এইমাত্র
  • গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, চিকিৎসাধীন কাশেম মারা গেছেন
  • সৈয়দপুরে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেফতার
  • অপারেশন ডেভিল হান্ট: যশোরের শার্শায় গ্রেফতার ৫
  • একযুগ পর 'তাণ্ডবে' এক হচ্ছেন শাকিব খান ও জয়া আহসান
  • ১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত, অপেক্ষায় আরও ৩৫ জন
  • বাধা পেয়ে সড়কেই বসে পড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা
  • মুন্সীগঞ্জে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের সন্ধান চেয়ে থানায় হামলা ও ভাঙচুর
  • সাবেক সিএমপি কমিশনার সাইফুল ইসলাম গ্রেফতার
  • জুলাই আন্দোলন নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ
  • ওসি-এসআইসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার চাঁদাবাজির মামলা
  • আজ বুধবার, ২৯ মাঘ, ১৪৩১ | ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

    অর্থ-বাণিজ্য

    ‘আম্বালা ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
    দেশের এনজিও সেক্টরে দীর্ঘ তিন দশকের অধিক সময় ধরে অতি সুনামের সঙ্গে প্রান্তিক সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবা দিয়ে আসছে ক্ষুদ্রঋণ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘আম্বালা ফাউন্ডেশন’। দেশের যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগময় পরিস্থিতিতেও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৯৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি এনভায়রনমেন্ট কাউন্সিল বাংলাদেশ বা সংক্ষেপে ইসি বাংলাদেশ নামে যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে আম্বালা ফাউন্ডেশন করা হয়। সুনামের সাথে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ।আম্বালার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ সিকদারের ত্যাগ, শ্রম, মেধা, ধৈর্য্য আর তার সঙ্গে মিশে থাকা একদল সুদক্ষ, আন্তরিক কর্মীর সমন্বয়ে  বিন্দু থেকে সিন্দুতে পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। জানা যায়, বর্তমানে আম্বালা ফাউন্ডেশন দেশের ২১টি জেলার ২৪১টি শাখায় দুই হাজারের অধিক কর্মীর নিরলস পরিশ্রমে এক লক্ষ উনিশ হাজার মানুষের মাঝে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম সুসংগঠিত ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও দেশের যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগময় পরিস্থিতিতেও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের স্বাবলম্বী করার জন্যও কাজ করে যাচ্ছে আম্বালা। তারই অংশ হিসেবে গত বন্যায় দুর্গতদের সার, বীজ এবং নগদ আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।পাশাপাশি বন্যা কবলিত অঞ্চলে স্বল্প সুদে ঋণপ্রদানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনেও ভুমিকা রেখেছে আম্বালা। এছাড়াও বন্যা কবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান এবং ঔষধ সরবরাহ, ক্ষতিগ্রস্থদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। মানুষের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বিনামূল্যে গবাদি পশুর চিকিৎসা ও ঔষধ সরবরাহের দৃষ্টান্ত রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। অন্যদিকে ‘আম্বালা ফাউন্ডেশন’ বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।  BD Rural Wash প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের মানুষকে নিরাপদ পানি সরবরাহ, উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে।  গ্রামের মানুষের জন্য নতুন পানির পাম্প স্থাপন, স্বাস্থ্যকর শৌচাগার নির্মাণ এবং হাইজিন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ প্রদান করে, যাতে তারা পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়। এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ৫৫৪০ টি খানার ২২১৬০ জন মানুষ নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন এর সুবিধাভোগী হয়েছেন। এতে করে গ্রামীণ সমাজে পানিবাহিত রোগের হার কমেছে এবং মানুষের জীবনযাত্রা উন্নত হয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ ফাইন্যান্সিং এন্ড ক্রেডিট এনহান্সমেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪টি জেলার ৪৮ উপজেলার ১৯৯টি গ্রামে ৫৩৪ জন লোককে কোটি কোটি টাকার অধিক ঋণ বিতরণ করেছে, যা দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা করছে। এই ঋণের লক্ষ্য হলো সমাজভিত্তিক উদ্যোগ বা কমিউনিটি-ভিত্তিক ব্যবসাগুলোকে অর্থায়ন করা, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রথম ডিজিটাল পাশবুক চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। খুব শিগগিরই ইমার্জেন্সি লোন সার্ভিসও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।আম্বালা ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্রঋণ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানেই থেমে থাকেননি। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে  ২০১২ সালে ঢাকা বিভাগের একমাত্র কমিউনিটি রিডিও 'রেডিও বিক্রমপুর এফএম ৯৯.২' প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা প্রান্তিক, পশ্চাৎপদ এক জনগোষ্ঠীর কাছে নিয়ে গেছেন উন্নয়নের বার্তা, শিক্ষার শক্তি। এই প্রচার মাধ্যমে বাল্যবিবাহ, নারী ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ প্রতিরোধ, শিক্ষা, বিনোদন, স্বাস্থ্যসেবা ও সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে প্রোগ্রাম পরিচালনা করে থাকে। যা নিয়মিত শুনেন প্রায় ৯ লক্ষ শ্রোতা। নির্বাহী পরিচালক আরিফ সিকদারের নতুন নতুন কার্যক্রমে বিকশিত হচ্ছে আম্বালা ফাউন্ডেশন। তার মধ্যে অন্যতম 'স্বপ্নযাত্রা'।  আর্থিক কারণে যেসকল মেধাবীরা পড়া লেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের পড়ালেখা যেন বন্ধ না হয় সেই স্বপ্ন থেকেই আম্বালা প্রতিষ্ঠা করেন স্বপ্নযাত্রা।  যুগান্তকারী এই উদ্যোগ  শত শত জীর্ণ পরিবারকে দিচ্ছে আলোর দিশা। দরিদ্র পরিবারের একজন ছেলে/মেয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ লেখাপড়ার দায়িত্ব নিচ্ছেন স্বপ্নযাত্রা। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয়ে এর ব্যপ্তি প্রতিবছর বাড়ছে। মাত্র ১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে স্বপ্নযাত্রা বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের ১৬২ (১০৮ ছেলে ও ৫৪ জন মেয়ে) স্বপ্নযাত্রা থেকে শিক্ষা সহায়তা গ্রহণ করছে। দরিদ্র, মেধাবী, সুবিধাবঞ্চিত যেকোনো শিক্ষার্থী এই সহায়তার অনুর্ভুক্ত হতে পারে। আম্বালা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ সিকদার বলেন, ১৯৯৪ সালে যাত্রা শুরু হলেও আম্বালা ফাউন্ডেশন ১৯৯৮ সাল থেকে এ দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির উন্নয়নের জন্য কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০২ সালে আর্থিক সেবা কার্যক্রমকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ক্ষুদঋণ কার্যক্রম শুরু করি। আমরা প্রথম থেকেই ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষে সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালনা করে আসছি।আমরা বর্তমানে ২১টি জেলায় কাজ করছি। আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়, আমরা চাই আগামীতে দেশের ৬৪টি জেলাতেই আম্বালা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সেই সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।
    কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩৫ কর্মকর্তার লকার খুলছে আজ
    বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ করে অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জন, শেয়ারবাজার থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, রিজার্ভের অর্থ তছরুপ ও সঞ্চয়পত্র জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক-বর্তমান ৩৫ কর্মকর্তাকে নজরদারিতে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব কর্মকর্তার ব্যক্তিগত লকার খুলে তার সম্পদ পরীক্ষা করতে চায় সংস্থাটি।রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের উপস্থিতিতে দুদকের বিশেষ টিম লকারগুলো খুলবে। এর আগে, আদালতের অনুমতি নিয়ে লকারগুলো ফ্রিজ করা হয়।দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল এসব লকার খুলে অর্থ ও সম্পদের তালিকা তৈরি করবে। পরে তা আদালতকে জানানো হবে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) লকার থেকে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ উদ্ধারের পর আরও ৩৫ কর্মকর্তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে লকার খোলার বিপক্ষে মত দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ চান দুর্নীতিবাজদের অপকর্ম প্রকাশ পাক।দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও মো. আবদুর রউফ তালুকদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে। সংস্থার আতশি কাচে রয়েছেন ডেপুটি গভর্নর মোছা. নুরুন্নাহার, ড. হাবিবুর রহমান, কাজী সাইদুর রহমান, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের, নির্বাহী পরিচালক ড. সায়েরা ইউনুস, পরিচালক ইমাম আবু সাঈদ, পরিচালক (এফপিআইবি) সরোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক আবদুর রউফ, মঞ্জুর হোসেন খান, মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম পরিচালক সুনির্বাণ বড়ুয়া, জোবায়ের হোসেন, নিক তালুকদার, রুবেল চৌধুরী, লেলিন আজাদ পলাশ, উপমহাব্যবস্থাপক তরুণ কান্তি ঘোষ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদৌস কবির, পদস্থ কর্মকর্তা এ বি এম মোবারক হোসেন, উপপরিচালক হামিদুল আলম সখা, সহকারী পরিচালক মো. কাদের ও সহকারী ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন।দুদকের তালিকায় সাবেক নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, খুরশিদ আলম, সাবেক পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ, সাবেক উপপরিচালক মোফাজ্জল হোসেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (বরখাস্ত) সিকদার লিয়াকত ছাড়াও বিএফআইইউর তিন অতিরিক্ত পরিচালক, দুই যুগ্ম পরিচালক ও এক উপপরিচালক রয়েছেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি গত বছর ৫ আগস্টের পর ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ ও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, সেসব আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক। ২০০৬ সাল থেকে যেসব কর্মকর্তা বিএফআইইউতে কর্মরত ছিলেন বা এখনও আছেন, তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, জালিয়াতি করে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ পাচার, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, প্রতারণার মাধ্যমে সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে টাকা আত্মসাৎ, রিজার্ভের অর্থে গঠিত তহবিল তছরুপের অভিযোগও অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি। ফলে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে লকার রয়েছে, তারা চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন।এবি 
    আর্জেন্টিনা থেকে ৫০ হাজার টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ
    আর্জেন্টিনা  থেকে ৫০ হাজার ২ শত মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি এলপিডা জিআর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি জানান, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা জাহাজে রক্ষিত গমের মধ্যে ৩০ হাজার ১২০ মেট্রিক টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং ২০ হাজার ৮০ মেট্রিক টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে। ইমদাদ ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে গম খালাসের কার্যক্রম শুরু  হয়েছে। এবি 
    বাংলাদেশ ব্যাংকে সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করতে গভর্নরকে চিঠি
    বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে কর্মকর্তাদের অর্থ-সম্পদ জমা রাখার ব্যক্তিগত সব লকার সাময়িকভাবে ফ্রিজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেসব বিশেষ লকারে অপ্রদর্শিত বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ জমা রয়েছে বলে মনে করছে দুদক।মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন দুদক পরিচালক।ব্যাংকের গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সেফ ডিপোজিট তল্লাশি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে তার জমা করা তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে। যা তার নিয়মিত আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করা হয়নি।এতে আরও বলা হয়, তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কিছু কর্মকর্তাও সিলগালা করে সেফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটাতেও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলমান।চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের দুদক ও সম্পদ পুনরুদ্ধার বিষয়ক আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িকভাবে ফ্রিজের সম্মতি দিয়েছেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গভর্নরকে দেওয়া দুদকের চিঠি ও অর্থ উপদেষ্টার সম্মতি থাকায় ভল্টের সব লকারের সম্পদ ফ্রিজ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে এর মালিকরা তাদের লকার থেকে কোনো ধরনের অর্থ-সম্পদ সরিয়ে নিতে পারবেন না।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সব লকার খোলা ও লকারে থাকা অর্থ-সম্পদের তালিকা তৈরির অনুমতির জন্য গত সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে দুদক।দুদকের আবেদনে বলা হয়, বিগত ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নরের সেইফ ডিপোজিট তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য কিছু কর্মকর্তাও সিলগালা করে সেইফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটায়ও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে। কমিশন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টের লকারে রক্ষিত অন্যান্য কর্মকর্তাদের সেইফ ডিপোজিটসমূহ তল্লাশি ও ইনভেন্টরি লিস্ট করার অনুমতি চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন দাখিলের সদয় অনুমতি দিয়েছেন। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত লকারে সেইফ ডিপোজিট খোলার আবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করার পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।শিগগিরই এ সংক্রান্ত আদেশ দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর সব লকার খোলা, অর্থ-সম্পদ গণনা ও তালিকা তৈরির জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করার জন্য দু-এক দিনের মধ্যে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জমা দেবে দুদক।এবি 
    এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল ১৯ টাকা
    চলতি মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৯ টাকা থেকে ১৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়া প্রতিলিটার অটোগ্যাসের দাম ৮৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) নতুন এ দামের ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।এর আগে জানুয়ারি মাসের শুরুতে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল এলপিজির দাম। তবে গত ১৪ জানুয়ারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।এদিকে জানুয়ারি শুরুতে ৩ পয়সা কমিয়ে ৬৬ টাকা ৭৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল অটোগ্যাসের দাম। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি অটোগ্যাসের দাম ৪৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২৭ পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আর গত ২২ জানুয়ারি ৪২ পয়সা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয় ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।এবি 
    ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ
    সদ্য বিদায়ী জানুয়ারি মাসে তিন দফা বাড়ার পর দেশের বাজারে ফের বেড়েছে স্বর্ণের দাম। এর ফলে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯৯ টাকা বেড়ে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯০ টাকা হয়েছে। দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে এটি রেকর্ড।আজ শনিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামীকাল রবিবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।দাম বাড়ার ফলে প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট স্বর্ণ ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকায়, ১৮ ক্যারেটের প্রতি স্বর্ণ ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৪১ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯৭ হাজার ৪৭৬ টাকায় বিক্রি হবে।তবে স্বর্ণেরর দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত থাকবে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ১১১ টাকা ওসনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।উল্লেখ্য, এর আগে সবশেষ গত ২৯ জানুয়ারি স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। যা পরের ৩০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। তখন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এফএস
    করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়তে পারে আরও ১৫ দিন
    ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় আরও ১৫ দিন বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করতে পারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর বিভাগ। তবে নির্ধারিত এই সময়ের পরও সারাবছরই জমা দেয়া যাবে রিটার্ন। যার জন্য গুণতে হবে বাড়তি জরিমানা। সংশ্লিষ্টরা জানান, এর আগের অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার আয়কর রিটার্ন জমা পড়ে ৪০ লাখের বেশি। চলতি অর্থবছরে যার প্রত্যাশা ছিল অন্তত ৫০ লাখ। কিন্তু গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত রিটার্ন জমা পড়ে ৩৪ লাখের কাছাকাছি। তাই এনবিআরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বাড়ানোর সায় দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ও।প্রত্যাশিত রিটার্ন জমা না হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা। যেখানে রয়েছে অর্থনৈতিক সংকটও। রয়েছে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার জটিলতাও।এবি 
    দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকেরা টাকা ফেরত পাবেন: গভর্নর
    বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকেরা জমা টাকা ফেরত পাবেন। আমরা আপনাদের টাকা উদ্ধার করব। একটু সময় দিতে হবে। এখনই পারা যাবে না, আমরা ধাপে ধাপে করবো, রেজুলেশন অ্যাক্টে যাচ্ছি। তবে সে জন্য সময় দিতে হবে। ধাপে ধাপে আপনাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ পরিস্থিতি নিয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ফজলুল কাদের।অনুষ্ঠানের শেষের দিকে উপস্থিত একজন গভর্নরের কাছে জানতে চান, দুর্বল ব্যাংকগুলোর কী হবে? সেখানে তাঁরা যে টাকা রেখেছেন, তা ফেরত পাওয়া যাবে কি না?জবাবে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে গত ১০ বছর আগে থেকে বলে আসছি এস আলমের ব্যাংকে আপনারা টাকা রাখবেন না। কিন্তু আপনারা টাকা রেখেছেন। তারা ২ শতাংশ সুদ বেশি দিয়েছে, আপনারা সেখানেই টাকা রেখেছেন, এখন ধরা খেয়েছেন।’আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ‘এখন আমরা আপনাদের উদ্ধার করব; কিন্তু এখনই সেটি পারা যাবে না। আমরা ধাপে ধাপে করব; সে জন্য সময় দিতে হবে। আমরা ব্যাংক রেজল্যুশন অ্যাক্টের দিকে যাচ্ছি, কিছু ব্যাংক একীভূত করতে হবে। অনেক কিছু করা যাবে, করা হবে। এ বছরই হয়তো অনেক কিছু করা হবে। এতটুকু বলতে পারি, আপনারা টাকা পান আর বন্ড পান, কিছু একটা পাবেন।’আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক বলেন, ‘বড় বড় বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে এবং তাদের মধ্য থেকে বড় বড় খেলাপি হচ্ছে। তাদের জন্য আমরা হয়রান হচ্ছি। সে তুলনায় ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতারা অনেক ভালো আছে।’টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের ক্ষেত্রে বর্তমানে বিতরণ করা ক্ষুদ্রঋণ কতটা ভূমিকা রাখছে, তা পর্যালোচনার পরামর্শ দেন পিকেএসএফের এমডি মো. ফজলুল কাদের। তিনি বলেন, বর্তমানে দাবি করা হয় ৬ কোটি ৪০ লাখ ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতা আছেন। তবে একজনের একাধিক হিসাব সমন্বয় করলে এই সংখ্যা কমে যাবে। তাঁর মতে, এটি তিন কোটির বেশি হবে না। সে ক্ষেত্রে আনসাসটেইনেবল ঋণ বাড়ছে কি না, তা দেখতে হবে।ফজলুল কাদের আরও বলেন, সরকারের ২২টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এগুলোর প্রয়োজন আছে কি না, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।এ প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকারের ২২টা মন্ত্রণালয়ে যে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চলছে, তার যৌক্তিকতা আছে কি না, সেটা দেখা প্রয়োজন। তিনি মনে করেন, সরকারের এ ধরনের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্রাহকের মধ্যে তিন লাখ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো। এটি আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি।এমআরএ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বিতরণ করা ক্ষুদ্রঋণের মধ্যে এমআরএ সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের বিতরণ করা ঋণ ২ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা। ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহক থেকে ৯৭ হাজার কোটি টাকার আমানত তুলেছে। এর মধ্যে এমআরএ সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান সংগ্রহ করেছে ৬৮ হাজার কোটি টাকা। ২০২৪ এএমআরএ সনদপ্রাপ্ত ৭২৪টি প্রতিষ্ঠানের ২৬ হাজারের বেশি শাখা রয়েছে বলে জানানো হয়।এবি
    এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বাৎসরিক পরিকল্পনা সভা সম্পন্ন
    দেশের অন্যতম লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বার্ষিক ব্যবসায়িক পরিকল্পনা সভা-২০২৫ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সাগরকন্যা কুয়াকাটায় হোটেল ওশেন ভিউ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো: শাহ্ জামাল হাওলাদারের সভাপতিত্বে সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সিইও মো: শাহ্ জামাল হাওলাদারের নেতৃত্বে ২০২৫ সালের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা গ্রহণ ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন উপস্থিত সকল কর্মকর্তাগণ। 
    ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ টাকা দরে মিলবে ওএমএসের চাল
    আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খোলা বাজারের (ওএমএস) মাধ্যমে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে চাল বিক্রি করা হবে।মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রমজান উপলক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সুলভ মূল্যে ফেব্রুয়ারি থেকে ৬১টি জেলার ৪০১টি উপজেলায় প্রতিদিন তিন মেট্রিক টন করে এবং তিনটি পার্বত্য জেলার ২৩টি উপজেলায় এক মেট্রিক টন করে মোট ৪২৪টি উপজেলায় মোট ৮৪৮টি কেন্দ্রে ওএমএসের মাধ্যমে চাল বিক্রি করা হবে।এছাড়াও এ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা মহানগর, জেলা সদর পৌরসভা, আটটি সিটি করপোরেশন ও শ্রমঘন চারটি (ঢাকা, না:গঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুর) জেলার ৯০৬টি কেন্দ্রে দৈনিক এক টন করে ৯০৭ মেট্রিক টন (সচিবালয় কেন্দ্রে দৈনিক দুই মেট্রিক টন) করে চাল বিক্রয় করা হবে।এবি 
    ক্রোয়েশিয়ার শ্রমবাজার হারাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
    ক্রোয়েশিয়া বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য কাজের অনুমতিপত্র ও ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে। রিক্রুটিং এজেন্সি ও দেশটির কর্মী-ভিসা পাওয়া কিছু বাংলাদেশির অপতৎপরতার জন্য এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশটির দায়িত্বপ্রাপ্ত অনাবাসী রাষ্ট্রদূত তারেক মোহাম্মদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাঠানো এক চিঠিতে এ আশঙ্কার কথা জানান।রাষ্ট্রদূত জরুরি ভিত্তিতে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে কর্মী পাঠানো ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে নজরদারির জন্য একটি চুক্তি সইয়ের উদ্যোগ নেওয়ারও তাগিদ দেন। নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মোহাম্মদ হেগ থেকে একই সঙ্গে ক্রোয়েশিয়ায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করে থাকেন।গত ২৩ জানুয়ারি পাঠানো চিঠিতে তিনি জানান, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর অপতৎপরতার কারণে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য কাজের অনুমতিপত্র ও ভিসা আর দেওয়া হবে না, এমনটা দূতাবাস জেনেছে।চিঠিতে বলা হয়, ২০২৪ সালে ক্রোয়েশিয়া বাংলাদেশের ১২ হাজার ৪০০ নাগরিককে কাজের অনুমতিপত্র ও ভিসা দেয়। এর মধ্যে ৮ হাজার ক্রোয়েশিয়া যায়নি। বাকি ৪ হাজার ৪০০ ব্যক্তির মধ্যে অর্ধেক দেশটিতে কাজে থাকতে পারে। ক্রোয়েশিয়ায় কাজের অনুমতিপত্র নিয়ে সেনজেনভুক্ত অন্য দেশে বাংলাদেশের অনেক নাগরিক অবৈধভাবে কাজ করায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। বেআইনি অভিবাসন বন্ধের জন্য পদক্ষেপ নিতেও ইইউ ক্রোয়েশিয়া সরকারকে বলেছে।রাষ্ট্রদূত জানান, বর্তমানে ছয় থেকে সাত হাজার বাংলাদেশি ক্রোয়েশিয়ায় কর্মী হিসেবে থাকতে পারে। যাঁরা প্রধানত নির্মাণ খাতে, রেস্তোরাঁয় ও খাবার সরবরাহসহ নানান কাজ করে থাকে। দেশটিতে বিদেশি কর্মীদের জন্য কাজের পরিবেশ ও বেতন-ভাতা সেনজেনভুক্ত অনেক দেশের চেয়ে ভালো। তারপরও ক্রোয়েশিয়া পৌঁছার পর বাংলাদেশিরা অন্য দেশে চলে যায়।প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে সঙ্গে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে কর্মী পাঠানো ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে নজরদারির বিষয়ে একটি চুক্তি সই করা দরকার বলেও জানান এ রাষ্ট্রদূত।এবি 
    বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানা খুলতে সরকারের হস্তক্ষেপ চান শ্রমিক-কর্মচারীরা
    ব্যাংকিং কার্যক্রম চালুর অনুমতি চেয়ে বন্ধ কারখানাগুলো চালুর দাবি জানিয়েছেন বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীরা। বন্ধ থাকা ১৬ কোম্পানির মধ্যে রপ্তানি বাণিজ্যর সঙ্গে সম্পৃক্ত ১১টি কারখানা ‘মানবিক কারণে’ সচল রাখতে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী) বেক্সিমকোর তৈরি পোশাক কারখানা ও টেক্সটাইল বিভাগের কর্মী ও প্রশাসনের প্রধান কর্মকর্তা সৈয়দ মো. এনাম উল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানিয়েছেন।বেক্সিমকো গ্রুপের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক সৈয়দ মো. এনাম উল্লাহ বলেছেন, আমরা শ্রমিক-অফিসাররা পেটের দায়ে আপনাদের কছে এসেছি। সরকারের কাছে অনুনয়, বিনয় করে বলতে চাই, সরকার বেক্সিমকোতে হস্তক্ষেপ করুক। কারখানা খুলে দিয়ে আমাদের চাকরি বাঁচান।এই দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকার পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন বেক্সিমকো গ্রুপের একদল কর্মী। তাদের বক্তব্য, মালিকপক্ষকে জানিয়েই তারা সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন।সৈয়দ মো. এনাম উল্লাহ অবিলম্বে তাদের কারখানাগুলো খুলে দিয়ে ‘৪২ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ও ১০ লক্ষ মানুষের খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা’ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।তিনি প্রধানত তিনটি দাবির কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো:অবিলম্বে লে অফ প্রত্যাহার করে বেক্সিমকোর সকল কারখানা খুলে দিতে হবে, রপ্তানি বাণিজ্য শুরু ও বিদেশ থেকে কার্যাদেশ প্রাপ্তির সুবিধার্থে বন্ধ রাখা ব্যাংকিং কার্যক্রম ও ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার অনুমতি অবিলম্বে দিতে হবে, কারখানা ও ব্যবসা চলমান রেখে সকল বকেয়া বেতন এবং কোম্পানির দায় দেনা পরিশোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।এনাম উল্লাহ বলেন, সরকার যেভাবে চাইবে, প্রতিষ্ঠান সেভাবে চালাক। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দিক। কারখানা চালু থাকলে ধীরে ধীরে সবার পাওনা দিতে পারবে।গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থ্যানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোতে অস্থিরতা চলছে। শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের অধিকাংশ কারখানা।আরইউ
    ফের বেড়েছে সোনার দাম
    চলতি মাসে দ্বিতীয় বারের মতো স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন বছর শুরুর পর দ্বিতীয়বারের মতো স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা এলো।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভরিতে এবার সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম হবে এক লাখ ৪১ হাজার ৪২৬ টাকা। যা এত‌দিন ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা।দাম বাড়ানোর ফলে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ৪১ হাজার ৪২৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৫ হাজার ৭১৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯৫ হাজার ৬১ টাকায় বিক্রি করা হবে।সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।এফএস
    সমালোচনার মুখে ওষুধ, মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবায় বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন
    ওষুধ, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবাসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের ওপর আরোপিত ভ্যাটের হার কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (২২ জানুয়ারি) এনবিআরের পৃথক ৪টি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল সমাজ ও অংশীজনের অনুরোধ বিবেচনায় নিয়ে বৃহত্তর জনস্বার্থে এসব পণ্য ও সেবায় বিদ্যমান ভ্যাটের হার, উৎসে ভ্যাট কর্তনের হার এবং সম্পূরক শুল্কের হার হ্রাস করেছে এনবিআর।যেসব পণ্য ও সেবায় আরোপিত ভ্যাট কমিয়েছে এনবিআরওষুধ: সব জনগোষ্ঠীর জন্য চিকিৎসা সেবাকে আরও সহজতর করার লক্ষ্যে ওষুধ শিল্পের ওপর ব্যবসায়িক পর্যায়ে বৃদ্ধি করা ভ্যাটের হার সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে আগের হার ২ দশমিক ৪ শতাংশ বলবৎ রাখা হয়েছে। ফলে ওষুধের ওপর অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করায় ওষুধ শিল্পের ধারাবাহিক বিকাশ বজায় থাকবে এবং সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না।মোবাইল ফোন ও আইএসপি সেবা: দেশের চলমান ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও একটি আধুনিক আইটি জ্ঞানসম্পন্ন তরুণ প্রজন্ম বিনির্মাণ এবং অনলাইনভিত্তিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের সিম অথবা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার উপর বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক এবং আইএসপি সেবার উপর নতুন আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে মোবাইল ফোন ও আইএসপি সেবার উপর বর্ধিত অথবা নতুন আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় এই দুই খাতে ভোক্তাদের খরচ বৃদ্ধি পাবে না।রেস্তোরাঁ: দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য সুলভমূল্যে রেস্তোরাঁয় খাবার গ্রহণের সুবিধার্থে থ্রি-স্টার, ফোর-স্টার এবং ফাইভ স্টার হোটেল ব্যতীত অন্য সব রেস্তোরাঁয় অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে সাধারণ জনগণ আগের মূল্যেই এসব রেস্টুরেন্টের খাবার গ্রহণ করতে পারবেন।মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ: জনস্বার্থে মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ সেবার ক্ষেত্রে বৃদ্ধি করা ভ্যাটের হার সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে এ সংশ্লিষ্ট সেবায় মূল্য বৃদ্ধি পাবে না।অন্যান্য: একই বিবেচনায় নিজস্ব ব্রান্ডের তৈরি পোশাক ব্যতীত অন্যান্য পোশাক বিপণনের ওপর অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া নন এসি হোটেল, মিষ্টান্ন ভান্ডার ও নিজস্ব ব্রান্ডের তৈরি পোশাক বিপণনের ক্ষেত্রে সেবার ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।এবি 
    দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
    অর্থায়নের ক্ষেত্রে দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছে সরকার এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সম্মেলনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় তিনি ব্যাংকটির ঋণ কমসূচিতে বৈচিত্র্য আনার নির্দেশনা দেন। বলেন, তদারকির আওতায় রাখতে হবে ঋণ কার্যক্রম।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কর্মসংস্থান ব্যাংককে এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ থাকবে। জেনারেল ব্যাংকে রূপান্তর করলে লক্ষ্য থেকেও বিচ্যুত হবে কর্মসংস্থান ব্যাংক।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো গেলে সমাজে কর্মসংস্থান ব্যাংকের প্রভাব আরও বাড়ানো সম্ভব। বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কিছু অর্থ এ ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা যেতে পারে। ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে জনবল স্বল্পতার সমস্যাও দূর করা সম্ভব বলেও মনে করেন গভর্নর।এবি 

    Loading…