এইমাত্র
  • ভূমি মন্ত্রণালয়ে বড় নিয়োগ, পদ ২৩৮
  • ভালুকায় পথচারীদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ
  • দিল্লিতে ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতলেন মিথিলা
  • পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
  • নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা সদস্যসহ নিহত ৪
  • জমে উঠেছে বিরামপুর উপজেলা নির্বাচন
  • সৌদিতে ইসরাইলবিরোধী পোস্ট করলেই গ্রেফতার
  • নাটোরে আগুনে দগ্ধ হয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু
  • আ.লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা আজ
  • মাদারীপুরে ট্রাক-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
  • আজ শনিবার, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৪ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    লক্ষ্মীপুরে গরমে বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া, ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি

    রাজীব হোসেন রাজু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
    রাজীব হোসেন রাজু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম

    লক্ষ্মীপুরে গরমে বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া, ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি

    রাজীব হোসেন রাজু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম

    তীব্র গরমে হাঁসফাঁস লক্ষ্মীপুরের জনজীবন। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ। অতি গরমে হাসপাতাল গুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও দ্বিগুণ রোগি। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শয্যা সংকটের কারণে হাসপতালের মেঝেতে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। তার ওপর নানান অব্যবস্থাপনায় বেড়েছে ভোগান্তি।

    বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জেলা সদর হাসপাতালে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিভিন্ন রোগ নিয়ে আসা রোগীরা হাসপাতালে এসেও দুর্ভোগের শেষ নেই। রোগীর তুলনায় চিকিৎসকের অভাব। হাসপাতালের সব জায়গায় নেই ফ্যানের ব্যবস্থা। এতে করে আরো বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের।

    লক্ষ্মীপুর পৌর ১১নং ওয়ার্ড থেকে জ্বর, ঠান্ডা নিয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা যুবক সাইফুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনের গরমের কারনে জ্বর -ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়ি। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। আগের থেকেও এখন কিছুটা ভালোর আছি। পৌর ২নং ওয়ার্ড থেকে সন্তানকে নিয়ে আসা কাশেম বলেন, হাসপাতালে রোগির চাপ বেশি। ঠান্ডা জনিত সমস্যাই বেশিরভাগ রোগির।

    সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অরুপ পাল জানান, প্রতিদিনই জ্বর-ঠান্ডা, ডায়রিয়া রোগি ভর্তি হচ্ছে। প্রতিদিন শিশু ওয়ার্ডে ৪০-৫০ জন, মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ৪৫-৫০ জন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৪০-৫০ জন চিকিৎসা নিচ্ছে। সপ্তাহে গড়ে ১০০০ জন সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমাদের ১০০ শয্যা হাসপাতাল। প্রতিদিন রোগি ভর্তি থাকে ৩৫০-৪০০জন। অপর্যাপ্ত লোকবল নিয়ে আমাদের চিকিৎসা সেবা দিতে বেগ পেতে হয়। তারপরও আমরা চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।

    তীব্র গরমে রোগ থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে বলেন, রোদে না যাওয়া, বাইরে ঘুরাফেরা না করা, প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা ও প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বয়স্করা শিশু, হার্টের রোগী, ডায়বেটিসের রোগীদের গরমে বাইরে যাওয়া একেবারেই নিষেধ কারণ হিটস্ট্রোক যেন না হয়। বাইরের খাবার যেন আমরা না খাই। হটাৎ বৃষ্টি এলে ভিজবো এরকমটা যেন না হয় এতে জ্বর চলে আসে। চেষ্টা করবো ছায়াযুক্ত স্থানে থাকতে, পানি বেশি খেতে। বাইরে যেতেই হলে ছাতা নিয়ে যাব অথবা মাথার উপরে একটা সুতি জামা কাপড় রাখবো।

    সিভিল সার্জন ডা: আহমেদ কবির বলেন, হিটস্ট্রোক জনিত রোগির জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এছাড়া গরমের কারনে অসুস্থ হওয়া রোগিদেরও চিকিৎসা চলছে। আমাদের পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ঔষুধ পত্র রয়েছে। বেড সংখ্যা কম হলেও আমরা অতিরিক্ত রোগিদের ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…