রাজশাহীর তানোরে ছোটভাইকে বেঁধে রেখে শিশু বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ ওই শিশু ভিকটিম আদিবাসি ছাত্রীকে উদ্ধার করে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছেন।
শনিবার দুপুরে উপজেলার কলমা ইউপির সালবাড়ি সল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে শনিবার রাতে দুইজনকে আসামি করে তানোর থানায় একটি ধর্ষনের মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কলমা ইউপির সালবাড়ি সল্লাপাড়া আদিবাসিপাড়ার জনেক ব্যাক্তি ৫ম শ্রেণির পড়ুয়া মেয়ে এবং ১০ বছরের ছেলে শনিবার স্কুল ছুটি থাকায় দুই ভাই বোন বাড়ি ছেড়ে আধা কিলোমিটার দুরে মাঠে খাড়ির ধারে ঘাস কাটতে যায়।
দুই ভাই বোনই চকরহমত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। এমন সময় এক গ্রামে মনিরুল ইসলামের ছেলে জনি (৩২) এবং আবুল কালামের ছেলে আলি (৩৬) ফাকা মাঠে দুপুরে ছোট দুই ভাই বোন পেয়ে আলি তার ছোট ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ধরে রাখে আর জনি ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে জোর করে মুখে গামছা দিয়ে আটকিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষণের শিকার আদিবাসি ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।
এ নিয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম জানান, ধর্ষণের শিকার আদিবাসি ছাত্রী উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাতেই একটি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। আসামি দুইজনকে আটকের চেষ্টাই পুলিশ কাজ করছে।