নানা আলোচনার মধ্যেই আগামী পহেলা মার্চ থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
রোববার (২৫ ফ্রেব্রুয়ারি) এক বেসরকারি টেলিভিশনকে সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, পহেলা মার্চ থেকে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। আর দাম বাড়তে পারে সাত থেকে থেকে আট শতাংশ।
গত কয়েকদিন ধরেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে আলোচনা চলছে। সরকারের নীতি নির্ধারকরাও আভাষ দিচ্ছেন যে বিদ্যুতের দাম বাড়তে চলেছে।
আর এবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোকে মূল্য বৃদ্ধি না বলে ডলারের মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন করেছেন নসরুল হামিদ।
আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গণশুনানির মাধ্যমে স্টেক হোল্ডারদের মতামত নিয়ে দাম বাড়ালেও গত বছরের জানুয়ারি থেকে দাম বাড়ানো হচ্ছে সরকারের নির্বাহী আদেশে।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়, যা ওই বছরের মার্চ থেকে কার্যকর হয়। আর গত বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম প্রতি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে বাড়ানো হয় পাঁচ শতাংশ করে।
গত ১৫ বছরে পাইকারি পর্যায়ে ১২ ও ভোক্তা পর্যায়ে ১৩ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সাংবাদিকদের বলেন, দেশের বাজারে ডলারের দাম বেড়েছে। ফলে আমাদের খরচ বেড়ে গেছে অনেকখানি। এ কারণে এখন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয় করতে হচ্ছে।
সেদিন তিনি বলেন, এটা দাম বাড়ানো নয়, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, সে জায়গাটা সমন্বয় করা হচ্ছে।
দিনে গ্যাসের ঘাটতি এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুটদিনে গ্যাসের ঘাটতি এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট
বিদ্যুতের দাম লাইফ লাইন গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ইউনিটপ্রতি ৩০ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের ওপরের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা বাড়বে বলে এর আগে আভাস দেওয়া হয়।
এছাড়া গ্যাসের দামও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ক্যাপটিভ পাওয়ারে যে গ্যাস দেওয়া হচ্ছে, সেখানেও দাম বাড়বে ইউনিটপ্রতি (এক হাজার ঘনফুট) ৭০ পয়সা।