কবি নির্মলেন্দু গুণের সেই লাইনগুলো মনে আছে? দু এক লাইন কবিতা পড়েছেন, এমন কারোও মনে থাকার কথা অবশ্য। ‘আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজা খুলে দিক। কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক। কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে জিজ্ঞেস করুক: তোমার চোখ এত লাল কেন?’
ভালোবাসাবাসির ব্যাপার তো বটেই ঘর সামলে রাখার দায়িত্বে থাকা এক মহিয়সী নারী হলেন স্ত্রী। কখনো কখনো আবার ঘর-বাইরে দুই-ই সামলাতে হয় তাকে। এত দায়িত্ব, এতকিছু করছেন যিনি, এ জগত সংসারে তাকে প্রতিদিনই প্রশংসা করা উচিত।
তবু একটা দিন নির্ধারিত হয়েছে ‘বিশেষ’। সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় রোববার এই বিশেষ দিন। সারা বিশ্বে আজকের এদিন উদযাপন হয় ‘স্ত্রীর প্রশংসা করা দিবস’। ২০০৬ সালে দেশটিতে প্রথম দিবসটি উদযাপিত হয়। তারপর থেকে এটি অনেক দেশে পালিত হয়ে আসছে। তবে, দিবসটি নিয়ে খুব বেশি তথ্য জানা না গেলেও মনে করা হয়, স্ত্রীর প্রশংসা দিবসটি মূলত স্ত্রীদের সম্মান জানানোর জন্য উদযাপন করা হয়।
অনেক পুরুষ আছেন, যারা সব কাজেই স্ত্রীর প্রশংসা করেন। এতে একে অপরের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা বাড়ে। ভালো থাকে সম্পর্ক। আবার অনেকেই আছেন যারা মনে মনে স্ত্রীর প্রশংসা করলেও মুখে ফুটে বলতে চান না। তারা কিন্তু বিশেষ এই দিবসটি কাজে লাগাতেই পারেন। প্রশংসাসূচক বাক্য বলার মাধ্যমে আপনি সহজেই বোঝাতে পারবেন স্ত্রীর প্রতি আপনার ভালোবাসা।
এই দিনটি বৈবাহিক জীবনকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারে। এমন দিনে তাই স্ত্রীর বিশেষ সুনাম করুন, তাকে প্রশংসায় ভাসান। তাতে অন্তত আপনার দাম্পত্য জীবন হয়ে উঠতে পারে আরও মধুময়। সারা বছর যেমনই কাটুক, এ দিনটায় আপনার স্ত্রীকে অন্যদিকের চেয়ে একটু বেশি সময় দিন। স্ত্রীর জন্য একগুচ্ছ গোলাপ বা তার ভালোলাগার ফুল নিয়ে তার সামনে হাজির হতে পারেন।
সম্ভব হলে আপনি স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে অথবা শপিং করতে বের হন। এ ছাড়াও স্ত্রীর সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে তাকে নিতে পারেন লং ড্রাইভে, পছন্দের কোনো জায়গায়। ব্যস্ততার কারণে কিছুই সম্ভব না হলে অন্তত ছোট্ট একটি ম্যাসেজ বা কলে ভালোবাসার কথা জানান।