এইমাত্র
  • মিয়ানমারে বাংলাদেশসহ ছয় দেশের নিরাপত্তা বৈঠক
  • দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী
  • আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
  • নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে লঙ্কানরা
  • নাহিদসহ ৩ সমন্বয়ক হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে
  • সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান বেরোবি প্রশাসনের
  • আজও ৯ ঘন্টা কারফিউ শিথিল থাকবে
  • পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
  • ৮ বিভাগেই বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
  • কঠোর নিরাপত্তায় বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
  • আজ শনিবার, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২৭ জুলাই, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    বিচ্ছেদের সংসার জোড়া লাগিয়ে দিলেন বিচারক, বিয়ে হলো আদালতেই

    মো. আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৬ পিএম
    মো. আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৬ পিএম

    বিচ্ছেদের সংসার জোড়া লাগিয়ে দিলেন বিচারক, বিয়ে হলো আদালতেই

    মো. আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৬ পিএম

    ছয় মাস আগে বিচ্ছেদ হয়েছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের এক দম্পতির। তাদের আছে দুটি সন্তানও। বিচারকের চেষ্টায় সন্তানদের জন্য আদালতেই ফের বিয়ে হলো তাদের।

    বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীরের চেষ্টায় তার কক্ষেই দুই সন্তান কোলে তাদের বিয়ে হয়।

    আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে বিয়ে করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ওই দম্পতি। তাদের ঘর আলোকিত করে আসে দুই সন্তান। কিন্তু পারিবারিক কলহের জেরে ছয় মাস আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু ২০২২ সাল থেকেই আদালতে মামলা চলছিল। সে মামলায় বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ছিল শুনানির দিন। এ সময় বাচ্চা দুটোর কথা চিন্তা করে বিচারক দুপক্ষের সম্মতিতে পুনরায় তাদের বিয়ের আয়োজন করেন। এ সময় আইনজীবী মো. মাসুদ রানা ও আব্দুল আওয়াল উপস্থিত ছিলেন।

    এ নিয়ে সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন।

    পোস্টে তিনি লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ! মাত্র ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। অবশেষে সফল, একগাল হাসি। বরাবরের মতো আজও আমার বিচার কাজে অনেকগুলো মামলার মধ্যে একটি মামলার ডাক পড়লো। বাদি এবং আসামির দিকে তাকাতেই চোখে পড়ল দুটি অবুঝ শিশু। নিষ্পাপ চাহনি মনে হচ্ছে কিছু একটা বলতে চাচ্ছে। একটা মায়ের কোলে, আরেকটা মায়ের সঙ্গে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো।

    বাদিকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনি কি সংসার করবেন? বললো জি স্যার। আসামিকে জিজ্ঞাসা করলাম বললো আমি সংসার করবো না, স্যার। আমি বললাম দেনমোহরের টাকা কি পরিশোধ হয়েছে? জিজ্ঞাসা করতেই মেয়েটা বললো স্যার আমি সংসার করতে চাই, আমার দুটি বাচ্চা আছে। আমি বললাম কেউ যদি সংসার করতে না চায় আমি কি জোর করে সংসার করাতে পারি। উভয়পক্ষের আইনজীবী কিছু বলতে চাচ্ছিলেন, তখন আমি বললাম এজলাস থেকে নেমে আমি উভয়পক্ষকে নিয়ে বসবো, আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন।

    বিকেলে উভয়পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবীসহ তাদের নিয়ে বসলাম। দীর্ঘ আলোচনা হলো। অনেক তিক্ততা, অবশেষে মিষ্টতায় পরিণত। এই বিয়ের মাধ্যমে বাচ্চারা ফিরে পায় তাদের বা-মাকে; আর বাবা-মা ফিরে পায় তাদের হারোনো টোনাটুনির সংসার।

    চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, মেয়েটা সংসার করতে চায়। দুজনকে নিয়ে বসে দুঘণ্টা চেষ্টার পর তারা এক হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দুজনই সংসার করতে রাজি হন। পরে কাজি ডেকে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…