অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলেই। চতুর্থ দিন সকালে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিকুর রহিমও। আর শেষের দিকে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে অর্ধশতরানের দেখা পান মেহেদী হাসান মিরাজও। তাতে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের সামনে ৩৩২ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিল বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৩১৭ রানে নিউজিল্যান্ড অলআউট হলে ৭ রানের লিড পায় তারা। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ রান তুললে ৩৩১ রানের লিড পায় টাইগাররা। কিউইদের হাতে আছে প্রায় সাড়ে চার সেশন।
আগের দিনের ৩ উইকেট ২১২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন সকালে ব্যাট করতে নামেন শান্ত ও মুশফিক। আজ ব্যাটিংয়ে নেমে ১ রান যোগ করেই ফেরেন তিনি। দিনের দ্বিতীয় ওভারে টিম সাউদির লেগ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে উইকেটেরর পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে ১৯৮ বলে এসেছে ১০৫ রান। এর পর ফেরেন শাহাদাত। তিনি করেন ১৯ বলে ১৮ রান।
২৪৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ২৭৮ রানে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। যাওয়ার আগে ১১৬ বলে ৬৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর লেজের ব্যাটারদের নিয়ে শুরু হয় মিরাজের লড়াই। একপ্রান্ত নিজে আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে কোনো ব্যাটারই থিতু হতে পারেননি। যদিও মিরাজও দুইবার জীবন পেয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ৩৩৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন এজাজ প্যাটেল। যদিও তার ইকোনমি ছিল চারের ওপর, রান দিয়েছেন ১৪৮। দুইটি উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার ইশ সোধি।
এফএস