বৈশাখের শুরু থেকেই কখনো মাঝারি আবার কখনও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে। চলতি মৌসুমে সব রেকর্ড ভেঙে এ জেলার আজ বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা চলতি মৌসুমে দেশেরও সর্বোচ্চ তাপমাত্র এটি।
টানা তীব্র আকারের তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী এ জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গার আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২২ শতাংশ। ধারনা করা হচ্ছে এটা আজ দেশেরও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপ। তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়ায় চারপাশে। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বাইরে নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদের। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা। ছন্দপতন ঘটছে দৈনন্দিন কাজকর্মে।
জেলা দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ফল ব্যবসায়ী শাহীন বলেন, প্রচণ্ড গরমে মানুষ অতিষ্ঠ। দোকানে আসছে না ক্রেতা। ঠিকমতো বেচাকেনাও হচ্ছে না। তার ওপর প্রচণ্ড সূর্যের উত্তাপে দোকানে বসে থাকাও যাচ্ছে না।
বৈশাখের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য করাই দায়। একদিন কেনাবেচা না করতে পারলে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে।
ইজিবাইকচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, গরমে শহরে মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। তাই ভাড়াও ঠিকমতো হচ্ছে না। রাস্তা দিয়ে আগুনের আঁচ উঠছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা আরও কিছুদিন চলতে পারে। তবে এখনই বৃষ্টির সম্ভবনা নেই।
গত ১২ এপ্রিল শুক্রবার ছিল ৩৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৩ এপ্রিল শনিবার ছিল ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৪ এপ্রিল রোববার ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৫ এপ্রিল সোমবার ছিল ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও মঙ্গলবার ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস ।