এইমাত্র
  • প্রয়োজনীয় রীতি-অনুষ্ঠান ছাড়া হিন্দু বিবাহ বৈধ নয়
  • শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
  • কুমিল্লায় বজ্রপাতে ৪ জনের প্রানহানি
  • এবার ভরিতে ১৮৭৮ টাকা কমল স্বর্ণের দাম
  • দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার সতর্কতা জারি
  • উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব ঠেকাতে ইসির চিঠি
  • বাংলাদেশী ১০ জেলেকে অপহৃত করল আরাকান আর্মি
  • ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচনে ৮ প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ
  • শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে গলে যাচ্ছে বিটুমিন, অভিযানে দুদক
  • ফুলবাড়ীতে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে বাঁধা, ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২
  • আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    পিতাকে সব দান করে নির্বাচনে অংশ নিচেছন যুবলীগ নেত্রী!

    মো. আরিফুর রহমান, মাদারীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৫ পিএম
    মো. আরিফুর রহমান, মাদারীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৫ পিএম

    পিতাকে সব দান করে নির্বাচনে অংশ নিচেছন যুবলীগ নেত্রী!

    মো. আরিফুর রহমান, মাদারীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৫ পিএম

    আসন্ন উপজেলা পরষিদ নর্বিাচনে হলফনামায় সম্পদ কম দেখাতে তিন কোটি টাকার মূল্যে ডুপ্লেক্স বাড়ি বাবাকে দান করলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদর্প্রাথী ফারজানা নাজনীন। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে বইছে আলোচনা ও সমালোচনা। এই ভবন নর্মিাণরে এত র্অথ জোগান নযি়ওে রয়ছেে নানা গুঞ্জন।

    গত ৯ এপ্রিল মাদারীপুর সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে হেবা ঘোষণার মাধ্যমে নিজের পিতা ইসমাইল হোসেনকে বিলাসবহুল তিনতলা অট্টালিকাসহ বাড়িটি দান করেন মেয়ে ফারজানা নাজনীন।
    ফারজানা নাজনীন মাদারীপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করে বাচাই বাছাইয়ে টিকেছেন।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের বাসভবনের পেছনে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন অত্যাধুনিক তিনতলা ডুপ্লেক্স বাড়ি। যা নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা।

    মাদারীপুর পৌরসভার ১১১নং শকুনী মৌজার ৩৮৭, ৩৮৮ ও ২৮৯ নং দাগে ৭ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত হয়েছে ৩ তলা বিশিষ্ট বিলাস বহুল ডুপ্লেক্স বাড়িটি। এই সম্পত্তির মালিক ফারজানা নাজনীন ও তার মেয়ে তাসনিম জাহান মীম। ফারজানা নাজনীন তার বাবা কুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেনের নামে গত ৯ এপ্রিল ২৩৩৭ নং দলিলে ‘হেবা ঘোষণার’ মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তন করেন। পরে দাখিল করেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র। নির্বাচনের হলফনামায় সম্পত্তি কম দেখাতেই বাবার নামে লিখে দিলেন কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি।

    মাদারীপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ ভূমি জরিপ বিআরএস রেকর্ডে সংশ্লিষ্ট দাগ ও খতিয়ানে ডোবা থাকায় ভবন নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ মনে করায় অনুমোদন দেয়া হয়নি। ওই জায়গায় ভবন নির্মাণের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অনুমোদন চাইলেও সবশেষ পৌরসভার সার্ভেয়ার ও ইঞ্জিনিয়ারসহ বিশেষজ্ঞরা দেননি কোন অনুমোদন। পরে ফারজানা নাজনীন ক্ষমতার অপব্যবহার করেই এই ভবন নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

    মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী যুবলীগ নেত্রী ফারজানা নাজনীনের নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিলের হলফনামায় তিনি ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন তিন লাখ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে মাত্র ২ হাজার টাকা। আর নগদ অর্থ সাড়ে ৪ লাখ টাকা উল্লেখ করেছেন। হলফনামার তথ্য নিয়ে মাদারীপুরের জনমনে এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বিপুল অর্থে নির্মিত ডুপ্লেক্স বাড়িটির অর্থ জোগান আসলো কোথা থেকে? সম্প্রতি এ নিয়ে বেশ কয়েকজন সচেতন নাগরিক বাড়িটি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। ফেসবুকে দুদককে অনুসন্ধান করতেও অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয়রা নাগরিকেরা।

    মাদারীপুরের যুব মহিলা লীগ নেত্রী ফারজানা নাজনীন সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্বামী লিয়াকত হাওলাদার ইতালি থেকে টাকা পাঠিয়েছেন, সেই টাকা থেকে নির্মাণ করা হয়েছে এই বাড়ি। এছাড়া আমি জেলার একমাত্র নারী ঠিকাদার, আমি ব্যবসা করি, আমার ব্যবসার টাকায় বাডিটি নির্মাণ ব্যয় করা হয়েছে। পৌরসভা থেকে কোন অনুমোদন নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিলাম, কিন্তু পৌরসভা অনুমোদন দেয়নি। পরে অনুমোদন ছাড়াই ভবন নির্মাণ করেছি। এই শহরের অনেক বাড়িই অনুমোদন ছাড়া তৈরী হয়েছে। সবাই যেভাবে বাড়ি নির্মাণ করছে আমিও সেভাবেই বাড়ি নির্মাণ করেছি।

    সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগেই বাড়ির মালিকানা কেন পরিবর্তন হয়েছে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, বাড়ির জমি নিয়ে ঝামেলা থাকায় বাবার নামে লিখে দেয়া হয়েছে। জমিটা মূলত বাবার, কিন্তু বাড়ি আমি নির্মাণ করেছি।

    মাদারীপুর পৌরসভার সার্ভেয়ার এনায়েত হোসেন বলেন, ফারজানা নাজনীন ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করেছিলেন, পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জায়গাটি ডোবা। বিআরএস রেকর্ডে ডোবা থাকায় পৌরসভা এজন্য কোন অনুমোদন দেয়নি। কিন্তু বাড়িটি তারা অনুমোদন না নিয়েই নিজেদের মতন করেই তৈরী করেছে।

    দুর্নীতি দমন কমিশনের মাদারীপুরের উপ-পরিচালক আতিক রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ আসলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণের অর্থ জোগানের বিষয়েও খোঁজ-খবর নেয়া হবে।

    এফএস

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…