এইমাত্র
  • মিয়ানমারে বাংলাদেশসহ ছয় দেশের নিরাপত্তা বৈঠক
  • দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী
  • আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
  • নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে লঙ্কানরা
  • নাহিদসহ ৩ সমন্বয়ক হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে
  • সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান বেরোবি প্রশাসনের
  • আজও ৯ ঘন্টা কারফিউ শিথিল থাকবে
  • পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
  • ৮ বিভাগেই বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
  • কঠোর নিরাপত্তায় বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
  • আজ শনিবার, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২৭ জুলাই, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    সাতক্ষীরায় ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ পানির ট্যাংকি বিক্রি করলেন মেম্বাররা!

    জাহিদ হোসাইন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম
    জাহিদ হোসাইন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম

    সাতক্ষীরায় ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ পানির ট্যাংকি বিক্রি করলেন মেম্বাররা!

    জাহিদ হোসাইন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম

    উপকূলীয় জেলায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য সরকার প্রদত্ত ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ পানির ট্যাংকি গ্রহীতাদের কাছে বিক্রি করেছেন সাতক্ষীরা সদরের ধূলিহর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বর বিষ্টুপদ সরকার ও ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর সালমা সুলতানা শিল্পী।

    সরেজমিনে ধূলিহর ইউনিয়নের রুদ্রপুর এলাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বেশ কয়েকটি পরিবারের জন্য বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য ৩০০০ লিটারের পানির ট্যাংকি বিতরণ প্রদান করা হয়েছে। ঠিকাদারের মাধ্যমে পানির ট্যাংকি স্থাপন করার কথা থাকলেও কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও এখনও ট্যাংকিগুলো স্থাপন করা হয়নি। পানির ট্যাংকির গায়ে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে ‘জলাধারটি ক্রয় ও বিক্রয় সমভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ’। তবে ট্যাংকির গায়ের ওই লেখাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে ৩১০০ টাকা করে নিয়েছেন মেম্বর বিষ্টুপদ সরকার ও মহিলা মেম্বর সালমা সুলতানা শিল্পী।

    এসময় গ্রাহকদের কাছে জানতে চাইলে অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিষ্টুপদ মেম্বর ও মহিলা মেম্বর পানির ট্যাংকি দেওয়ার জন্য আমাদের কাছ থেকে প্রথমে ৩০০০ ও ট্যাংকি বিতরণের সময় ১০০ টাকা নিয়েছেন।’ ট্যাংকি ক্রয় ও বিক্রয় করা অপরাধ তাহলে আপনারা টাকা দিলেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। আমরা কি অতো কিছু বুঝি। মেম্বরা আমাদের বলেছেন ট্যাংকি আনতে অনেক খরচ। আপনারা নিতে চাইলে প্রতি ট্যাংকির জন্য ৩০০০ টাকা দিতে হবে। তাই আমরা কেউ কেউ সরাসরি আবার কেউ কেউ অন্যের মাধ্যমে মেম্বরদের টাকা দিয়েছি।’

    গ্রহিতার কাছ থেকে টাকা তুলে শিল্পী মেম্বরকে দিয়েছেন রুদ্রপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম। টাকা উত্তোলনের ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ট্যাংকি দেওয়ার জন্য শিল্পী মেম্বর প্রতি জনের কাছ থেকে ৩০০০ টাকা করে তোলার জন্য আমাকে বলেছিলেন। তাই যারা ট্যাংকি নিয়েছেন তাদের কাছ থেকে আইডি কার্ড ও ৩০০০ টাকা করে তুলে আমি শিল্পী মেম্বরকে দিয়েছি।’

    টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মেম্বর বিষ্টুপদ ও মহিলা মেম্বর সালমা সুলতানা শিল্পী বলেন, আমরা টাকা তুলে পরিষদে জমা দিয়েছি। আমরা শুধু একাই ৩০০০ টাকা তুলিনি। সকল মেম্বরই টাকা তুলেছে।

    ধূলিহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজান চৌধুরী বলেন, ‘আমি শুধু ট্যাংকি মেম্বারদের মাঝে ভাগ করে দিয়েছি। তবে টাকা তুলেছে কিনা তা আমার জানা নেই।’

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিম ভূইয়া বলেন, ‘টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। টাকা নেওয়ার ঘটনা ঘটলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

    পিএম

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…