এইমাত্র
  • চীনের মধ্যস্থতায় এক টেবিলে হামাস-ফাতাহ
  • অবশেষে দুই বিভাগে টানা ৩ দিন ঝড়বৃষ্টির আভাস
  • গা'জায় শরণার্থী শিবিরে ইস'রাইলি হামলায় নিহত ১৫
  • হিট অফিসারের পরামর্শে রাজধানীতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা
  • রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭
  • ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২
  • বরগুনায় নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর জেলের লাশ উদ্ধার
  • হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু, পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক
  • আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সুখবর নেই, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে
  • ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
  • আজ শনিবার, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    ছবি তুলতে গিয়েই শেষ এক পরিবার

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৩ এএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৩ এএম

    ছবি তুলতে গিয়েই শেষ এক পরিবার

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৩ এএম

    ট্রলারের মাঝিকে কয়েক যাত্রী ছবি তুলে দিতে অনুরোধ করেন। তিনি হাতের বৈঠা ছেড়ে মোবাইলে ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। এমন সময় ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি বাল্কহেড ট্রলারে ধাক্কা দেয়। অমনি যাত্রীরা নদীতে পড়ে যান। ডুবে যায় ট্রলারটি।

    শেষ হয়ে যায় আমার ভাই ও তার পরিবার। শনিবার ভাইয়ের স্ত্রী ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হলেও তিনি ও তার ছেলে এখনও নিখোঁজ। কথাগুলো বলছিলেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার চাচাতো ভাই ইমরান হোসেন।

    শুক্রবার সন্ধ্যায় ভৈরবে মেঘনা নদীতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নৌ-পুলিশ ট্রলারের ১২ নারী-পুরুষকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে সুবর্ণা বেগম (৩২) নামে এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার (২৫) ও মেয়ে মাহমুদা সুলতানার (৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন নিখোঁজ রয়েছেন সোহেল রানা ও তার ছেলেসহ ৬ জন।

    ইমরান হোসেন আরও বলেন, ওই ট্রলারে আমাদের ভাগ্নি মারিয়াও ছিল। ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে যায়। সে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। মারিয়া আমাদের জানিয়েছে, ট্রলার যখন ডুবে যাচ্ছিল সে তার মামাতো ভাইবোনদের দুজনকে দুই হাতে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় একজন হাত থেকে ছুটে যায়। সে অন্যজনকে শক্ত করে ধরে রাখে। কিন্তু যখন সেও ডুবে যাচ্ছিল তখন তার হাত ফসকে অন্যজনও ছুটে যায়। শেষ মুহূর্তে সেও ডুবে যাচ্ছিল। পরে কেউ একজন তার হাত ধরে উপরে ওঠায়।

    নিখোঁজ সোহেল রানা কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। তিনি ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগ দেন। শনিবার বেলা ১১টায় তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকের মাতম। বাড়িতে শত শত প্রতিবেশীর ভিড়। সবার চোখেই পানি। কিন্তু তার পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে নেই। সোহেলের বাবা-মাসহ অন্যরা ভৈরবে নদী তীরে বসে আছেন লাশের অপেক্ষায়।

    ফতেহাবাদ ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সাদেক মেম্বার মোবাইলে বলেন, আমিসহ সোহেলের বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজন ভৈরবে ঘটনাস্থলে।

    এফএস

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…