শিশুদের খেলাকে কেন্দ্র করে দরিদ্র হিন্দু পরিবারের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যানের ভাতিজাদের বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনায় শান্তনা রানী দাস নামের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ একই পরিবারের শিশু সহ ৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
শুক্রবার (২৩শে ফেব্রুয়ারি) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক দিনেশ চন্দ্র মালাকারের পরিবারের উপরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, এই ঘটনায় শাহজাদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভ্যানচালক দিনেশ মালাকার। আহতরা হলেন, দিনেশ মালাকারের স্ত্রী লিপি রানী দাস (৪২), মেয়ে শান্তনা রানী দাস (২২), অন্তরা রানী দাস (২০), দীপা রানী দাস (১২) ও দিশা রানী দাস (৯)।
জানা যায়, স্ত্রী ও ৪ মেয়ে নিয়ে পৈতৃক বাড়িতে দীনেশ মালাকার বসবাস করেন। বড় মেয়ে শান্তনা রানী দাস রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। মেঝো মেয়ে শাহজাদপুর সরকারি কলেজের ছাত্রী।
দরিদ্র ভ্যানচালক দিনেশ মালাকার অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার দুপুর ২টায় তার ছোট মেয়ে বাড়ির পাশে বড়ই কুড়াতে গেলে অভিযুক্তদের বাড়ির শিশুদের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। পরে এই কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ গোলাম হায়দার, তার ৩ ভাই মোরশেদ আলী ভোলা, রতন ও মানিকসহ তাদের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে বাড়িতে থাকা আমার স্ত্রী ও ৪ মেয়েকে পিটিয়ে আহত করে। পরে খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য নিয়ে কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। এই ঘটনায় শাহজাদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় সভাপতি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর জাহান বাচ্চু অনৈতিকভাবে সুপার নিয়োগ দেওয়ার সময় সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে এই ঘটনার অভিযুক্তরা তাদের উপরে হামলা চালায়। পরে সাংবাদিকদের উপরে হামলার ঘটনা থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত গোলাম হায়দার বলেন, ছেলেদের সাথে ঝগড়া লাগায় এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়ভাবে আপোশের চেষ্টা চলছে।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে পোতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর জাহান বাচ্চু বলেন, শিশুদের সাথে ঝগড়া লাগায় সেটা বড়দের ঝগড়ায় রুপ নেয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে।
এই বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল বাশার বলেন, এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এজাহার দায়ের হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআর