এইমাত্র
  • রাজবাড়ীতে হাসপাতালের নির্মাণ সামগ্রী বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
  • বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছেলে-মেয়েসহ মায়ের মৃত্যু
  • বন্দি ইসরাইলি তরুণীর প্রেমে পড়ে বিয়ের প্রস্তাব হামাস যোদ্ধার
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৯
  • থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা, শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি বহাল থাকবে
  • জয়পুরহাটে তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ, বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ
  • টাঙ্গাইলে কাগজপত্র ঠিক না থাকায় ৩ বাসকে জরিমানা
  • পুলিশের সহায়তা ভারতের কারামুক্ত হলেন বকশীগঞ্জের মঙ্গল মিয়ার
  • কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টে ঘোরাঘুরির সময় পর্যটকের মৃত্যু
  • আজ শনিবার, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    রমজান মাসেও ঠিকমতো খাবার জোটেনা অসহায় সুজনের

    মতিন রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মাগুরা প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম
    মতিন রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মাগুরা প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম

    রমজান মাসেও ঠিকমতো খাবার জোটেনা অসহায় সুজনের

    মতিন রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মাগুরা প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম

    'এই রমজান মাসে মানুষ কত ভালো ভালো খাবার খাবে, ভালো ভালো পরবে, কিন্তু আমাদের সে ব্যবস্থা নেই। হয়তো একবার খালাম, আরেক বার না খায়েই জীবন যাচ্ছে আমাগের।' এমন আর্তনাদ আর চোঁখটা জলে ভাসিয়ে এসব কথা বলছিলেন সুজন শেখ (৩২) নামে এই যুবক।

    সুজন জন্মের দশ বছর পর বিরল এক রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানাতে পড়ে থাকেন সবসময়ই। দুই হাত বাদে দেহের সব অঙ্গই প্রায় অচলঅবস্থা তার। বাড়িতে সুজনসহ তিন সদস্যের পরিবার। তার মা ও নিজের স্ত্রীকে নিয়ে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে বসবাস করছেন তিনি।

    সরেজমিনে দেখা যায়, ভূমিহীন এই পরিবারটি মহম্মদপুরের বিনোদপুর-নহাটা সড়কের নারায়ণপুর গ্রামে সুইচ গেইটের পাশে চার শতাংশ খাস জমির উপর একটি টিনসেড বাড়িতে থাকেন। পরিবারে একমাত্র পুরুষ লোক তাও আবার প্রতিবন্ধী। এখন সরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে সহযোগিতা চাইছেন সুজন ও তার পরিবার।

    সুজন শেখ জানান, তিনি প্রাইমারি স্কুলে ফোর পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। পরে হঠাৎ শরীরে রোগ দেখা দেয়। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি পরিবার।সুজনের বাবা ইউনূস শেখ গেলে ছয়মাস আগে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এখন পরিবারে উপার্জনক্ষম আর কেউ নেই। প্রতিবন্ধী একটি ভাতার কার্ড রয়েছে তার। কিন্তু সেই টাকায় উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বাজারে সংসার চালানো খুবই দূরুহ ব্যাপার বলে জানান তিনি।

    এদিকে সুজনের মা রাশিদা বেগম জানান, তার একমাত্র সন্তান সুজন অসুস্থ হলে তাকে বিয়ে দিয়েছি আরেক প্রতিবন্ধী মেয়ের সঙ্গে। আমি মারা গেলে তাকে দেখার মত কেউ থাকবে না। পরিবারে দুইজন নারী আর অসুস্থ ছেলে। স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবারে এখন খাবারের অভাব। খাস জমিতে থাকি তাই সরকার টাকা দিয়ে সহযোগিতার পাশাপাশি একটা ঘর করে দিলে ঝড় বৃষ্টিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হতো। এই রমজান মাসে সবাইকে সহযোগিতা করে পাশে থাকার অনুরোধ করেন রাশিদা বেগম।

    প্রতিবেশীরা জানান, রমজান মাসেও সময়মতো খাবার জোটেনি এই পরিবারের। কিছু সময় প্রতিবেশী তাদেরকে সহযোগিতা করে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। এখন সরকারিভাবে এবং বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে তিনটি জীবন একটু খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারবে। প্রতিবন্ধী সুজনকে একটা দোকান করে দিলেও সেখান থেকে আয় করে চলতে পারবে বলেও জানায় প্রতিবেশীরা।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…