এইমাত্র
  • সিরাজগঞ্জে সাংবাদিকের প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন ইসি রাশেদা
  • শনিবার বন্ধ থাকছে দেশের যেসব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
  • পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
  • পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ২০
  • এসএসসি পরীক্ষার ফল ১২ মে
  • খালেদা জিয়া তত্বাবধায়ক সরকারের মামলায় গ্রেফতার এবং বন্দি: কাদের
  • দুপুরে যে ৬ জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা
  • জয়দেবপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালকসহ আহত ৪
  • কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার
  • কারামুক্ত হলেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক
  • আজ শুক্রবার, ২০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৩ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    তীব্র দাবদাহে ঝরছে আমের গুটি, শঙ্কায় বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা

    মো. আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
    মো. আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম

    তীব্র দাবদাহে ঝরছে আমের গুটি, শঙ্কায় বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা

    মো. আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম

    তীব্র দাবদাহে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের গুটি ঝরে পড়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এবার কিছুটা দেরিতেই মুকুল এসেছিলো। পরিমাণেও ছিলো অনান্য বছরের তুলনায় কম। তারপরও শুরু থেকেই বাড়তি যত্নে বাগানগুলোতে মুকুল থেকে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে আম। তবে কদিনের তীব্র দাবদাহে গাছে থাকা আমের গুটির বৃদ্ধি ও টিকে থাকা নিয়ে চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছেন বাগান মালিকদের।

    চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার আম বাগান মালিক এরসাদ আলী জানান, এবার মুকুল কিছুটা আসলেও ফাল্গুন মাসের শেষের দিকে বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে মুকুল জলে গেছে। কৃষি বিভাগ বাগানে সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিলেও ইরি-বোরো মৌসম চলার কারণে ধানে সেচ দেওয়ায় বাগানে সেচ দিচ্ছে না গভীর নলকূপের মালিকরা। আমার বাগানে যেখানে তাপ ৪-৫ লাখ টাকার আম বিক্রি করার আশা ছিল। সেখানে এখন এক লাখ টাকা কীটনাশক খরচ পাবো কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।

    তিনি আরও বলেন, খরার কারণে আমের গুটি বড় হচ্ছে না, বোটা শুকিয়ে ঝড়ে পড়ছে। আকাশের পানি না হলে সেচ দিয়েও খুব বেশি কাজ হচ্ছে না।

    শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সম্পাদক মো. ইসমাইল খান শামীম বলেন,দুই দিনের বৃষ্টিতে আমের প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির পরেই যারা বাগানে ছত্রাকনাশক স্প্রে করেছে,তাদের বাগানে আমের গুটি টিকে আছে বেশি। এমনিতে অন্য বছরের তুলনায় এবছর আমের উৎপাদন খুবই কম; তার উপরে তীব্র দাবদাহের কারণে আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে।

    আম সংগঠনের এই নেতা আরও বলেন, বিশেষ করে এবার দু'টি কারণে আমের উৎপাদন কম বলে আমি মনে করছি। সেটা হচ্ছে- জলবায়ু পরিবর্তন আরেকটি শিবগঞ্জ, ভোলাহাট ও গোমস্তাপুর এলাকায় যে সকল আমবাগান রয়েছে তারা ৫০ শতাংশ আম বাগান পরিচর্যা করেনি। যার কারণে তাদের বাগানের পোকামাকড়গুলো অন্য বাগানগুলোকে আক্রান্ত করছে। যার ফলে উৎপাদন কমে যাচ্ছে।

    গুটি টিকিয়ে রাখতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোখলেসুর রহমান জানান, 'চাঁপাইনবাবগঞ্জের বড় গাছ গুলোতে এবার মুকুল কম এসেছে, তবে ছোট গাছে ভালো মুকুল আছে। সঠিক ভাবে পরিচর্যা করা গেলে, কৃষি বিভাগ যে সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, তার কাছাকাছি যাওয়া যাবে বলে আশা করছি আমরা। আর গুটি টিকিয়ে রাখতে বাগানে প্রচুর পরিমাণে সেচ দিতে হবে।

    এআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…