এইমাত্র
  • 'চাপাবাজীর অস্কার অনন্য মামুন পাবেন', বলছেন শাকিব ভক্তরা
  • রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল
  • ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ
  • শেখ হাসিনার পদত্যাগ মীমাংসিত, বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
  • শেখ হাসিনা কীভাবে পদত্যাগ করেছেন, জানালেন আসিফ মাহমুদ
  • শুরু হলো বরবাদ'র শুটিং, শাকিব খান যোগ দেবেন কবে?
  • মিয়ানমার উপকূলে নৌকাডুবি, ১১ মরদেহ উদ্ধার
  • রাষ্ট্রায়ত্ত ১০ ব্যাংকে নতুন এমডি নিয়োগ
  • কারাগারে ইমরানকে দেওয়া হয় মাটন মুরগি দই জুস আঙ্গুর
  • ঘুষের টাকা নিয়েও কাজ না করে উল্টো হুমকি যত ইচ্ছে নিউজ করেন : ভূমি সহায়ক শাহানুর
  • আজ মঙ্গলবার, ৭ কার্তিক, ১৪৩১ | ২২ অক্টোবর, ২০২৪
    তথ্য-প্রযুক্তি

    পাতে উঠছে না নিম্ন-মধ্যবিত্তের

    কক্সবাজারে ধরা পড়ল ৭২ লাখ টাকার ইলিশ

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০৫:৫০ পিএম
    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০৫:৫০ পিএম

    কক্সবাজারে ধরা পড়ল ৭২ লাখ টাকার ইলিশ

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০৫:৫০ পিএম

    কক্সবাজারের উপকূলে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। ১৫ দিনে জেলার বিভিন্ন মৎস্যকেন্দ্র থেকে ৪ হাজার ৮০০ মেট্রিক টনের বেশি ইলিশ সারা দেশে সরবরাহ করা হয়েছে।

    গতকাল বুধবার (৩০ আগস্ট) সকালে শহরের ফিসারিঘাটে ভিড়েছে ২৫টিরও বেশি ট্রলার। এরই মধ্যে নতুন ফিসারিঘাট (মগচিতাপাড়া) এলাকার আব্দুল মালেকের দুটি ট্রলারে ধরা পড়েছে ৭ হাজার ২৩০টি ইলিশ। এ ইলিশ ৭২ লাখ টাকায় বিক্রি করেন তিনি।

    মালেক বলেন, উপকূল থেকে বঙ্গোপসাগরের ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার পশ্চিমে জাল ফেলে তার দুই ট্রলার। এ দুই ট্রলারে জেলে ছিলেন ৪৩ জন। একটি ট্রলারের জালে ধরা পড়া ৩ হাজার ৭৩০টি ইলিশ বিক্রি হয় ৩৭ লাখ টাকায়। অন্য ট্রলারের জালে ধরা পড়া ৩ হাজার ৫০০টি ইলিশ বিক্রি হয় ৩৫ লাখ টাকায়।

    মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার শহরের ফিশারিঘাটে সরেজমিনে দেখ যায়, বাঁকখালী নদীতে ভিড়েছে ১২ থেকে ১৫টি ট্রলার। প্রতিটি ট্রলার ইলিশে ভর্তি। ব্যবসায়ীরা ট্রলারের ইলিশ ডিঙিনৌকায় ভরে বাজারে নিয়ে আসছেন। পাইকারি বাজারে ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়। ১ কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফিশারিঘাট থেকে চারটি ট্রাকে অন্তত ২১ মেট্রিক টন ইলিশ ঢাকায় সরবরাহ হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

    ট্রলারের মাঝি শহিদুল ইসলাম বলেন, জালে ধরা পড়া অধিকাংশ ইলিশের ওজন ১ কেজি থেকে ১ কেজি ২০০ গ্রাম। ফিসারিঘাটের পাইকারি মাছের বাজারে প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। এক কেজির কম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকায়।

    ফিসারিঘাটের ইলিশ ব্যবসায়ী ওমর কাজী বলেন, ৩০টি ট্রলারের জেলেরা ৪৫ মেট্রিক টনের বেশি ইলিশ বিক্রি করেছেন। অধিকাংশ ইলিশ ট্রাকে বোঝাই করে ঢাকায় সরবরাহ করা হয়েছে।

    সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, কয়েক বছর আগেও এক কেজি ওজনের একটি ইলিশ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দালাল চক্র এবং মধ্যস্বত্বভোগীরা অতিরিক্ত লাভ করতে ইলিশের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।

    মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, ১৪ আগস্ট থেকে কক্সবাজারে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। ২১ আগস্ট পর্যন্ত সাত দিনে ইলিশ আহরণ হয়েছিল ২ হাজার ১০০ মেট্রিক টন (প্রতিদিন গড়ে ৩০০ মেট্রিক টন)। বৈরী পরিবেশে সাগর উত্তাল থাকায় ২২ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ৫ দিন কয়েক হাজার ট্রলার সাগরে ইলিশ ধরতে পারেনি। তবে কয়েক’শ ট্রলার এ ৫ দিনে অন্তত ৫০০ মেট্রিক টন (দৈনিক ১০০ টন করে) ইলিশ আহরণ করেছে। ২৮ আগস্ট থেকে আবার ইলিশ আহরণ শুরু হয়েছে।

    জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান বলেন, ‘ট্রলারের ইলিশ তিন হাত ঘুরে ভোক্তার কাছে পৌঁছায়। তাতে ৬০০ টাকার ইলিশের দাম ১ হাজার ২০০ টাকায় ঠেকছে। ট্রলারের মালিক ইলিশ ধরার জন্য আরেকজনের কাছ থেকে চড়া সুদে দাদন নেন। দাদনদারের আবার এজেন্ট থাকে। এজেন্ট ছাড়া অন্য কাউকে ইলিশ বিক্রি করা যায় না। এজেন্টরা ৬০০ টাকার ইলিশ বাজারে বিক্রি করেন ১ হাজার ২০০ টাকায়। দাদন ব্যবসায়ীদের খপ্পর থেকে ট্রলারমালিকদের মুক্ত কিংবা ট্রলার থেকে আহরিত ইলিশ সরাসরি বাজারে পৌঁছানো গেলে দাম অর্ধেক কমে যেত।’

    কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, ইলিশের বাজার নিয়ন্ত্রণ হয় ঢাকা থেকে। এ ক্ষেত্রে ট্রলার মালিকদের করার কিছু থাকে না। অধিকাংশ ট্রলার দাদন নিয়ে তৈরি। শর্ত অনুযায়ী মাছ আহরণ করে তাদের হাতে তুলে দিতে হয়। কয়েক হাত ঘুরে ট্রলারের ইলিশ বাজারে পৌঁছতে দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। জেলায় ইলিশ ধরার ট্রলার আছে ছয় হাজার। অধিকাংশ ট্রলার এখন সাগরে অবস্থান করছে। দু-এক দিনের মধ্যে সব ট্রলার ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরলে দাম কমতে পারে বলে জানান তিনি।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…