চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ আবারো বাড়তে শুরু করেছে। আজ শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৩ শতাংশ। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকার কারণে তাপমাত্রার সাথে ভ্যাপসা গরমে জনজীবন চরম অস্বস্থিতে পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাযায়, গত ৭ দিন চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৫ ডিগ্রীর মধ্যে উঠা নামা করছিল। এরপর গত ১৪ মে মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রার পারদ আবারো বাড়তে শুরু করে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, গত মঙ্গলবার ( ১৪ মে)দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গা তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৪৬ শতাংশ। বুধবার ( ১৫ মে) দুপুর ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৪৬ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১৫ মে)দুপুর ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৪৬ শতাংশ।
সবশেষ শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধা ৬ টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৫৪ শতাংশ এবং দুপুর ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৪৭ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, বাতাসে জলীয় বাষ্পর পরিমাণ বেশী থাকায় দিনে ও রাতে ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে অস্বস্থি লাগছে।
চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরু থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়ে আসছে এই জেলায়। চলতি মৌসুমে গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
পিএম