আগামী ১১ জানুয়ারি সারাদেশে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগ সতর্ক প্রহরায় থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে কী হবে জানি না। তবে আমরা সতর্ক পাহারায় থাকবো। আমরা কাউকে আক্রমণ করবো না। আক্রান্ত হলে উদ্ভূত পরিস্থিতি কী জবাব দেবে, প্রশাসন জবাব দেবে, নাকি পার্টি দেবে, সেটা সময় বলে দেবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী-ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ?আপনি আমাকে বারবার মারবেন, আমি চুপ করে থাকবো! দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবো, তা কী হয়! এটা হয় না। আমরা সারাদেশেই আগে যেমন ছিলাম, তেমনই সতর্ক অবস্থায় থাকবো।?
আগামী নির্বাচনে বিএনপি আসবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সময় আরও এক বছর, সময় গড়িয়ে যাবে। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রে অনেক পানি বয়ে যাবে। অনেক পরিবর্তন হবে। গতবারও তো বিএনপি ২১ দল নিয়ে বললো- নির্বাচন করবে না। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে এসেছে।
বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে বিভিন্ন দলের সম্পৃক্ত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন কিছু কিছু দল আছে, জিরো প্লাস জিরো প্লাস জিরো। এখন তারা থাকলেও কী, না থাকলেও কী? কাউকে উপহাস করছি না। গণতন্ত্রে অনেক দল আছে সাইনবোর্ডে, অনেকে দল লেটারহেডে আছে। এই ঐক্যের ভবিষ্যৎ কী?
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির জনসমাগম করতে নেতৃত্ব প্রয়োজন। কে নেতৃত্ব দেবে এই আন্দোলনকে? কে নেতৃত্ব দেবে আগামী নির্বাচনে? সেই লোকটি কে? তারা তো নির্বাচনের যোগ্য নয়। যে দুই জনের কথা বলবেন- তাদের একজন লন্ডনে, আরেকজন জেলে। জেলে মানে শেখ হাসিনার উদারতা বাসায় আছেন। কিন্তু তিনি তো সাজাপ্রাপ্ত।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি (তারেক রহমান) ১০ তারিখে আসবেন শুনলাম, ৩০ তারিখে আসবেন শুনলাম। আসলে দেশে ফিরে আসার সৎ সাহস তার আছে বলে বাংলাদেশের লোক এখন আর বিশ্বাস করে না।