পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে নিত্যপণ্যের বাজার বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল আছে। ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসছে। রোজার আগেই এসব পেঁয়াজ দেশের বাজারে ঢুকবে।
শনিবার জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে এলডি হল চত্বরে ‘রাঙ্গুনিয়া সমিতি, ঢাকা’ আয়োজিত সংবর্ধনা, মেজবান ও মিলনমেলা অনুষ্ঠানে শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে ইশতেহার অনুযায়ী সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা বলেছিলাম, দ্রব্যমূল্য যেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেটার ওপর আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এই সরকারের যাত্রার শুরু থেকে সেই অগ্রাধিকার নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং বাজারের অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার সব রকম ব্যবস্থা নেবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাজারের অসাধু সিন্ডিকেট কারণে-অকারণে নানা অজুহাতে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে। আমরা দেখেছি, একটি কোল্ড স্টোরেজের ভেতর থেকে দেড় লাখ ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। অতীতে পেঁয়াজের সংকট তৈরি করা হয়েছিল। আবার যখন বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হলো, বাজারে পেঁয়াজ সয়লাব হয়ে গেলো, তখন স্টোরেজ থেকে জমিয়ে রাখা পচা পেঁয়াজ ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশসহ ৫টি দেশে সীমিত আকারে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে সরকারিভাবে এ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও, দ্বিপক্ষীয় উদ্দেশ্যে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তবে, কী পরিমাণ রপ্তানি করা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। অন্য দেশগুলো হলো- নেপাল, ভুটান, বাহরাইন ও মরিশাস।
এর আগে, পবিত্র রমজান মাসে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমাতে নির্দিষ্ট পরিমাণে চিনি ও পেঁয়াজের অনুমতি দিতে ভারতকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার।