় সাধারণত শুকরের চামড়া ও মানুষের টিস্যু ব্যবহার করা হয়। পশ্চিমা দেশগুলোতে আছে আরও বিকল্প ব্যবস্থা। কিন্তু ব্রাজিলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রায়ই এসবের অপ্রতুলতা দেখা দেয়। ফলে গজ, ব্যান্ডেজ দিয়ে পোড়ার চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু এতে সমস্যা হচ্ছে, দু’দিন পরপর ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করতে হয়, যা অনেক সময় বেদনাদায়ক।• তেলাপিয়া চিকিৎসায় ব্যথা নেই ক্ষতের জায়গায় সরাসরি তেলাপিয়ার ত্বক লাগানো হয়। তারপর ব্যান্ডেজ দিয়ে সেটি আটকে রাখা হয়। কোনও ক্রিমের প্রয়োজন নেই। প্রায় ১০ দিন পর চিকিৎসকরা সেটি খোলেন। এই ক’দিনে তেলাপিয়ার ত্বক শুকিয়ে যাওয়ায় পোড়া ক্ষতের স্থান থেকে সেটি খোলার সময় রোগী ব্যথা পান না।• জীবাণুমুক্ত করামানুষের শরীরে ব্যবহারের আগে তেলাপিয়ার ত্বককে জীবাণুমুক্ত করা হয়। বিভিন্ন স্টেরিলাইজিং এজেন্ট ব্যবহার করে এটি করা হয়। একবার জীবাণুমুক্ত করার পর দুই বছর পর্যন্ত তেলাপিয়ার ত্বক চিকিৎসা কাজে ব্যবহার করা যায়। ছবিতে জীবাণুমুক্ত তেলাপিয়ার ত্বক দেখা যাচ্ছে।• পরীক্ষাব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এখন পর্যন্ত ৫৬ জন রোগীর ওপর এই বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন।• চীনে প্রথমচীনের গবেষকরা প্রথম পোড়া ক্ষতের চিকিৎসায় তেলাপিয়া মাছের ত্বক ব্যবহার করা যায় কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে ইঁদুরের ওপর সেটি প্রয়োগ করেছেন। তবে ব্রাজিলের গবেষকরাই প্রথম মানুষের ওপর তেলাপিয়ার ত্বক প্রয়োগ পরীক্ষা করে দেখছেন।• খরচ ৭৫ শতাংশ কমগবেষক চিকিৎসকরা বলছেন, ব্রাজিলে বর্তমানে ক্ষতের চিকিৎসায় যে ক্রিম ব্যবহার করা হয় তার পরিবর্তে তেলাপিয়ার ত্বক ব্যবহার করলে চিকিৎসা খরচ কমবে প্রায় ৭৫ শতাংশ। কারণ, ব্রাজিলে ব্যাপকভাবে চাষ হওয়া তেলাপিয়া মাছের ত্বক সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়।• বাণিজ্যিক ব্যবহারকম মূল্য ও কম সময়ে আরোগ্য লাভ করা যায় বলে চিকিৎসকরা আশা করছেন এই চিকিৎসা পদ্ধতি বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হবে। এ লক্ষ্যে তারা ব্যবসায়ীদের প্রতি তেলাপিয়ার ত্বক জীবাণুমুক্ত করে চিকিৎসাকাজে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।এবি 
    এই যন্ত্রের মাধ্যমে মরদেহকে মাটি বানিয়ে বাড়ি নিয়ে গাছ লাগানো হয় !
    ২২ বছর বয়সী ছেলে মাইলের মরদেহ ট্রাকে করে নিয়ে আসেন লরা মাকেনহোপট। তবে এটি যে তার ছেলে তা বোঝার উপায় নেই। কারণ তার মরদেহটি মাটি বানিয়ে ফেলা হয়েছে। ওয়াশিংটনের একটি প্রতিষ্ঠান তার ছেলের নিথর দেহকে প্রায় দেড়শ কেজি মাটিতে পরিণত করে দিয়েছে। আর এই মাটি নিয়ে তিনি বাড়ি ফেরেন। পরবর্তীতে সেগুলো বাড়ির আঙ্গিনায় রেখে সেখানে ফুলের গাছ লাগান তিনি।‘আর্থ ফানারেল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই কাজটি করছে। এটির সিইও টম হ্যারিস বলেছেন, মৃতদেহ কবরস্থ করার পর যেভাবে ধীরে ধীরে মাটিতে পরিণত হয়। ঠিক সেভাবেই এটি হচ্ছে। তবে আমরা শুধু বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করছি। বিষয়টি জলবায়ু ও পৃথিবীর জন্য অনুকূল। কারণ মরদেহ দাহ করলে যে কার্বন নিঃসরণ হয়, এটি করলে তার তুলনায় কম হয়। অপরদিকে কবরস্থ করার জন্য যে রাসায়নিক ব্যবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে সেটি করতে হচ্ছে না।মাইলের মরদেহ থেকে তৈরি করা মাটি রাখা হয়েছে তার বাড়ির বাগানে। সেই মাটিতে লাগানো হয়েছে একটি গোলাপ গাছ। আর বেশিরভাগ মাটি রাখা হয়েছে মাইলের প্রিয় চেয়ারটির পাশে।তার মা মাকেনহোপট বলেন, “যতবারই গোলাপ ফুলটির কুঁড়ি বের হয়। তখনই আমি এটি বেশ আগ্রহ নিয়ে দেখি। এটি একটি উপহার। মনে হয় মাইল যেন অল্প সময়ের জন্য এসেছে। বিষয়টি অসাধারণ।”“মরদেহ দাহ বা কবরস্থ করার চেয়ে এ বিষয়টি ভিন্ন। ওইগুলোর ক্ষেত্রে আপনি শেষকৃত্যের আয়োজন করেন। এরপর সব শেষ। আর মরদেহ মাটিতে পরিণত করার মাধ্যমে নতুন গল্পের শুরু হয়।”— যোগ করেন মাকেনহোপট।মরদেহ কীভাবে মাটিতে পরিণত করা হয়‘আর্থ ফানারেল’-এর সিইও টম হ্যারিস অন্তোষ্টিক্রিয়া প্রতিষ্ঠানে বহু বছর কাজ করেছেন। তবে নিজের মৃত্যুর চিন্তা থেকে তিনি মরদেহকে মাটিতে পরিণত করার বিষয়টি উদ্ভাবন করেন। কারণ তিনি চান না তার মৃত্যুর পর তার মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা বা কবরস্থ করা হোক।যুক্তরাষ্ট্রে এখন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় পন্থা হলো মরদেহ দাহ করা (প্রায় ৬০ শতাংশ)। কারণ কবরস্থ করার চেয়ে এটি বেশি সাশ্রয়ী।কিন্তু মরদেহ দাহ করলে এটি পরিবেশের ক্ষতি করে। অপরদিকে কবরস্থ করলে বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এটিও পরিবেশের জন্য ক্ষতি।কীভাবে মরদেহটি মাটিতে পরিণত করা হয় সেটি জানান টম হ্যারিস। তিনি বলেন, এটি খুবই কম সময় নেয়। মরদেহটিকে জীবাণুবিয়োজ্য কাফনে মোড়ানো হয়। এবং এটিকে লম্বা লোহার ক্যাপসুলে রাখা হয়। মরদেহটির সঙ্গে দেওয়া হয় কাঠের খণ্ড, গাছের শিকরের পাশে থাকা ভেজা খড় ও পাতা এবং বনফুল। যখন মরদেহটি মাটিতে পরিণত হওয়া শুরু করে তখন এটি নাইট্রোজেন নিঃসরণ করে। অপরদিকে কাঠ, গাছের শিকর এগুলো থেকে বের হয় কার্বন। যেহেতু ক্যাপসুলটি একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখা হয়, এতে মরদেহটি মাটিতে পরিণত হয়। যা সম্পন্ন হতে লাগে ৪৫ দিন। এরপর প্রায় দেড়শ কেজি মাটিতে পরিণত হয়। হ্যারিস জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যরা যতটুকু খুশি ততটুক মাটি নিতে পারেন। আর বাকিটা ওয়াশিংটন এবং ক্যালিফোর্নিয়ার প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ স্থলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে বেড়ে ওঠে গাছপালা।সূত্র: সিএনএনএবি 
    খাবার দিতে দেরি করায় বিয়ে ভেঙে দিয়ে চাচাতো বোনকে বিয়ে করলেন বর
    ভারতের উত্তর প্রদেশের চান্দাউলিতে এক বর খাবার পরিবেশনে বিলম্বের অভিযোগে বিয়ে ভেঙে দিয়ে নিজের চাচাতো বোনকে বিয়ে করেছেন। এই ঘটনায় হতবাক কনে ও তার পরিবার ন্যায়বিচারের জন্য পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।এতে বলা হয়েছে, অতিথিদের বহর নিয়ে বিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন চান্দৌলির এক বর। কিন্তু কনে পক্ষ খাবার পরিবেশন করতে দেরী করায় রাগেই বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সেদিনই নিজের চাচাতো বোনকে বিয়ে করেছেন বর। কেবল খাবার পরিবেশনে বিলম্বের জেরে বিয়ে না করে ফিরে যাওয়ায় কনের পরিবারের পক্ষ থেকে বরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।নববধূ ও তার পরিবার পুলিশের কাছে বিচার দাবি করেছেন। তারা বলেছেন, বিয়ের অনুষ্ঠানের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেও তারা বরের পরিবারকে দেড় লাখ রুপি দিয়েছিলেন।স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে কনে বলেন, সাত মাস আগে মেহতাব নামের এক তরুণের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়। গত ২২ ডিসেম্বর বরপক্ষের অতিথিরা হামিদপুর গ্রামে কনের বাড়িতে আসেন। এ সময় হবু বর মেহতাব ও তার আত্মীয়স্বজনদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান কন পক্ষের লোকজন।কনে বলেন, আমি সেদিন সকাল থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। বর ও তার পরিবার এসে খাওয়া-দাওয়াও করেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে হঠাৎ করেই বিয়ের অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করার আগে আমার বাবা-মাকে গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন বর ও তার পরিবারের লোকজন। পরে আমি বিচারের জন্য পুলিশের কাছে যাই।তিনি বলেন, বিয়ের অতিথিরা খেতে বসলে মেহতাবকে খাবার পরিবেশন করতে কিছুটা বিলম্ব হয়। তার বন্ধুরা তাকে এ নিয়ে কটু কথা বলেন এবং মজা করেন। এতে বর মেহতাব রেগে যান এবং কনের পরিবার ও আত্মীয়দের সাথে দুর্ব্যবহার করেন তিনি। এর ফলে সেখানে উভয়পক্ষের লোকজনের মাঝে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।এ সময় গ্রামের জ্যেষ্ঠ বাসিন্দারা সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মেহতাব গাঁট বাঁধতে অস্বীকার করেন এবং বাড়িতে ফিরে যান। পরে সেদিনই মেহতাব তার এক চাচাতো বোনকে বিয়ে করায় অবাক হয়ে যায় কনের পরিবার।মেহতাবের বিয়ের কথা জানতে পেরে কনে ও তার বাবা-মা অভিযোগ দায়ের করার জন্য গত ২৩ ডিসেম্বর শিল্পনগরীর পুলিশ থানায় যান। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে কনের মা বলেন, বিয়ে না করে বর ফিরে যাওয়ায় তাদের মোট ৭ লাখ রুপির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কারণ তারা বিয়ের সব ধরনের আয়োজনের অর্থ পরিশোধ করেছিলেন। এমনকি বর পক্ষের প্রায় ২০০ জন অতিথির খাবারের ব্যবস্থাও তারা করেছিলেন।এছাড়া বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে বরের পরিবারকে দেড় লাখ রুপি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগে বলেছেন তিনি। পরে থানার জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা উভয়পক্ষকে তলব করেন। সেখানে বিষয়টির সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধানে রাজি হয় উভয়পক্ষ।থানার সার্কেল অফিসার রাজেশ রাই বলেন, থানায় উভয়পক্ষের মাঝে একটি লিখিত চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এতে নারীর পরিবারকে এক লাখ ৬১ হাজার রুপি বরপক্ষ ফেরত দেবে বলে নিশ্চিত করা হয়।
    ১০০ বছরের বর, ১০২ বছরের কনে: প্রেমের বিশ্বরেকর্ড গড়লেন এক দম্পতি
    প্রেমের কোনো বয়স নেই—এ কথা আরও একবার প্রমাণ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার বার্নি লিটম্যান (১০০) ও মার্জরি ফিটারম্যান (১০২)। এই বিয়েতে তারা শুধু জীবনের সায়াহ্নে নতুন শুরু করলেন তা নয়, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও নাম লেখালেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতি হিসেবে।প্রেমের অদ্ভুত যাত্রাপ্রায় দশ বছর আগে ফিলাডেলফিয়ার একটি সিনিয়র সিটিজেন সেন্টারের কস্টিউম পার্টিতে তাদের প্রথম দেখা হয়। তখনই তাদের মধ্যে এক অদ্ভুত বন্ধন তৈরি হয়। দীর্ঘ সময় ধরে প্রেমের পর চলতি বছরের মে মাসে তারা জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। পরিবারের সদস্য ও সেন্টারের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।বিশ্ব রেকর্ডগিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, তাদের সম্মিলিত বয়স ২০২ বছর, যা এর আগে কোনও বিবাহিত দম্পতির ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। এই রেকর্ড শুধু তাদের বয়সের জন্য নয়, জীবনের প্রতি তাদের ইতিবাচক মনোভাব এবং সাহসিকতার জন্যও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।পরিবারের প্রতিক্রিয়াবার্নি ও মার্জরির উভয়েরই সন্তান ও নাতি-নাতনি রয়েছে। তাদের পরিবার এই বিয়ে নিয়ে আনন্দিত। বার্নির নাতনি সারাহ সিকারম্যান বলেন, "বর্তমান জীবনের নানা দুঃখ ও চ্যালেঞ্জের মধ্যে এই সম্পর্ক এক ধরনের বিশেষ অনুভূতি এনে দেয়। জীবনের শেষ মুহূর্তে কারও সঙ্গ পাওয়া সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।"প্রেমের জয়বার্নি ছিলেন একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং মার্জরি ছিলেন শিক্ষিকা। তাদের আগের সঙ্গীরা মারা যাওয়ার পর তারা জীবনের সায়াহ্নে একে অপরকে নতুনভাবে খুঁজে পান।বার্নি ও মার্জরি প্রমাণ করলেন, ভালোবাসার কোনো সময়সীমা নেই। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উদযাপন করার জন্য এই বিয়ে কেবল তাদের নয়, গোটা বিশ্ববাসীর জন্য এক অনুপ্রেরণার গল্প।"বয়স শুধু একটি সংখ্যা"—বার্নি ও মার্জরি এই কথা জীবন্ত করে তুলেছেন।এসএফ 
    নিলামে এক কলার দাম ৭৪ কোটি
    ছোট বেলায় বানরের কলা খাওয়ার বহু অংক হয়তো কষেছেন আপনি। কিংবা মনে মনে মন কলা খাওয়ার অংকও কষতে হয়েছে আপনাকে। তবে সেসব হিসেবে এবার ভুলে যেতে পারেন এক ঝটকায়। মাত্র একটি কলার দাম শুনলেই। মিটে যাবে এ জীবনে আর কলা খাওয়ার স্বাদ।একটি কলা কত টাকায় কিনে খাবেন আপনি? ১০-২০ কিংবা সর্বোচ্চ ৫০ টাকা। কিন্তু এবার একটি কলা নিলামে বিক্রি হয়েছে ৭৪ কোটি টাকার বেশি দামে! এমনটি দেখার পর চোখ ছানাবড়া হতেই পারে আপনার। বুধবার এমন ঘটনা ঘটেছে নিলামে। বিশেষ সেই কলাটি কিনেছেন চীনের ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতিষ্ঠাতা জাস্টিন সান।বিশেষ এই কলাটির এই দামের পেছনে জড়িয়ে আছে শিল্প। কলাটিকে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকিয়ে এটিকে একটি শিল্প হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ২০১৯ সালে এই শিল্পটি ‘কমেডিয়ান’ শিরোনামে সবার সামনে তুলে ধরেন ইতালীয় শিল্পী মাউরিজিও ক্যাটেলান।সেবার তার এই বিশেষ দেয়ালে আটকানো কলার শিল্পকর্ম দেখতে জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। মায়ামি আর্ট বাসেলে সেবার এমনই ভিড় হয়েছিল যে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য এবং প্রদর্শনীতে থাকা অন্যান্য কাজগুলিকে রক্ষা করার জন্য প্রদর্শনীটি নামিয়ে দিতে হয়েছিল।সেটিই এবার নিলামে তোলা হয়। নিউইয়র্কে সোথবি’সে নিলামে এর মূল্য ধরা হয় ৮ লাখ ডলার। পরে যা শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয় ৬.২ মিলিয়ন ডলারে। যদিও নিলামের আগে ধারণা করা হচ্ছিল এটি সর্বোচ্চ ১.৫ মিলিয়নে বিক্রি হতে পারে।কলাটি নিলামে কিনলেও এটি যেহেতু পচনশীল তাই এটি পচে গেলে এটি প্রতিস্থাপনের দায়িত্ব ক্রেতাকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন সোথবি'স।তাদের মতে, ‘এটি শুধু একটি আর্টওয়ার্ক নয়। এটি একটি সাংস্কৃতিক ঘটনাকে প্রতিনিধিত্ব করে যা শিল্প, মেমস এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্প্রদায়ের জগতে সেতুবন্ধন করে। আমি বিশ্বাস করি এই অংশটি ভবিষ্যতে আরও চিন্তা ও আলোচনাকে অনুপ্রাণিত করবে এবং ইতিহাসের অংশ হয়ে যাবে।’বিশেষ এই কলার শিল্পী ক্যাটেলান অবশ্য বরাবরই সাহসী কাজের জন্য পরিচিত। এর আগে একটি সোনার টয়লেট এবং একটি উল্কা দ্বারা আঘাত করা পোপের একটি ভাস্কর্য করে ছিলেন তিনি।এসএফ
    মেয়ে সুন্দরী হচ্ছে দেখে গোপনে ডিএনএ টেস্ট করলেন বাবা!
    মেয়েকে দিন দিন সুন্দর হতে দেখে সন্দেহ হয় বাবার। তিনি খেয়াল করে দেখেন, বাবা-মা কারও সঙ্গেই মেয়ের চেহারার মিল নেই। পরে গোপনে ডিএনএ টেস্ট করে নিশ্চিত হন যে, ওই মেয়ের বাবা তিনি নন। এরপর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটে। ভিয়েতনামের হো চি মিন শহরে ঘটেছে এ ঘটনা।তবে ঘটনার শেষ এখানেই নয়। স্বামীর এই অভিযোগ অস্বীকার করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান মেয়ের মা। তার নাম হং ও মেয়ের নাম ল্যাং। বাবার নাম প্রকাশ করা হয়নি। শহর ছেড়ে মেয়েকে নতুন স্কুলে ভর্তি করেন হ্যাং। কিন্তু সেখানে আরও চমক অপেক্ষা করছিল তার জন্য।সেই স্কুলে নতুন এক মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ল্যাংয়ের। তাদের দুজনের জন্মসাল ও দিনও এক ছিল। তাই বন্ধুত্বও হয় গাঢ়। জন্মদিনে দুজনের জন্য অনুষ্ঠান করেন মেয়ের মা। আর সেখানেই ল্যাংকে দেখে বিস্মিত হয়ে যান তিনি। একদম নিজের কিশোর বয়সের ছাপ দেখতে পান ল্যাংয়ের মাঝে। পরে তিনি ল্যাংয়ের মার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং জন্ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। আলোচনায় বেরিয়ে আসে যে, দুজন মেয়েই একই সময়ে একই হাসপাতালে জন্ম নেয়। নার্সদের ভুলে তারা ভুল বাবা-মার কাছে পৌঁছায় আর সেখানেই বড় হতে থাকে। বিষয়টি জানার পর ল্যাংয়ের বাবাও আবার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেন।সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন দুই পরিবারই একসঙ্গে সময় কাটায়। তবে মেয়েদের বিষয়টি জানাননি তারা। উপযুক্ত সময়ে সবকিছু জানানোর পরিকল্পনা তাদের।এফএস
    গিনেজ বিশ্বরেকর্ডের স্বীকৃতি পাওয়া ক্যাসিয়াসের মৃত্যু
    অস্ট্রেলিয়ার বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে বিশ্বের বৃহত্তম বন্দী কুমির ক্যাসিয়াসের মৃত্যু হয়েছে।শনিবার (২ নভেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, প্রায় ১৮ ফুট লম্বা, ১ টন ওজনের ক্যাসিয়াসের বয়স হয়েছিল আনুমানিক ১১০ বছর।১৯৮৪ সালে উত্তর অস্ট্রেলিয়ার একটি জলাভূমিতে ধরা পড়ে ক্যাসিয়াস। পরে এটিকে কুইন্সল্যান্ডের গ্রিন আইল্যান্ডে অবস্থিত মারিনল্যান্ড ক্রোকোডাইল পার্কে নিয়ে আসা হয়।২০১১ সালে বিশ্বের বৃহত্তম বন্দী কুমির হিসেবে গিনেজ বিশ্বরেকর্ডের স্বীকৃতি পায় ক্যাসিয়াস।মেরিনল্যান্ড মেলানেশিয়া ক্রোকোডাইল হ্যাবিট্যাটের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ক্যাসিয়াসকে গভীরভাবে মিস করা হবে। সে আমাদের ভালবাসা ও স্মৃতিতে-হৃদয়ে চিরকাল থাকবে।’জানা যায়, ক্যাসিয়াস মূলত একটি লবণাক্ত পানির কুমির, যা এই প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বড় ধরনের কুমির হিসেবে পরিচিত। কুমির সাধারণত দীর্ঘ জীবনযাপন করতে পারে এবং লবণাক্ত পানির কুমিরের ক্ষেত্রে বয়স ৭০ বছরের বেশি হতে পারে। তবে ক্যাসিয়াসের বয়স আরও বেশি ছিল।এসএফ 
    ভিন্ন চিত্র, কেক কেটে বিবাহবিচ্ছেদ উদযাপন তরুণীর!
    বিবাহবিচ্ছেদ উদযাপনের জন্য বন্ধুদের ডেকে পার্টি করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন এক তরুণী। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিবাহবিচ্ছেদ উদযাপন করতে বন্ধুদের নিয়ে কেক কেটে আনন্দ-ফুর্তি করছেন তিনি।পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী বন্ধুদের উপস্থিতিতে ‘হ্যাপি ডিভোর্স’ লেখা একটি কেক কেটেছেন। এছাড়া তার স্বামীর নামখচিত একটি ওড়নাও কাঁচি দিয়ে কাটতে দেখা যায় তাকে। এসময় বিয়ের ছবিগুলোও ছিঁড়ে ফেলেন ওই তরুণী।বিবাহবিচ্ছেদের পর তার এমন কর্মকাণ্ডে সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। নেটিজেনরা বলছেন, বিবাহবিচ্ছেদ অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। এটিকে এমন খেলোভাবে উপস্থাপন নিরর্থক।কেউ কেউ আবার তরুণীর কর্মকাণ্ডকে ‘বিয়ের পবিত্রতা’র প্রতি অসম্মানসূচক আখ্যা দিয়েছেন।তথ্যসূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন 
    পাত্রের বেতন কম শুনে বিয়ে ভেঙে দিলেন তরুণী
    বাগদানের দিনক্ষণ নিয়ে আলাপ শুরু হয়ে গিয়েছিল, বিয়ের কার্ডের নকশা নিয়েও আলোচনা করতে চেয়েছিলেন উভয় পক্ষ। কিন্তু বাধ সাধল পাত্রের বেতন! বিয়েই ভেঙে দিলেন পাত্রী। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এই ঘটনা।একটি ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটে আলাপ হয় দুজনের। নতুন সংসার পাতবেন বলে উৎসাহী ছিলেন তাঁরা। পাত্রের উপার্জন কম জানতে পেরে শুরু হয় তর্ক। সেই কথোপকথনের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন পাত্র নিজেই।ভাইরাল ওই পোস্টের মাধ্যমে জানা যায়, বাগদানের জন্য পাত্রকে তাড়া দিচ্ছিলেন পাত্রী। এই নভেম্বর মাসেই আংটিবদলের প্রস্তাব দেন তিনি। এর পর ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটে প্রোফাইলের একটি ভুলের কথা জানান পাত্র। তিনি জানান, তাঁর বার্ষিক আয় ৩০ লাখ নয়, ৩ লাখ টাকা। ভুলে একটি বাড়তি শূন্য পড়ে গেছে। এর জন্য ক্ষমাও চান তিনি। কিন্তু এর পরই রেগে যান ওই নারী। অবশেষে বিয়ে ভেঙে দেন। এমনকি ওই ব্যক্তিকে গালাগালি করতে শুরু করেন তিনি। মেয়ের সঙ্গে তাঁর মা যুক্ত হয়ে হুমকি দেন। পুরো পরিবারের নামে পুলিশে অভিযোগ জানানোর হুমকি দেন তাঁরা। পরবর্তীতে এই কথোপকথনের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন ওই ব্যক্তি।এফএস
    যেসব দেশে মুসলিমদের বসবাস বা ধর্মপ্রচার নিষিদ্ধ!
    এই পৃথিবীতে বর্তমানে জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত দেশ রয়েছে ১৯৩টি। এর বাইরে আরও ২টি দেশকে তারা পর্যবেক্ষক দেশের তালিকায় রেখেছে। দেশ ২টি হচ্ছে ভ্যাটিকান সিটি এবং ফিলিস্তিন। এরমধ্যে মুসলিম দেশ রয়েছে ৫৭টি। এসব দেশের আনাচে কানাচে ধর্ম-বর্ণভেদে কোটি কোটি মানুষের বসবাস। এরমধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে ২০০ কোটিরও বেশি। ধারণা করা হয়, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই কমবেশি মুসলিমদের বসবাস রয়েছে। তবে এই ধারণাটি হোচট খেয়েছে কয়েকটি দেশে গিয়ে। কেননা, বিশ্বে এমন কিছু দেশ আছে যেখানে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং এসব দেশে নেই কোনো মসজিদও। শুধু তাই নয়, এই দেশগুলোতে ইসলাম ধর্ম প্রচারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়।  চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন দেশ আছে এই তালিকায়।ইসলামবিরোধী এই দেশগুলোর মধ্যে প্রথম তালিকায় আছে ভ্যাটিকান সিটি-ভ্যাটিকান সিটিএটি বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে কোনো মুসলমান বাস করে না। ইতালির রাজধানী রোমের কাছে ভ্যাটিকান সিটিতে শুধুমাত্র খ্রিস্টানরাই থাকতে পারে। পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম এই দেশে মুসলমানদের বসবাস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।  এর মোট জনসংখ্যা প্রায় ৮০০ এবং এটি একটি সম্পূর্ণরূপে ধর্মীয় স্থান।সলোমন দ্বীপপুঞ্জএই তালিকায় রয়েছে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের নামও। এখানকার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৭ লাখ, তবে মুসলমানের সংখ্যা ৭০-এরও কম। ১৯৯৫ সালে তাবলিগ জামাতের মাধ্যমে কিছু লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেও বর্তমানে দেশে ইসলামের প্রকাশ্য প্রচারের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এখানে একটি ছোট মসজিদও রয়েছে, যেটি অপসারণের জন্য প্রায়ই বিক্ষোভ হয়।উত্তর কোরিয়াউত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে ইসলামসহ অন্য সব ধর্ম অনুসরণ করাও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এখানে মন্দির, মসজিদ বা গির্জা নির্মাণ করা আইনত অপরাধ। বিবিসি জানায়, এক সময় এখানে মুসলমানের সংখ্যা ছিল তিন হাজার, কিন্তু এখন তা শূন্যের কাছাকাছি। এখানে যেসব মুসলমান ছিল তারা হয় দেশ ছেড়ে চলে গেছে; নয়তো নিহত হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন নাস্তিকতায় বিশ্বাসী এবং ইসলাম প্রচার করলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।স্লোভাকিয়াস্লোভাকিয়া বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে আজ পর্যন্ত কোনও মসজিদ নির্মিত হয়নি। মুসলমানরা এখানে মসজিদ বানাতে পারে না, মাদ্রাসা চালাতে পারে না। স্লোভাকিয়া এক সময় অটোমান সাম্রাজ্যের একটি অংশ ছিল; যেখানে মুসলমানরা ৩০০ বছর ধরে শাসন করেছিল।কিন্তু আজ মুসলিম জনসংখ্যা নগণ্য। এখানে প্রথম হাসপাতালও মুসলিম শাসকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু আজ মুসলমানদের ওপর অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে সেখানে।এসএফ 
    ৮০ হাজার বছর পর পৃথিবীর খুব কাছে এলো ধূমকেতুটি
    প্রতি ৮০ হাজার বছর পর পর দেখা যায় ধূমকেতুটি। এ-থ্রি বা সুচিনশান-অ্যাটলাস নামের ওই ধূমকেতু পৃথিবীর প্রায় ৪ কোটি ৪৯ লাখ মাইলের মধ্যে এসেছিল। এমন বিরল সুযোগ কাজে লাগিয়ে, সুচিনশান-অ্যাটলাসের ছবি তুলেছেন মহাকাশ ফটোগ্রাফাররা।রবিবার স্কাই নিউজ জানিয়েছে—যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়া জুড়ে মহাকাশ ফটোগ্রাফারেরা কাঙ্ক্ষিত ওই ধূমকেতুর ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন। তবে এর মানে এই নয় যে, ছবি তোলার সুযোগটি শেষ হয়ে গেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ধূমকেতুটির ছবি তোলা সম্ভব হবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তথ্য অনুযায়ী, এই ধূমকেতু প্রতি ৮০ হাজার বছর পরপর পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান হয়। সেই অর্থে এই ধূমকেতুটি সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল, যখন মানুষের নিয়ান্ডারথাল প্রজাতি পৃথিবীতে বিচরণ করত।  ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দুটি মানমন্দির স্বাধীনভাবে ওই ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেছিল। এর মধ্যে একটি মানমন্দির ছিল—চীনের সুচিনশান অবজারভেটরি এবং অন্যটি দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাটলাস। পরে এই দুটি মানমন্দিরের নামে ধূমকেতুটির নামকরণ করা হয় সুচিনশান-অ্যাটলাস। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ধূমকেতুটি আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান হবে। এই সময়ের মধ্যে ডিজিটাল সিঙ্গেল-লেন্স রিফ্লেক্স ক্যামেরা ব্যবহার করে ধূমকেতুটির ছবি পাওয়া সম্ভব বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
    স্ত্রী বিকিনি পরবেন বলে আস্ত দ্বীপ-ই কিনে ফেললেন ব্যবসায়ী স্বামী!
    স্ত্রীকে খুশি করতে কত ধরণের উপহারই না দিয়ে থাকেন স্বামীরা। কিন্তু এবারে এক স্বামীর উপহারে শুধু তাঁর স্ত্রী নয়, একাধিক মহিলারা তাঁর উপর মুগ্ধ হয়ে গিয়েছে। স্ত্রী যাতে ইতস্তত বোধ না করে খোলামেলাভাবে বিকিনি পরতে পারে, তার জন্য গোটা একটা আইল্যান্ড কিনে ফেললেন মিলেনিয়ার স্বামী। দ্বীপের দাম ৫০ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি অর্থে ৫৯৭ কোটি ৩৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।২৬ বছরের সৌদি আল নাদাক নামে একজন গৃহবধূ ইনস্টাগ্রামে খুবই অ্যাক্টিভ। জানা গেছে, সৌদি আল নাদাক আদতে যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা। দুবাইতে আসেন পড়াশোনা করতে। সেই সময়ই জামালের সঙ্গে সাক্ষাত্‍। তিন বছর আগে তিনি দুবাইয়ের সেই মিলেনিয়ার ব্যবসায়ীকে তিনি বিয়ে করেন। বর্তমানে সুখে সংসার করছেন। সৌদি প্রতিদিন নিজের লাইফস্টাইল স্টোরি শেয়ার করে থাকেন। সম্প্রতি তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি এবং তাঁর স্বামী প্লেনে করে উড়ে তাদের প্রাইভেট দ্বীপে। ভিডিওটির উপরে লেখা, 'বিকিনি পরতে চেয়েছিলাম, মিলেনিয়ার স্বামী দ্বীপ কিনে দিয়েছে।' এর পাশাপাশি ক্যাপশনে লেখেন, 'এখনও পর্যন্ত এটা তাঁর সবথেকে সেরা বিনিয়োগ।'নেটিজেনরা তাঁর স্বামীর কীর্তিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। একদল নেটিজেন স্বামী প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যায়। অন্যদিকে, আর একদন নেটিজেন দম্পতির  সম্পদের 'দেখানো'র জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হন। একজন নেটিজেন লেখেন, 'হাসব্যান্ড অফ দ্য ইয়ার'। আর একজন লেখেন, 'কেন আমরা এনার স্বামী পাই না।' অন্য একজন লেখেন, 'আমারও এইরকম একজন স্বামী চাই, এরকম পাত্র কোথায় পাওয়া যায়।' আবার একদিকের নেটিজেন লেখেন, 'এনাকে কেউ শাহজাহানের তাজ মহলওয়ালা পুরস্কার দিয়ে দিন।' একজন লেখেন, 'দুবাইয়ের লোকজন সবাইকে গরীব করে ছাড়বে।'
    রহস্যঘেরা যে স্থানটিতে চিরতরে হারিয়ে গেছে ২০ হাজারের বেশি মানুষ
    বিপজ্জনক বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের চেয়ে বেশি মানুষ চিরতরে হারিয়ে গেছে রহস্যঘেরা আলাস্কা ট্রায়াঙ্গল থেকে। আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে রহস্যময়ভাবে হারিয়ে যায় যাত্রীবাহী জাহাজ, উড়োজাহাজ। এদিকে, ১৯৭০ সাল থেকে আলাস্কা ট্রায়াঙ্গল এলাকায় নিখোঁজ হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। ভিনগ্রহের বাসিন্দা ইউএফও আর বিগ ফুট সেখানে দেখা যাওয়ার নানা কাহিনি রয়েছে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের মতোই এই অঞ্চলের শক্তিশালী তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ ও ভিনগ্রহের প্রাণীদের এর জন্য দায়ী করেছেন কেউ কেউ। আলাস্কা ট্রায়াঙ্গলের অঞ্চলটির দক্ষিণে দুটি স্থান হচ্ছে জুনাও এবং অ্যাংকোরেজ এবং উত্তরে উপকূলীয় শহর উটকোয়েগভিগ অবস্থিত। ত্রিভুজাকৃতির এলাকাটি আলাস্কা ট্রায়াঙ্গল নামে পরিচিতি পেয়েছে। আলাস্কার অন্য সব অঞ্চলের মতো এখানেও জনবসতি কম। কিন্তু এখানে মানুষ চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার হার যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অঞ্চলের দ্বিগুণের বেশি। অসংখ্য অস্বাভাবিক এবং রহস্যময়ী ঘটনার গল্পও শোনা যায় এই এলাকায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭০ সাল থেকে গত ৫৪ বছরে জায়গাটি থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছেন ২০ হাজার মানুষ। অবশ্য এই সংখ্যা নিয়ে কিছু মতভেদ রয়েছে।রহস্যঘেরা অতিপ্রাকৃত এই এলাকাটি নিয়ে প্রচলিত আছে নানা ধরনের ভয়ার্ত গল্প। এখানে থাকতে পারে ‘সাসকুয়াচ’ বা ‘বিগফুটে’র মতো প্রাণীদের বিভিন্ন শহরে আতঙ্ক ছড়ানোর গল্পও। যেমন কেনাই পেনিনসুলার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত পোর্টলক নামের এক শহরকে ঘিরে জন্ম নেওয়া সেই কাহিনিটির উদাহরণ টানা যায়। শহরটি ১৯৫০- এর দশকে পরিত্যক্ত হয়। কথিত আছে ‘নানতিনাক’ নামের একটি অচেনা প্রাণী শহরের বাসিন্দাদের আক্রমণ করে মেরে ফেলছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতেও আলাস্কা ট্রায়াঙ্গল থেকে অনেক মানুষ রহস্যজনকভাবে হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও আলাস্কার কেবল এক শতাংশ এলাকায় মানব বসতি আছে, তারপরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্য যেকোনো রাজ্যের তুলনায় এখানে মানুষ নিখোঁজের হার বেশি। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য অনুয়ায়ী, এই সংখ্যা প্রতি লাখে ৪২ দশমিক ১৬ জন। এদিক থেকে এর পরের অবস্থানে রয়েছে অ্যারিজোনা। সেখানে সংখ্যাটি লাখে ১২ দশমিক ২৮। আর দেশটির অন্য রাজ্যে এমন রহস্যজনক নিখোঁজের গড় হচ্ছে সাড়ে ছয়। প্রথম যে নিখোঁজের ঘটনা আলাস্কা ট্রায়াঙ্গলের প্রতি মানুষের মনে কৌতূহলের জন্ম দেয় সেটি ঘটে ১৯৭২ সালে। মার্কিন কংগ্রেসম্যান হেল বোগস, নিক বেগিচ, তাদের একজন সহকারী এবং পাইলট সন্দেহভাজন উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পরে নিখোঁজ হন। অ্যাংকোরেজ থেকে জুনাও যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু ৪০ দিনের অনুসন্ধান অভিযানে কারও দেহ তো পাওয়া যায়ইনি, এমনকি মেলেনি উড়োজাহাজটির কোনো ধ্বংসাবশেষ। এবি 
    বিয়ের তিন মিনিটের মাথায় বিচ্ছেদ!
    বিয়ে হয়েছে তবে সংসার শুরু করার আগেই কবুল বলার মাত্র তিন মিনিটের মাথায় বিচ্ছেদ হয়েছে এক  দম্পতির। ঘটনাটি ঘটেছে কুয়েতে। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক মাধ্যমে এটিকে ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ের বিয়ে বলে দাবি করেন নেটিজেনরা।   দাম্পত্য জীবনে অনেক সময়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হয় না। একটা সময় যা বিচ্ছেদে গিয়ে গড়ায়। কিন্তু এত কম সময়ে ডিভোর্স সত্যিই বিরল। কিন্তু কীভাবে ভাঙল বিয়ে!সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বর নাকি কনেকে অপমানজনক কথা বলেন। জানা যায়, তাকে বিয়ে সেরে বেরনোর পরই এক তুচ্ছ ঘটনার জন্য নববধূকে ‌‘বোকা’ বলে  বিদ্রুপ করে বসেন তিনি। আর তাতেই নববধূ ক্ষেপে যান। মাত্র কয়েক মিনিট আগেই বিয়ে সেরে বের হচ্ছিলেন দম্পতি। অনুষ্ঠান শেষে দম্পতি যখন কোর্ট হাউস থেকে বেরোচ্ছিলেন, তখনই হোঁচট খান কনে। আর তারপরই ধপাস করে যান পড়ে।    আর সদ্য বিবাহিত বউ পড়ে যেতেই বর তাকে বোকা বলে বিদ্রুপ করেন। এ কথা শোনামাত্রই রেগে লাল হয়ে যান নববধূ। তাকে কোনোভাবেই শান্ত করা সম্ভব হয়নি। তিনি বিচারকের কাছে গিয়ে অবিলম্বে তাদের বিয়ে বাতিল করতে বলেন। নববধূর যুক্তি শুনে, তার দাবি মেনে নেন বিচারকও। মাত্র তিন মিনিটের মাথায় বিয়ে বাতিল করে দেন তিনি।  ঘটনাটি ঘটেছিল ৫ বছর আগে। কোনো কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার তা ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কনের পাশে দাঁড়িয়েছেন, কেউ আবার বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।মাইক্রোব্লগিং প্লাটফর্মে এক ব্যক্তি লেখেন, সম্মান ছাড়া বিবাহ শুরু থেকেই ব্যর্থ হয়। আরেকজন আবার লিখেছেন, কেউ যদি শুরুতেই এভাবে আচরণ করে তাহলে তাকে ছেড়ে দেওয়াই ভালো। এর আগে ২০০৪ সালে যুক্তরাজ্যের এক দম্পতি বিয়ের মাত্র ৯০ মিনিটের পরে বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন। দম্পতির নাম ছিল, স্কট ম্যাককি ও ভিক্টোরিয়া অ্যান্ডারসন। কনে বরযাত্রীদের কথায় অপমানিত বোধ করার পর বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন।এবি 

    Loading…