জাল দলিল নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ভুক্তভোগীকে ডেকে নিয়ে ম্যানেজ করার অভিযোগ উঠেছে দেবীগঞ্জের সাব রেজিস্ট্রার নিশাদুর রহমানের বিরুদ্ধে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাল দলিলের বিষয়টি জানতে স্থানীয় সাংবাদিকরা সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে যান। কিন্তু জাল দলিলের বিষয়ে প্রশ্ন করা মাত্র সাব রেজিস্ট্রার নিশাদুর রহমান সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী সাংবাদিকগণ।
ভুক্তভোগী চার সাংবাদিক হলেন- সময়ের কণ্ঠস্বর ও দৈনিক মানবজমিনের প্রতিনিধি নাজমুস সাকিব মুন, কালবেলা ও নিউজজি২৪ এর প্রতিনিধি সিরাতুল মোস্তাকিম, সাপ্তাহিক ফলোআপের রওশন জালালী ও আজকের বসুন্ধরার লালন সরকার।
এই ঘটনার পর বিকাল ৪টার দিকে সাব রেজিস্ট্রার ভুক্তভোগী আব্দুল হাই প্রধানকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে নেন এবং বিষয়টি নিয়ে তিনি আপোস করবেন কিনা জানতে চান। তবে আব্দুল হাই কোন আপোসে যাবেন না বলে জানান।
আব্দুল হাই প্রধান বলেন, এতদিন সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে জাল দলিলের ব্যাপারে জানতে কেউ খোঁজ নেয়নি। আজ হঠাৎ করে ডেকে পাঠালে আমি অফিসে যাই। পরে এই ঘটনায় আমি আপোস করব কিনা জানতে চান সাব রেজিস্ট্রার।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেবীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দুইটি জাল দলিল সম্পাদন হয় এবং প্রকৃত মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) খারিজ আবেদন বাতিল করে দেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সাংবাদিকরা সেই তথ্যটি যাচাইয়ের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে যান। সেখানে সাব রেজিস্ট্রার নিশাদুর রহমানের নিকট এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি তাৎক্ষণিক সাংবাদিকদের উপর ক্ষেপে যান। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই সময় নিশাদুর রহমানকে শান্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এরপরও তিনি রাগান্বিত হয়ে সাংবাদিকদের দলিল সার্চ দিতে দেখতে বলেন এবং এই বিষয়ে তিনি কোন তথ্য দিতে পারবেন না বলে জানান।
এমআর