এইমাত্র
  • সৌদিতে বাংলাদেশি যুবককে জবাই করে হত্যা
  • লাইসেন্স ফেরত চায় সিটিসেল
  • সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী গ্রেপ্তার
  • নারীদের বোরকা নিয়ে আদৌ কী 'আপত্তিকর' মন্তব্য করেছেন জামিল আহমেদ?
  • ডিসি নিয়োগ নিয়ে সচিবালয়ে হট্টগোল, বাতিল হতে পারে দুই প্রজ্ঞাপন
  • বিতর্কে জড়ালেন শিল্পকলার নতুন ডিজি
  • শেখ হাসিনা-রেহানাদের পূর্বাচলের প্লট বরাদ্দ বাতিল চেয়ে রিট
  • গাজীপুরে ট্রাকের চাপায় নারী পোশাক শ্রমিক নিহত, সড়ক অবরোধ
  • মণিপুরে ব্যাপক সংঘর্ষ, ইন্টারনেট বন্ধ ঘোষণা
  • ‘২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিল ফাইনালে খেলবে’
  • আজ বুধবার, ২৬ ভাদ্র, ১৪৩১ | ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    জাতীয়

    সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী গ্রেপ্তার
    সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ মঙ্গলবার রাতে তাকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি টিম।ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রাতে তাকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা আছে।’ তৌফিক-ই-ইলাহী বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে আছেন। তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।এফেএস
    ডিসি নিয়োগ নিয়ে সচিবালয়ে হট্টগোল, বাতিল হতে পারে দুই প্রজ্ঞাপন
    গত দুই দিনে দেশের ৫৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন এ পদায়নে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে সচিবালয়ে হট্টগোল করেছেন উপসচিব পর্যায়ের এক দল কর্মকর্তা। মঙ্গলবার দুপুরে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কে এম আলী আযমের কক্ষে গিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তারা যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে ‘এককভাবে ডিসি পদায়নের তালিকা তৈরির’ অভিযোগ তোলেন। বিএনপি-জামায়াতপন্থি ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তাদের অভিযোগ, নতুন পদায়ন পাওয়া কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই হাসিনা সরকারের ফিটলিস্টের কর্মকর্তা ও সুবিধাভোগী। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এ কর্মকর্তাদের ডিসি নিয়োগ করা হয়েছে বলে তাদের দাবি। এ নিয়ে দিনভর সচিবালয়ে চলে হট্টগোল।পরে কর্মকর্তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গত দুই দিনে জারি করা ডিসি নিয়োগের দুই প্রজ্ঞাপন বাতিল করার দাবি জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন তাদের দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেন। দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব গতরাতেই বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারকে জানিয়েছেন। প্রজ্ঞাপন দুটি বাতিল করে নতুনভাবে পদায়ন হতে পারে।নাম দেখতে না পেয়ে হট্টগোল:গতকাল ৩৪ জেলায় জেলা প্রশাসক দেওয়ার পর প্রজ্ঞাপনে নিজেদের নাম দেখতে না পেয়ে ২৪, ২৫ ও ২৭ ব্যাচের এক দল উপসচিব বিক্ষুব্ধ হন। কর্মকর্তারা জানান, সোমবার ২৫ জনকে ডিসি পদায়ন করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেখানে তিনজন ছিলেন বঞ্চিত কর্মকর্তা। সিলেটের ডিসিসহ বেশির ভাগ ডিসিই হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী ও ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিল। এর মধ্যেই গতকাল দুপুরে আরও ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি পদায়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুপুরে বিসিএস ২৪, ২৫ ও ২৭ ব্যাচের ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা এপিডি অনু বিভাগের দুই কর্মকর্তা ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং কে এম আলী আযমের কক্ষে প্রবেশ করে জানতে চান– কীভাবে এ ধরনের ব্যক্তিদের ডিসি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হলো? এ সময় যুগ্ম সচিব আলী আযম উত্তেজিত হয়ে উঠলে বঞ্চিতরা ক্ষেপে যান। শুরু হয় হইচই, হট্টগোল। এনএসআইর একজন কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করতে গেলে ফোন ছিনিয়ে নেন বঞ্চিতরা। এ সময় ওই কর্মকর্তার সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। পরে আলী আযম খবর দিলে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা সেখানে যান। কর্মকর্তারা দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা পদোন্নতি বঞ্চিত ছিলেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি তাদের উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে। ডিসি হওয়ার জন্য তাদের প্রত্যাশা ছিল, কারণ তারা চাকরিজীবনে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। তারা যুগ্ম সচিবের কাছে জানতে চান, কেন তিনি এককভাবে তালিকা তৈরি করলেন? কেন মেধা, যোগ্যতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে তালিকা করা হলো না? কীভাবে গত সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট এত বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা ডিসি পদে পদায়ন পেলেন?জবাবে কে এম আলী আযম বলার চেষ্টা করেন, তিনি প্রস্তাব তৈরি করেননি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও একজন উপদেষ্টার নাম উচ্চারণ করে তিনি বলেন, তারাই সব কিছু চূড়ান্ত করেছেন। এ পর্যায়ে কর্মকর্তারা তাঁকে বলেন, তাহলে আপনি আমাদের সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে চলুন। আপনি তাঁর সামনে বলুন, আপনি কোনো প্রস্তাব দেননি। তিনি যেতে অস্বীকৃতি জানালে উপসচিবরা বলেন, তারা নিশ্চিত হয়েছেন কে এম আলী আযমই এককভাবে তালিকা তৈরি করেছেন।বেলা ৩টার দিকে বঞ্চিতরা দুই কর্মকর্তাকে কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। তিনি চলে গেলে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কর্মকর্তারা দুই যুগ্ম সচিবকে নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কক্ষে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। এ সময় আলী আযম টয়লেটে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। প্রায় ২ ঘণ্টা পর সিনিয়র কর্মকর্তারা তাঁকে বের করেন। পরে দুই কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল ৫টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ‘বঞ্চিতরা’। তারা বঞ্চিতদের দাবির বিষয়টি সরকারকে জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।ভিডিও ফুটেজ:যুগ্ম সচিবের রুমে হট্টগোলের একটি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেখানে দেখা যায়, নতুন পদায়ন পাওয়া কয়েকজন ডিসির সঙ্গে পদায়ন না পাওয়া উপসচিবরা হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েছেন। ওই সময় সেখানে ছিলেন উপসচিব নজরুল, সাইফুল, নুরুল, শাহীন, রেবেকা, বদরুলসহ ২৫-৩০ জন। জনপ্রশাসনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কয়েকজন উপসচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, পুরো তালিকা এককভাবে যুগ্ম সচিব আলী আযম তৈরি করেছেন। জনপ্রশাসন সচিব নতুন। তিনি সব কর্মকর্তাকে এখনও চেনেন না। আর মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জনপ্রশাসনের পাঠানো তালিকার ওপর ভরসা রেখেছিলেন। তারা বুঝতেও পারেননি গত সরকারের আমলে বঞ্চিতরা এ সরকারের আমলে এভাবে আরেক দফা বঞ্চিত হবেন।এসব বিষয়ে কে এম আলী আযমের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনে কল করা হলেও তা রিসিভ হয়নি।নতুন ডিসি হলেন যারা:গতকাল ৩৪ জনকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগের দিন সোমবার ২৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে গত ২০ আগস্ট এসব জেলার ডিসি প্রত্যাহার করা হয়েছিল।গতকাল ডিসি হিসেবে পদায়ন পাওয়াদের মধ্যে অর্থ বিভাগের উপসচিব মনোয়ার হোসেন মোল্লাকে মানিকগঞ্জ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. সাবেত আলীকে টাঙ্গাইল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদারকে সিরাজগঞ্জ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তোশাখানা ইউনিটের পরিচালক (উপসচিব) মোস্তাক আহমেদকে সাতক্ষীরা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আশরাফুর রহমানকে ঝালকাঠি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খানকে পিরোজপুর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব বনানী বিশ্বাসকে নেত্রকোনা, আরপিএটিসির উপপরিচালক মনোয়ারা বেগমকে রাজবাড়ী, ওয়াক্‌ফ প্রশাসকের কার্যালয়ের উপ-ওয়াক্‌ফ প্রশাসক হাছিনা বেগমকে জামালপুরের ডিসি করা হয়েছে।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আব্দুস সামাদকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব সুফিয়া আক্তার রুমীকে লক্ষ্মীপুর, জয়িতা ফাউন্ডেশনের পরিচালক (উপসচিব) মোছা. ইয়াসমিন আক্তারকে মাদারীপুর, জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ফৌজিয়া খানকে কিশোরগঞ্জ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমানকে রাজশাহী, নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ দিদারুল আলমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পরিকল্পনা বিভাগের উপসচিব ফাতেমা তুল জান্নাতকে মুন্সীগঞ্জ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব মো. আব্দুল আজিজকে শরীয়তপুর, অর্থ বিভাগের উপসচিব আহমেদ কামরুল হাসানকে বাগেরহাট, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিরীক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে পটুয়াখালী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়াকে সুনামগঞ্জ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব মো. আজাদ জাহানকে ভোলা, খুলনা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক (উপসচিব) সিফাত মেহনাজকে মেহেরপুর, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানকে পঞ্চগড়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (উপসচিব) মো. আজহারুল ইসলামকে যশোর, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে বরগুনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহানকে নড়াইলের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।গত দু’দিনে নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে শেরপুরের ডিসি তরফদার মাহমুদুর রহমান সাবেক আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক সচিব মইনুল কবিরের পিএস ছিলেন। ফরিদপুরের ডিসি কামরুল হাসান মোল্লা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাভারের ইউএনও ছিলেন। তিনি ঢাকার ডিসি হিসেবে পদায়ন পাওয়া তানভীর আহমেদের ভগ্নিপতি। নাটোরের ডিসি রাজীব কুমার সরকারের শ্বশুর যতীন সরকার। তিনি ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। জয়পুরহাটের নবনিযুক্ত ডিসি মো. সাইদুজ্জামান টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের ইউএনও থাকা অবস্থায় ২১ ফেব্রুয়ারি অফিশিয়াল বনভোজনের আয়োজন করেছিলেন। এ কারণে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। আর চাঁদপুরের ডিসি মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনকে গত ২৭ মার্চ রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে পদায়ন করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার।সিলেটের ডিসি প্রত্যাহার: সিলেটের ডিসি পি কে এম এনামুল করিমকে নিয়োগ দেওয়ার পরদিনই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। গতকাল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব শের মাহবুব মুরাদকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।আওয়ামী লীগের শাসনামলে ২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ফেনী শহরের এসএসকে সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে চড় মেরেছিলেন তৎকালীন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পি কে এম এনামুল করিম। সেই ঘটনায় বিব্রত হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।সূত্র: সমকাল।এফএস
    শেখ হাসিনা-রেহানাদের পূর্বাচলের প্লট বরাদ্দ বাতিল চেয়ে রিট
    আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বরাদ্দ করা ৬০ কাঠা প্লট বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী এ রিট করেন।রিটকারী ১০ আইনজীবী হলেন মো. রেজাউল ইসলাম, আল রেজা মো. আমির, মো. গোলাম কিবরিয়া, মোহাম্মদ হারুন, মো. বেলায়েত হোসেন সোজা, কামরুল ইসলাম রিগান, হাসান মাহমুদ খান, শাহীনুর রহমান শাহীন ও মো. জিল্লুর রহমান।রিটে প্লট বরাদ্দের সঙ্গে জড়িত এবং সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বরাদ্দের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতিকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।রিটকারী আইনজীবীরা জানান, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে নিজের নামে প্লট বরাদ্দ নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও প্লট নেন। এ ছাড়া ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক।তারা জানান, ২০২২ সালে শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের সদস্যরা প্লট বুঝে পান। পরে বিষয়টি রাষ্ট্রীয় অতি গোপনীয় বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ফলে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া খোদ রাজউকেরই অনেকে এ বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না।এ আইনজীবীরা আরও জানান, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ১০ কাঠা আয়তনের প্লট নিয়েছেন। প্রস্তাবিত কূটনৈতিক জোনে সব প্লট একত্রে সন্নিবেশিত করার সুযোগ দেয় রাজউক।এফএস
    এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দিতে চায় না ইসি, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি
     জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিতে দিতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই এ সংক্রান্ত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে চিঠি (ডিও লেটার) পাঠিয়েছেন ইসি সচিব। ওই আইনে এনআইডি শাখাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে ন্যস্ত করার বিধান দেওয়া আছে। আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইসি সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত ডিও লেটারটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জন বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির কাছে পাঠানো হয়েছে।চিঠিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার সফল বিপ্লব ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে গত ৫ আগস্ট বিগত সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। ফলস্বরূপ গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নবযাত্রা শুরু করেছে। আপনি অবগত আছেন যে, ২০০৭-০৮ সালে দল-মত নির্বিশেষে সকলের আস্থার জায়গা থেকে ইসির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনডিপিসহ নয়টি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার আর্থিক সহায়তায় আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রায় আট কোটি ১০ লাখ নাগরিকের ডেমোগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহপূর্বক জাতীয়ভাবে ভোটার ডাটাবেজ গড়ে তোলা হয়। সর্বশেষ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুসারে এই ডাটাবেজে প্রায় ১২ কোটি ১৯ লাখ নাগরিকের তথ্য রয়েছে।ইউএনডিপির সমীক্ষা অনুসারে, ভোটারদের এই সংগৃহীত ডাটা ৯৯ দশমিক সাত শতাংশ সঠিক বলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় ব্যতিরেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০১০ অনুসারে ইসির একই জনবল দিয়ে বিগত ১৭ বছর যাবৎ নিবন্ধিত নাগরিককে এনআইডি সেবা দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশব্যাপী ইসির নিজস্ব অবকাঠামো এবং প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল তৈরি হয়েছে।চিঠিতে আরও বলা হয়, তৎকালীন সরকার সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্যসমৃদ্ধ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংক্রান্ত কার্যক্রম ইসির পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ ছাড়া রুলস অব বিজনেস ভঙ্গ করে সুরক্ষা সেবা বিভাগের দায়িত্বের মধ্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম অন্তর্ভুক্তকরণ করে বিগত সরকার। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগের মতামত গ্রহণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও প্রক্রিয়ার কোনো পর্যায়েই ইসির মতামত গ্রহণ করা হয়নি।এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তরে দ্বিমত জানিয়ে ২০২১ সালের ৭ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠিয়ে বিগত কমিশন তার অবস্থান সুস্পষ্ট করে। কিন্তু, সেই মত উপেক্ষা করে গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০১০ বাতিল করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করা হয়। গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে উক্ত আইনটির কার্যকারিতার তারিখ নির্ধারিত না হওয়ায়, ইসির অধীনেই এখনও এনআইডি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯ (১) অনুসারে, ‘রাষ্ট্রপতি পদের ও সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত থাকিবে।’ অন্যদিকে, ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এবং এতদসংক্রান্ত উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে ভোটার তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ নির্বাচন ব্যবস্থাপনা তথা ভোটার তালিকা প্রণয়নে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতা খর্ব হবে প্রণয়নের ক্ষেত্রে ডাটা প্রাপ্তির জন্য নির্বাচন কমিশনকে সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন নিয়োগকৃত নিবন্ধকে সংবিধানে প্রদত্ত ইসির স্বাধীন অস্তিত্বের পরিপন্থী।এ ছাড়া আপনি জানেন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত দুটি ভিন্নধর্মী কাজ হলেও একই জনবল ও অর্থ দ্বারা একদিকে যেমন ভোটার তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের যুগোপযোগী উদ্যোগ, বাস্তবায়ন ও তত্ত্বাবধানে ভোটার তালিকার উপজাত হিসেবে নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি হচ্ছে, যা সর্বস্তরে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হলে ভোটার তালিকার তথ্য ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের অমিলের কারণে ভোট প্রদান বাধাগ্রস্ত হবে এবং নির্বাচন পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটবে। এছাড়া, তথ্যভান্ডারের শুদ্ধতা বিনষ্ট হওয়ার শঙ্কা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি নাগরিকদের তথ্যের গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুণ্ণ হতে পারে।সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নাগরিকগণের তথ্য সংরক্ষিত থাকায় কোন তথ্য বিকৃতিসহ তথ্যের অপব্যবহারের সুযোগ কম। বর্তমানে সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে বাংলাদেশি নাগরিকদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। একই প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এনআইডি কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে ডেটাবেজ মেনুপুলেট করার আশংকা দেখা দিবে এবং বিদ্যমান ভারসাম্য বিনষ্ট হবে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে রোল মডেল হিসাবে বিবেচনা করে জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো, সেন্ট লুসিয়া ও সেন্ট ভিনসেন্ট এন্ড গ্রানাডা দ্বীপপুঞ্জ ইত্যাদি দেশের নির্বাচন কমিশন সফলভাবে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ বাতিলের বিষয়টি আপনার নজরে আনার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার সদয় অনুমোদন দিয়েছেন।স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে নাগরিকদের নিয়ে যে সব ডাটাবেজ তৈরি হয়েছে তন্মধ্যে একমাত্র ভোটার তথা এনআইডি ডাটাবেজ ব্যতীত অন্য কোন ডাটাবেজ শতভাগ আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। যে কারণে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান নাগরিকদের পরিচিতি নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ডাটাবেজ ও নাগরিক সেবার উপর আস্থাশীল। যা নির্বাচন কমিশনের এক অনন্য অর্জন। জাতীয় স্বার্থে অমূল্য এ তথ্যভান্ডারকে সুসংহত রেখে অব্যাহত নাগরিক সেবা নিশ্চিতকল্পে নির্বাচন কমিশন হতে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিলে সদয় পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।এমএইচ
    ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অর্থনৈতিক পরিষদ গঠন
    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) গঠন করা হয়েছে। এতে ড. ইউনূসকে চেয়ারপারসন আর বাকি উপদেষ্টাদের এনইসির সদস্য করা হয়। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পরিষদকে সহায়তাদানকারী কর্মকর্তা হিসেবে থাকছেন-মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব/সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবরা। পরিষদের বৈঠক প্রয়োজনানুসারে অনুষ্ঠিত হবে। পরিকল্পনা বিভাগ পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।  এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১৮ জানুয়ারি জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে। পরিষদের কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত নীতি ও কৌশল গ্রহণে দিক-নির্দেশনা দেয়া, দীর্ঘমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও কর্মপন্থা চূড়ান্তকরণ এবং অনুমোদন প্রদান, বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা,  আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দিক-নির্দেশনা প্রদান এবং জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের দায়িত্ব পালনে সহায়ক বিবেচিত যে কোনো কমিটি গঠন।এমএইচ
    ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৩৪
      সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসে এখন পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে ১৯ জনের মৃত্যু হলো। এছাড়া একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩৪ জন। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।তথ্য অনুসারে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১০২ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৮১৯ জন।সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সোমবার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের হাসপাতালে। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং খুলনা বিভাগের হাসপাতালে একজন করে মোট তিনজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে সর্বোচ্চ ১২১ জন ভর্তি হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৩ জন ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে (সিটি করপোরেশনের বাইরে)। এ ছাড়া ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৯০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোয় ৭৮ জন, খুলনা বিভাগের হাসপাতালগুলোয় ৫৯, বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোয় ৩৭, রাজশাহী বিভাগের হাসপাতালগুলোয় ১৮, ময়মনসিংহ বিভাগের হাসপাতালগুলোয় ১৭ ও রংপুর বিভাগের হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ১ জন ভর্তি হয়েছেন।উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয় গত বছর। এ সময় ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। আর মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের।
    শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছেন: ড. ইউনূস
     শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ সহযোগিতা চান তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে উদ্ভাবন করতে হবে। বর্তমান সরকার শিক্ষা, অর্থ, শ্রম খাত, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন এবং ব্যবসার পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসব সংস্কারে নেদারল্যান্ডস সরকারের সহযোগিতা চাই। ডাচ রাষ্ট্রদূত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তার দেশের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের সঙ্গে কৃষি, সামুদ্রিক, শিল্প, যুব, জ্ঞান অর্থনীতি, শ্রম, পরিবেশ এবং বন্যা ব্যবস্থাপনাসহ ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করবে।অধ্যাপক ইউনূস ডাচ রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নেদারল্যান্ডসের নেতৃত্ব ও ব্যবসাসহ আমার সঙ্গে দীর্ঘ ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে উদ্ভাবন করতে হবে। বর্তমান সরকার শিক্ষা, অর্থ, শ্রম খাত, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন এবং ব্যবসার পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ সময় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা রোহিঙ্গাদের অবশ্যই শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। শিক্ষার অভাবে তাদের ভবিষ্যৎ যেন অন্ধকার না হয়।ডাচ রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন জানান, তারা কৃষি, পানিসহ সম্ভাব্য ব্যবসার ক্লাস্টারে আরও ডাচ বিনিয়োগ আনবে।  বৈঠকে এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ এবং ডেপুটি ডাচ রাষ্ট্রদূত থিজ ওয়াউডস্ট্রা উপস্থিত ছিলেন।এমএইচ
    সীমান্ত হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদের ভাষা শক্ত করেছি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
    পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সীমান্ত হত্যার ঘটনায় আমরা প্রতিবাদের ভাষা অনেক শক্ত করেছি। এটা নিয়ে আমরা যুদ্ধ বাধাব না।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী স্বর্ণা দাস নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। এরপরও সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটছে।প্রতিবাদে কাজ না হলে আমরা কি বিচার চাইব, এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা প্রতিবাদের ভাষা অনেক শক্ত করেছি। আপনারা খেয়াল করেছেন কি না, আমি জানি না। আমাদের এই মুহূর্তে এটুকুই করার আছে। আমরা তো এটা নিয়ে যুদ্ধ বাঁধাব না।তিনি বলেন, আমরা আশা করব, ভারত এ ব্যাপারে... এটা খুব সংবেদনশীল ইস্যু। সেটা আমরা প্রতি মুহূর্তে বলছি, আমরা আশা করব যে, তারা আমলে নেবে। আমরা বলেছি, যারা এটা করেছে, তাদের বিচারের সম্মুখীন করা হোক। এটা আমরা আমাদের নোটে উল্লেখ করেছি। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, আমরা এটার নিন্দা জানাই।পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গতকাল (বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে নিহত) যেটা হলো, সেটা নিয়েও আমরা একই রকম প্রতিবাদ জানাব। যেখানে আমাদের সুযোগ হবে, আমরা বলব। এটা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। দুই দেশের স্বার্থে উচিত এটা থেকে বেরিয়ে আসা। এটা ভারতের পক্ষে উপকার করছে বলে আমি কাউকে বলতে শুনিনি।এমএইচ
    ভোটের হিসাবে পিছিয়ে মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো: জরিপ
     ভোটের হিসাবে মাঠ ও অনলাইন দুই জরিপেই পিছিয়ে আছে মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশ নামক একটি গবেষণা সংস্থার ‘জনমতে ভোটের হিসাব: অনলাইন বনাম মাঠ জরিপ’ এ তথ্য উঠে আসে।সংস্থাটির মাঠপর্যায়ে ৫ হাজার ১১৫ জনের ওপর পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, তাদের ৩৪ শতাংশ এখনও নিশ্চিত নন, তারা কাকে ভোট দেবেন। তাদের ২১ শতাংশ বিএনপিকে ভোট দিতে চান। জামায়াত ইসলামীকে ভোট দিতে চান ১৪ শতাংশ। এছাড়া ১০ শতাংশ ছাত্র-সমর্থিত নতুন দলকে, ৫ শতাংশ আওয়ামী লীগ, ৩ শতাংশ স্বতন্ত্র ও ৩ শতাংশ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ভোট দেয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।অনলাইনে জরিপে অংশগ্রহণকারী ৩ হাজার ৫৮১ জনের ফলাফল যাচাই করে দেখা যায়, ছাত্র-সমর্থিত নতুন দলকে ৩৫ শতাংশ, জামায়াতে ইসলামীকে ২৫ শতাংশ, আওয়ামী লীগকে ১০ শতাংশ, বিএনপিকে ১০ শতাংশ, স্বতন্ত্র ৩ শতাংশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ১ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। তবে অনলাইন জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১০ শতাংশ এখনো নিশ্চিত নন তারা কাকে ভোট দেবেন। এছাড়া এদের মধ্যে কেউ জাতীয় পার্টিকে ভোট দেয়ার আগ্রহের কথা জানাননি। আর অন্যান্য দলকে ১ শতাংশ এবং কাউকেই ভোট না দেয়ার কথা জানিয়েছেন ৩ শতাংশ মানুষ।মাঠপর্যায়ে এই জরিপের ফলাফলে কৃষক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের কাছে বিএনপি এগিয়ে রয়েছে। তবে শিক্ষার্থী ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের কাছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা প্রায় কাছাকাছি। আর অনলাইন জরিপে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ শিক্ষার্থী, বেকার ও বেসরকারি চাকরিজীবীর কাছে জনপ্রিয়তায় জামায়াত এগিয়ে।জরিপের ফল প্রকাশের এই অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, এ ধরনের জরিপ রাজনৈতিক সংস্কার এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে ভবিষ্যত কর্মপদ্ধতি নির্ধারণে সহায়তা করবে। গত ২৯ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অফলাইন ও অনলাইনে চলানো হয় জরিপটি। এই জরিপে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।এমএইচ
    পাচারকৃত সম্পদ উদ্ধারে জাতিসংঘের সংস্থার সঙ্গে দুদকের বৈঠক
    জাতিসংঘ মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত কার্যালয়ের (ইউএনওডিসি) একটি প্রতিনিধি দল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে বৈঠক করেছে।মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারে এফবিআইর পর আজ জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করল দুদক। ইউএনওডিসির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রধান মার্কো তাইক্সিরা পাঁচ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।বৈঠক সূত্রে জানা যায়, এতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করা হয়। এছাড়া দুদকের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ করে অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও পাচার সম্পদ পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ইউএনওডিসির সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইউএনওডিসির প্রতিনিধি দল তাদের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।এর আগে সোমবার দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক করে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের একটি প্রতিনিধিদল। দুদকের একটি সূত্র জানায়, এফবিআইয়ের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলটি দুদকের মানি লন্ডারিং ও লিগ্যাল শাখার মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ সভায় অংশ নেন।দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন জানান, অর্থ পাচারের বিষয়ে প্রয়োজনে এফবিআইয়ের সহযোগিতা দুদক নেবে। দুদকে মানি লন্ডারিং উইং রয়েছে। টাকা ফেরত আনার বিষয়ে সব জায়গা থেকে সহযোগিতা নেবে দুদক। আমাদের কার্যক্রম চলমান।এসএফ 
    বিদ্যুতের পাওনা চেয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন গৌতম আদানি
     বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ পাওনা অর্থ চেয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।  দেশটির আরেক গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ আদানি গ্রুপ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ৮০ কোটি ডলার পায়। এ পাওনার জন্যই প্রধান উপদেষ্টার কাছে গৌতম আদানি চিঠি লিখেছেন।চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, আমরা যখন বাংলাদেশকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বজায় রাখছি, সেই সময়ে ঋণদাতারা আমাদের ওপর কঠোর হচ্ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে থেকে আমরা যে ৮০ কোটি ডলার পাই, সেই অর্থ দ্রুত পরিশোধ করার জন্য হস্তক্ষেপ করতে আপনাকে অনুরোধ করছি। বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ যে পাওনা হয়, তা নিয়মিত ভিত্তিতে পরিশোধ করার জন্যও তিনি অনুরোধ করছেন।একটি আধুনিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও প্রয়োজনীয় সঞ্চালনব্যবস্থা তৈরি করতে আদানি পাওয়ার ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনার দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতি আমি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করছি।ভারতের ঝাড়খান্ডের গড্ডায় ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আদানি গোষ্ঠী বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে বাংলাদেশে আট থেকে নয় মাস ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ আদানির ৮০ কোটি ডলার পাওনা হয়েছে। এ অর্থ পেতে এক বছর ধরে আদানির পক্ষ গোষ্ঠীটির কর্ণধার গৌতম আদানি থেকে শুরু করে কোম্পানির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে গেছে। এর আগে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনের বরাতে ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছিল, বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ বকেয়া পরিস্থিতি ‘টেকসই নয়’ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে আদানি গোষ্ঠী মনে করে। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে আদানি পাওয়ার বলেছে, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি এবং তাদের জানিয়েছি যে পরিস্থিতি আর টেকসই পর্যায়ে নেই। কারণ, আমরা একদিকে যেমন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি বজায় রাখছি, অন্যদিকে তেমনই আমাদের ঋণদাতা ও সরবরাহকারীদের কাছে দেওয়া অঙ্গীকারও রয়েছে।ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থ পরিশোধের দায় বাংলাদেশের সার্বিক জ্বালানি সংকটেরই একটি অংশ। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ–সংক্রান্ত দায়ের পরিমাণ ৩৭০ কোটি ডলারে উঠেছে।আর জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, আদানি বাংলাদেশের কাছে ৮০ কোটি ডলার পায়, তার মধ্যে ৪৯ কোটি ২০ লাখ ডলার পরিশোধ বিলম্বিত হয়েছে।এমএইচ
    গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে সভা শনিবার, খরচ ৫ কোটি টাকা
     ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে সভা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) জানিয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই স্মরণসভার খরচ ধরা হয়েছে ৫ কোটি টাকা।আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর)  অর্থ মন্ত্রণালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এটি অনুমোদন হয়েছে বলে জানান তিনি।সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত হবে।এমএইচসূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সব শহিদের স্মরণে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর স্মরণসভার আয়োজনের সিদ্ধান্ত  হয়েছে। স্মরণসভার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করবেন মো. নাহিদ ইসলাম। স্মরণসভা সম্পর্কিত সব কর্মকাণ্ড সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানান, শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সব শহিদদের স্মরণে একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হবে।তিনি বলেন, সরকার স্মরণসভায় শহিদদের পরিবারকে সর্বোচ্চ সম্মাননা দেবে। ‘বাংলা ব্লকেড’, ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ এবং ‘লংমার্চ টু  ঢাকা’ ঘটনাগুলোকে অবশ্যই তুলে ধরতে হবে। কারণ এই শব্দগুলো গণআন্দোলনে টনিক হিসেবে কাজ করেছে।তিনি আরও বলেন, স্মরণসভাটি এভাবেই আয়োজন করা হবে যাতে এটি জুলাইয়ের গণআন্দোলনের আবহ তৈরি করতে পারে।এমএইচ
    বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙা করতে ড. ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র
    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস-সহ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে অর্থনৈতিক সংলাপ শুরু করার পরিকল্পনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পোশাক রপ্তানিকারক বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার কাজে সহায়তার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই সংলাপের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। মঙ্গলবার ব্রিটেনের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন ঘটেছে গত ৫ আগস্ট। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের তিনদিন পর বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়।অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মাঝে প্রথমবারের মতো উচ্চ-পর্যায়ের অর্থনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সাথে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ৮৪ বছর বয়সী নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিনিধি দলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ, পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তর ও ইউএসএইডের কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সংলাপে বাংলাদেশের আর্থিক ও মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে। মার্কিন রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান বলেছেন, ‘‘প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক দুর্বলতা মোকাবিলা ও নিরবচ্ছিন্ন প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন নিশ্চিতে একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে পারবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী।’’তিনি বলেন, আইএমএফ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন সম্পৃক্ততার জন্য মার্কিন সমর্থন বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে ওয়াশিংটন। কারণ বাংলাদেশ আর্থিক খাতের সংস্কার গভীরতর করে আর্থিক টেকসইমূলক উন্নতি এবং দুর্নীতি হ্রাস করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করতে চায়। করোনাভাইরাস মহামারি আর ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে বিশ্ব বাজারে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে। অর্থনৈতিক এই সংকটে জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আঞ্চলিক উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ সাড়ে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেলআউটের জন্য ২০২২ সালে আইএমএফের দ্বারস্থ হয়।ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সংলাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের আর্থিক এবং মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।এমএইচ
    আমরা রাষ্ট্রের কাছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা চাইনি: হাসনাত আবদুল্লাহ
    বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম, বরিশালসহ বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় সফর করতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা। সফরকালে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। এই চিঠিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনারও জন্ম দিয়েছে। এবার সেই চিঠি নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেছেন, আমরা কোনো রাষ্ট্রীয় সফরে আসিনি, তাই রাষ্ট্রের কাছে অতিরিক্ত নিরাপত্তাও চাইনি।আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে হাসনাত আবদুল্লাহ এ কথা বলেন।হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, আমরা কোনো রাষ্ট্রীয় সফরে আসিনি। আমরা রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিক হিসেবে ছাত্র-জনতার কাছে এসেছি। একজন সাধারণ নাগরিক যেমন নিরাপত্তা পায়, আমরাও তেমন নিরাপত্তা চাই, এর বেশি নয়। জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো পুলিশ সদর দপ্তরের নোটিশের বিষয়ে আমরা অবগত নই। সরকারের কাছেও আমরা এমন কিছু চাইনি।তিনি আরও লিখেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আপামর ছাত্র সমাজ ও জনগণের প্ল্যাটফর্ম। ছাত্র-জনতাই আমাদের ভরসা ও নিরাপত্তা। সারা দেশের ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে আমরা যে সফর শুরু করেছি, তা ছাত্র-জনতার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণেই সফল হবে। এজন্য আমাদের কোনো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। ছাত্র-জনতাই আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে তিনি লেখেন, ছাত্র-জনতার প্রতি আমাদের আহ্বান, সব বিভ্রান্তি ও মনোমালিন্য দূরে সরিয়ে রেখে দেশ পুনর্গঠনে সংহতি ও ঐক্য বজায় রাখুন।
    সীমান্তে যাতে আর একটি প্রাণও না ঝরে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
     ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে যাতে আর কোনো বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয়, সে বিষেয় সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।সীমান্তে বিএসএফের বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্ডার কিলিং নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ করেছি। আমি আশা করবো ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।’এমএইচ

    Loading…