ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বিয়ের দাবিতে দুই সন্তানের জননী প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। এ কারণে তিনি মারধরের শিকারও হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১ডিসেম্বর) উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাগদী (সজ্জনকান্দা) এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত প্রেমিক হাফিজুর মোল্যা (৪৫) একই গ্রামের চানমিয়া মোল্যার বড় পুত্র। তার এক স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তান রয়েছে।
অবস্থানকালীন সময়ে ঐ নারী জানায়, প্রায় তিন বছর যাবৎ হাফিজুরের সাথে তার সম্পর্ক চলে আসছে। সম্পর্ক চলাকালীন সময়ে ঐ নারীর সাথে হাফিজুর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে হাফিজুর ঐ তরুণীর সাথে দেখা করে বাড়িতে যেতে বলে, বাড়িতে গেলে বিয়ে করবে বলে কথা দেয়।
শুক্রবার সকালে ঐ নারী হাফিজুরের বাড়িতে গেলে, হাফিজুর, তার চাচা ছিরু মোল্যা ও পরিবারের সদস্যরা ঐ তরুণীকে মারধর করে এবং বটি দিয়ে কোপ দেয় বলে জানান।
ভুক্তভোগী নারী আরো বলেন, প্রায় তিন বছর হাফিজুরের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের কথা ও বিভিন্ন লোভ লালসা দিয়ে ও আমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করেছে। ওর জন্য আমার ঘর-সংসার, জীবন-যৌবন সব শেষ। ও আমাকে বিয়ে না করলে আমার মরা ছাড়া গতি নাই। আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করবো।
হাফিজুর বাড়িতে না থাকায় তার মা জানায়, ঐ তরুণীর সাথে আমার ছেলের কোন সম্পর্ক নাই, মারধরের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বাড়িতে ছিলেন না বলে জানান।
এই বিষয়ে মাঝারদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আফছার মাতুব্বর বলেন, বিষয়টি আমি মাত্রই জানতে পারলাম। দেখি কি করা যায়।
সালথা থানা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. শেখ সাদিক বলেন, এই বিষয়ে আমরা কোন অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ প্রাপ্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিএম