এইমাত্র
  • মে দিবসে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
  • শায়েস্তাগঞ্জে তানভীর হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
  • চুয়াডাঙ্গায় মহান মে দিবসের আলোচনা সভা অনু‌ষ্ঠিত
  • রাজধানীর মিরপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  • চুয়াডাঙ্গায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের আভিযোগে আটক ১
  • নাটোরে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
  • মাগুরায় মোটরসাইকেল-ডাম্পট্রাকের সংঘর্ষে নারীর মৃত্যু
  • মে দিবস উপলক্ষে হিলি বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
  • গরু-ছাগলের মতো বিক্রি হয়ে মাঠে পুইরা কাজ করি, শ্রম দিবস কী বুঝিনা
  • প্রয়াত প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রীর জানাজায় মোবাইল হারালেন ধর্মমন্ত্রী
  • আজ বুধবার, ১৮ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    যশোরের শার্শার মাঠে মাঠে সবুজ গালিচার দৃশ্য

    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫২ পিএম
    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫২ পিএম

    যশোরের শার্শার মাঠে মাঠে সবুজ গালিচার দৃশ্য

    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫২ পিএম

    আমাদের দেশে খাদ্য উৎপাদনে গমের ভূমিকা অনষিকার্য। গমের আটা ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয় নানা রকম পিঠা। রুটি পরাটা তৈরিতে আটার বিকল্প নেই। যশোরের শার্শায় এবার গম চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষক। তাদের চোখে এখন শুধুই দিগন্ত জোড়া সবুজ। মাঠের পর মাঠ জুড়ে কেবল সবুজের সমারহ। যে দিকে চোখ যায় কেবল সবুজ গালিচা চোখে পড়ে।

    গমের ছোট ছোট সবুজ গাছ প্রকৃতিতে শোভা বর্ধনে যেন নব সাজে সাজিয়েছে সমস্ত মাঠ। সবুজের সমারোহ বিমোহিত করছে মানুষকে। সারা মাঠ জুড়ে এমন মধুময় সবুজ গালিচার দৃশ্য লক্ষণীয় এখন যশোরের শার্শার মাঠে মাঠে।

    শার্শা উপজেলা কৃষি অফিস জানান, এ বছর শার্শা উপজেলায় গম চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ শত ৪০ হেক্টর জমি কিন্তু চাষ হয়েছে ২ শত ৪৬ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে ৬ হেক্টর বেশি। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ শত ৪০ হেক্টর। গত বছরে তুলনায় এবছর ৬ হেক্টর জমিতে গমের চাষ বেশি হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে প্রতি হেক্টর জমিতে চার থেকে পাঁচ টন গম উৎপাদন হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ২৪০ হেক্টর জমিতে প্রায় ১২০০ টন গম উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিভিন্ন কারণে এই হিসেবের কম-বেশি হতে পারে। গম চাষের উপযোগী মাটি, অনুক‚ল পরিবেশ, কৃষি বিভাগ থেকে সুপরামর্শ ও উৎসাহ প্রদান, সময় মত প্রণোদনার বীজ ও সার কৃষকের মাঝে বিতরণ উপজেলার কৃষকদের মাঝে গম চাষের আগ্রহ বাড়িয়েছে।

    শার্শা উপজেলার মাঠ পর্যায়ের চাষিদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কৃষি বিভাগ থেকে আমরা সুপরামর্শ পেয়েছি। গম চাষে সার, কীটনাশক কম লাগায় স্বল্প খরচে অধিক ফসল পাওয়া সম্ভব।

    উলাশী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান, নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া গ্রামের কৃষক মুজিবুর রহমান, শার্শার পান্তাপাড়া গ্রামের কৃষক বজলুর রশিদসহ বেশ কয়েকজন গম চাষিরা জানান, শার্শা উপজেলার দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি গম চাষের জন্য উপযোগী। সরকারি প্রণোদনায় সার ও গমের বীজ পেয়ে আমরা খুশি এবং সময় মতো জমি চাষ করতে পেরে গমচাষে ভালো ফলনে সফলতা পাবো এমনটা আশাবাদী। আমরা আশা করছি হেক্টর প্রতি ৪ থেকে ৫ টন গম উৎপাদিত হবে। দাম ভালো হওয়ায় চাষিরা গম চাষে লাভবান হবেন এমনটি ভাবছেন কৃষকরা।

    আমাদের দেশে সাধারণত যে সমস্ত গমের চাষ হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বারি- ১৯ থেকে বারি-৩৩, বি এ ডাবিøউ -২৪, ৩৮, ৩৯, ৪৩, ৪৫২, বি ডাবিøউ এম আর আই-৩ জাত অন্যতম। এর মধ্যে শার্শা উপজেলায় বারি-৩০,৩২,৩৩ জাতের গম চাষ বেশি হয়েছে। গম চাষে গোড়া পঁচা, বøাস্ট, বীজে কালো দাগ রোগ, পাতার মরিচা রোগ, আলগা ঝুল রোগ ও পাতা ঝলসানো রোগ অন্যতম। কিন্তু কৃষি বিভাগের আন্তরিকতা ও সার্বিক সহযোগিতার কারণে কৃষকরা রোগ বালাই মুক্ত গম ঘরে তুলতে পারবে এমন আশ্বাস তাদের।

    উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা জানান, গম চাষে আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছি গত বছরের তুলনায় এ বছর ৬ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। দেশে খাদ্য ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে গমের আবাদ বৃদ্ধি করতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার ৩০০ বিঘা গম চাষিকে প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি বিঘায় এক কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএমপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় দ্রুত চাষ করা সম্ভব হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে সময় মত চাষ করায় এ বছর কৃষক কাঙ্খিত ফসল ও ন্যায্য দাম পাবেন এমনটি আশা করছেন কৃষকরা।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…