এইমাত্র
  • আজ মহান মে দিবস, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন
  • ৫২ বছরের ইতিহাসে যশোরের তাপমাত্রা ৪৩.৮ ডিগ্রি
  • সৌদিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত, বিভিন্ন স্থানে বন্যা
  • ৮টার পর দোকান খোলা রাখলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
  • অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
  • ৫৪ বছরের ইতিহাস ভেঙে বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড
  • দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
  • জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব!
  • নির্বাচনে এমপি মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর
  • ফিলিস্তি’নিদের সমর্থনে মালয়েশিয়ায় কেএফসি বয়কট, শতাধিক আউটলেট বন্ধ
  • আজ বুধবার, ১৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    যশোরে তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৮ পিএম
    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৮ পিএম

    যশোরে তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৮ পিএম

    যশোরে তাপমাত্রার দাপট উঠেছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র দাবদাহে ছোটবড় সবার হাঁসফাঁস অবস্থা। সূর্যের প্রচন্ড তাপে যেন গাঁ পুড়ে যাচ্ছে। ফ্যানের বাতাসেও গরম অনুভূত হচ্ছে। আবার দাবদাহে অতিষ্ট মানুষ ছায়া জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন। এই অবস্থায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সব বয়সী মানুষ। মৌসুমি রোগ থেকে রেহাই পেতে চিকিৎসকরা অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

    আবহাওয়া অফিসের ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার (১৭ এপ্রিল) যশোরে তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার ছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সোমবার ছিল ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনে তাপমাত্রা কমার কোন সুখবর নেই। কারণ আরো কয়েকদিন অসহনীয় তাপমাত্রায় পুড়তে হতে পারে মানুষকে।

    যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের বাসিন্দা মফিজুর রহমান জানান, ওষ্ঠাগত গরমে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রখর রোদ থেকে ঘরে ফিরেও গরমে ছটফট করছেন সবাই। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। রাতের বেলাও থাকছে ভ্যাপসা গরম। এই গরম কোনভাবে সহ্য করার মতো নই।

    যশোর শহরের বেজপাড়ার চায়ের দোকানদার সাদেক আলী জানান, প্রচন্ড গরমে দোকানে বসে থাকা খুবই কষ্টকর। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে চা বিক্রি কমে গেছে।

    যশোর সদর উপজেলার লাউখালী গ্রামের মিন্টু হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি শহরের দড়াটানা থেকে গিয়েছিলেন রেল রোডে । আনুমানিক এক কিলোমিটারের এই পথ পাড়ি দিতেই তিনি হাপিয়ে ওঠেন। কড়া রোদে ‘পুড়ে’ যাচ্ছে গা। মাথার ওপরের নীল আকাশটা যেনো তাঁতালো কড়াইয়ের রূপ নিয়েছে। রোদের খরতাপে অসহনীয় অবস্থায় পড়ছেন তার মতো অনেকেই।

    চান্দুটিয়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে সুর্য উঠার সাথে-সাথে তীব্র রোদ। বেলা বাড়ার সাথেই রোদ যেন আগুনের ফুলকি হয়ে ঝরছে। আগুনঝরা রোদের তেজে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। বুধবার দুপুরে তাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি মাঠে যাননি।

    যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুস সামাদ জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে হাসপাতালে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

    তিনি জানান, বেশির ভাগ শিশু ঠান্ডা জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘ভাইরাল ফিভার’ বা মৌসুমি রোগ থেকে রক্ষা পেতে শিশুদের বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়াবেন। রোদে ঘোরাঘরি করতে দেয়া যাবেনা। খোলামেলা ঠান্ডা পরিবেশে শিশুদের রাখা ও বেশি বেশি পান করাতে হবে। গরমের কারণে ডায়রিয়া রোগীও বেড়েছে। সচেতনতার বিকল্প কিছু নেই।

    তিনি আরও জানান, গরমে বাড়ছে অস্বস্তি। কড়া রোদ ও আবহাওয়ার কারণে বয়স্ক মানুষ নানা ধরণের অসুখ-বিসুখে বিপর্যস্ত করছে। সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে জ্বর, হিটস্ট্রোকে।

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…