এইমাত্র
  • সড়ক দুর্ঘটনায় একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই
  • দেশে রেকর্ড ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড
  • লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
  • থাই গভর্নমেন্ট হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
  • ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক মুসল্লিদের জন্য সুখবর
  • ইরানকে ড্রোন সরবরাহ: ভারতের ৩ প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র
  • বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ শরিফ
  • খালেদা-তারেককে বাদ রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা ভাবছে বিএনপি
  • রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট
  • ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
  • আজ শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

    ২ একর জুড়ে বটগাছ, ক্ষমা চেয়ে করা হয় পূজা

    সময়েরকণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:২৭ পিএম
    সময়েরকণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:২৭ পিএম

    ২ একর জুড়ে বটগাছ, ক্ষমা চেয়ে করা হয় পূজা

    সময়েরকণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:২৭ পিএম

    মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: কেউ বলেন শতবর্ষী, আবার কেউ বলেন ৩০০ বছরের পুরনো। বয়স যতই হোক না কেন, সুরমা চা বাগানের প্রকাণ্ড বটগাছ দেখে মুগ্ধ হননি এমন লোকের সংখ্যা কম। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানের ১০ নম্বর সেকশনে পুরনো এ বটগাছ প্রায় পৌনে দুই একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত।

    সরেজমিনে দেখা যায়, উঁচু-নিচু টিলার বুক জুড়ে সারি সারি সবুজ চা গাছ। এর মধ্যে বাগানের নাচঘরের পাশে বিশালাকৃতির এ বটগাছের ডালপালাগুলো সৃষ্টি করেছে এক অন্যরকম সৌন্দর্য। এক থেকে দুইশ হাত লম্বা, প্রায় অর্ধশত ডালপালা ছাতার মত মেলে রয়েছে। গাছের অন্তত প্রকাণ্ড ২০টি ডাল যাতে মাটিতে শুয়ে না পড়ে এ জন্য প্রায় ৫ ফুট উঁচুতে গাছের গুঁড়ি দিয়ে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে। এর পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে দুর্গা মন্দির।

    স্থানীয়রা বলছে, প্রাচীন এই বটগাছ ভ্রমণ পিয়াসুদের আগ্রহের স্থানে পরিণত হয়েছে। যারা এখানে আসেন তারাই মুগ্ধ হন। নানা প্রজাতির পাখির অভয়ারণ্য এ বটগাছ। প্রায়শই পাখির কলকাকলিতে ভরে ওঠে। চা বাগানে ভ্রমণের পাশাপাশি প্রতিবছর দেশ বিদেশের বহু মানুষ এই বটগাছটি দেখতে আসেন। তারা গাছের ছবি ও ভিডিও করে নিয়ে যান।

    বাগানের পঞ্চায়েত কমিটি মন্দির ও বটগাছের দেখভাল করেন। তবে গাছটি কবে জন্মেছে এবিষয়ে বাগানে বসবাসরত তরুণ-বৃদ্ধ কেউই সঠিক তথ্য জানেন না। ধারণা করে একজন চা শ্রমিকের ছেলে রঞ্জন সবর (৩৫) বলেন, ?বটগাছটির বয়স কমপক্ষে ৩০০ বছর হবে।?

    চা বাগানের প্রবীণ চা শ্রমিক সংশোধন সবর (৭৫) ও প্রদীপ সাঁওতাল (৭০) নামে দুজনের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা জানান, তাদের পূর্ব পুরুষদের মুখে শুনেছেন ১২৫ বছর আগে অর্থাৎ ১৮৯৬ সালে ভারতের আসাম থেকে আসা মকর তন্তবায় নামে বৃক্ষপ্রেমী চা শ্রমিক রেজি প্রজাতির একটি বটগাছ রোপণ করেছিলেন। পরবর্তীতে ওই গাছটির পাশেই প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠে আরেকটি বটগাছ। কালের পরিক্রমায় ওই বটগাছটি রোপণ করা বটগাছটিকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে এ বিশালাকার ধারণ করেছে।

    এবিষয়ে জানতে সুরমা চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ মুন্ডার সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, এই গাছটিকে ঘিরে প্রথমে পঞ্চতত্ত্ব পূজা হতো। স্বাধীনতার আগে থেকেই মাঘের শেষে দিকে নারায়ণ পূজা ও ফাল্গুন মাসে শিবচতুর্দশী পূজা হয় গাছটির তলায়। এসব পূজায় জগদীশপুর, নয়াপাড়া বৈকন্টপুর, দেউন্দি, লস্করপুর, চাকলা, সাতছড়িসহ জেলার বিভিন্ন চা বাগানের সনাতন ধর্মাবলম্বী চা শ্রমিকেরা অংশ নেন।

    চা শ্রমিক নেতা রঞ্জন সবর আরও জানান, প্রায় দুই যুগ আগে নারায়ণ মন্দির তৈরির সময় বটগাছের কিছু ডাল কাটা পড়ে। এ জন্য পূজা অর্চনা করে বটগাছের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়। মন্দির ও বটগাছের নিরাপত্তা জন্য চারদিকে দেয়াল করা হয়েছে। দেয়ালের ভেতরে এই গাছের ডালপাতা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় না। ঝরে যাওয়া পাতা মন্দিরের পাশে এক জায়গায় স্তূপ করে রাখা হয়। সেখানেই এগুলো পচে গিয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যায়।

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…