এইমাত্র
  • পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
  • ৮ বিভাগেই বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
  • কঠোর নিরাপত্তায় বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
  • কঠোর নিরাপত্তায় বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
  • যশোরে আগাম শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন
  • চুরি করতে গিয়ে বোনের শাশুড়িকে জবাই করে হত্যা
  • আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিলেন শোয়েব মালিক
  • যুদ্ধাপরাধী হিসেবে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা উচিত: হামাস
  • কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী এমন হত্যাকাণ্ড চালাতে পারে না: কাদের
  • জীবনের শেষ ভিডিওবার্তায় যা বলেছিলেন শাফিন
  • আজ শনিবার, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২৭ জুলাই, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    যশোরের ১৬ প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এর নীচে!

    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম
    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম

    যশোরের ১৬ প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এর নীচে!

    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম

    যশোরের ১৬ টি সরকারি প্রাইমারি স্কুল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। দুশ্চিন্তার মূল কারণ হচ্ছে, এসব স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এর নীচে। প্রাক প্রাথমিকসহ ছয়টি শ্রেণিতে আশঙ্কাজনকভাবে কম শিক্ষার্থী থাকার কারণে বিদ্যালয়গুলো নিয়ে কী করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

    ইতিমধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার-ডিপিইওকে বিস্তারিত উল্লেখ করে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়। যা সদ্য বদলি হওয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জেল হোসেন খান গড়িমসি করে সময়মতো পাঠাননি। এ কারণে বর্তমান ডিপিইও আশরাফুল আলম যোগদান করেই ১৬টি বিদ্যালয়ের তথ্য পাঠিয়েছেন মন্ত্রণালয়ে। সম্প্রতি ‘এপিএসসি ২০২৩ এর ডাটাবেজে ০-৫০ শিক্ষার্থী বিশিষ্ট বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর তথ্য’ শিরোনামে জেলার এই ১৬ বিদ্যালয়ের বিস্তারিত পাঠানো হয়েছে। যার স্মারক নম্বর ৩৮.০১.৪১০০.০০০.৩৬.০০৯.২০-২৭০। কম শিক্ষার্থীর ১৬ টি স্কুলের মধ্যে সদর উপজেলায় একটি, অভয়নগরে একটি, কেশবপুরে চারটি ও মণিরামপুরে ১০ টি রয়েছে।

    সদর উপজেলার যে স্কুলটিতে পঞ্চাশের নীচে শিক্ষার্থী সেটি হচ্ছে দক্ষিণ ভাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া, অভয়নগরে হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেশবপুরের সানতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পল্লীমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়নাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তেঘরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

    মণিরামপুরের ১০ স্কুল হচ্ছে, পাঁচকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ পাঁচকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুমারসীমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপমহল মদনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামিনীডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাটগাছা মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর দহাকুলা প্রাথমিক বিদ্যালয়, বয়ারখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জোকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

    এসবের বাইরে যশোর শহরের লালদীঘির পাড়ে অবস্থিত মসজিদ মহল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা পঞ্চাশের নীচে রয়েছে। যদিও এই স্কুলটির নাম তালিকায় নেই। কারণ হিসেবে কর্মকর্তারা বলছেন, এখানে কেবলমাত্র হরিজন সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করে। এ কারণে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে।

    একসময় গুঞ্জন তৈরি হয়, পঞ্চাশের নীচে শিক্ষার্থী রয়েছে যেসব স্কুলে সেখানে যদি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কোনোভাবেই বৃদ্ধি করা না যায় তাহলে সেটিকে পাশের কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্যে নিবিড়ভাবে যাচাই বাছাই করছেন কর্তৃপক্ষ।

    প্রতিবেদনে অধিকাংশ স্কুলে শিক্ষার্থী কম হওয়ার কারণ হিসেবে কম জন্মহার, কম জনসংখ্যা এবং দু’কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

    এর বাইরে মণিরামপুরের পাঁচকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ পাঁচকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুমারসীমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপমহল মদনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামিনীডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর দহাকুলা প্রাথমিক বিদ্যালয় তিনদিকে হাওড় দ্বারা বেষ্টিত থাকার কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    একাধিক ইটভাটা থাকার কারণে সদর উপজেলার দক্ষিণ ভাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমে গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন কর্মকর্তারা।

    এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে যেভাবে তথ্য চেয়েছে আমরা সেইভাবে পাঠিয়ে দিয়েছি। বাকি সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ের।

    পিএম

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…