ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতে প্রকৃতিতে যেন রঙের আগুন লেগেছে। শীতের খোলস ছেড়ে নবরূপে সেজেছে বৃক্ষরাজি। এরই মাঝে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল। আর এ মুকুলের মৌ-মৌ গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে চারিদিকের পরিবেশ।
শহর আর গ্রামাঞ্চলের বাসা-বাড়িতে রোপণ করা আম গাছগুলোতে ফুটতে শুরু করেছে মুকুল। শুধু বাসা-বাড়িতেই নয়, অনেকে বাণিজ্যিক ভাবেও করছেন আম বাগান। এছাড়া অফিস-আদালত কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আম গাছেও বাতাসে দোল খাচ্ছে মুকুল। এখন প্রকৃতির খেয়ালে স্বর্ণালীরূপ ধারণ করেছে আবহমান গ্রামবাংলা।
গত বছরের তুলনায় চলতি বছর প্রতিটি আমগাছে আশানুরূপ মুকুল আসতে শুরু করেছে। এসব মুকুল থেকে বেশি পরিমাণ আম পাওয়ার আশায় ইতোমধ্যে গাছগুলোতে ঔষধ প্রয়োগসহ নানামুখী পরিচর্যা গ্রহণ করা হয়েছে।
সামসুদ্দিন খান নামের জনৈক আম চাষী বলেন, বগুড়া জেলায় এমন কোনো বাড়ি নেই যে, যাদের বাড়িতে আমগাছ নেই। প্রতিটি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ছে আমের মুকুল। শুধু আমের মুকুলই নয়, লিচু, লেবু প্রভৃতি ফলের গাছের মুকুলের ঘ্রাণে চারিদিক মৌ মৌ করছে। এসব মুকুলের সুবাস যেন মুগ্ধ করে তুলেছে মানুষকে।
নন্দীগ্রাম উপজেলার আরিফ আলী নামে জনৈক চাষী বলেন, আমি বিগত কয়েক বছর যাবৎ আম ও লিচুর আবাদ করছি উভয় গাছেই পর্যাপ্ত মুকুল এসেছে।
জেলার শেরপুর উপজেলার সাইফুল ইসলাম নামের এক আম চাষী বলেন, কয়েক বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ করছি। বিদেশি জাতের আমগাছগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে বাম্পার ফলন পাওয়া যেতে পারে।
প্রায় সবার মুখেই একই কথা কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে এবং পরিবেশ অনুকূলে থাকলে এ বছর আম ও লিচুতে বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে।