পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি লেটার অব ইনটেন্ট সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আগামী ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ ও ইউনেস্ক্যাপের ৮০তম সম্মেলনে যোগ দিতে থাইল্যান্ড সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী। ২৫ এপ্রিল ইউনেস্ক্যাপের অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা ও একটি লেটার অব ইনটেন্ট (আগ্রহের সম্মতিপত্র) স্বাক্ষরিত হবে।
এর আগে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড যাবেন। তিনি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফর উপলক্ষে গত সপ্তাহে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথ বিবৃতি প্রচার করে। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ে থাইল্যান্ডে এটি প্রথম সফর হবে। দুই বন্ধুদেশের মধ্যে ‘সহযোগিতার নতুন জানালা’ উন্মোচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্য এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ।
এই সফরে থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও রানি সুথিদার সঙ্গেও সাক্ষাৎ হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং এসকাপের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর থাইল্যান্ডে। ১৯৭২ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল থাইল্যান্ড।