গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিনগত রাত দেড়টায় চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হলে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের কর্মীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন।
এসময় জায়েদা খাতুনের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, গাজীপুরের নির্বাচনে নৌকার জয় হয়েছে, পরাজয় হয়েছে ব্যক্তির।
তিনি বলেন, এই নির্বাচন আমার বাঁচা-মরার নির্বাচন ছিল। আমার মা আমাকে বলেছিলেন এই শহরের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। তোমার ওপর অত্যাচার হয়েছে। আমি মা হিসেবে বসে থাকতে পারব না। আমি নির্বাচন করতে চাই।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের গাজীপুর সিটি অনেক পিছিয়ে আছে। আমরা দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সাথে নিয়ে গাজীপুর সিটিকে পরিবর্তন করব। সবাইকে সাথে নিয়ে পরিকল্পিত নগরী গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, এই জয়ের জন্য আল্লাহ্র পর আমি সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি মায়ের কর্মী হিসেবে তার কাজে সহযোগিতা করব, আমি আমার মেয়র থাকাকালীন অভিজ্ঞতা দিয়ে গাজীপুরের জন্য কাজ করব। মায়ের সঙ্গে থেকে গাজীপুরকে পরিকল্পিত নগরী করে দেব। কোন সন্ত্রাসীর কাছে মাথা নত করবো না।
এর আগে রাত দেড়টার দিকে গাজীপুর জেলা পরিষদের ভবনের বঙ্গতাজ মিলনায়তন থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা দেন।
এতে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে পরাজিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান। তিনি পেয়েছেন ২২২৭৩৭ ভোট। অন্যদিকে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ২৩৮৯৩৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্য কোন প্রার্থী এই দুইজনের ভোটের কাছাকাছি ছিলেন না। মাছ প্রতীকের আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, লাঙ্গল মার্কার এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, হাতপাখার গাজী আতাউর রহমান ৪৫ হাজার ৩৫২, গোলাপ ফুল প্রতীকের মো. রাজু আহমেদ পেয়েছেন ৭ হাজার ২০৬ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশিদ ২ হাজার ৪২৬ ও হাতি প্রতীক নিয়ে সরকার শাহনূর ইসলাম পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট।
এর আগে ফল ঘোষণার শুরু থেকে কেন্দ্রে অবস্থান করেছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তবে কেন্দ্রে আসেননি নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান।