ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১১ রানের। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যেন জয়ের স্বপ্নই দেখাচ্ছিলেন। প্রথম দুই বলে ৪ রান আসায় শেষ চার বলে প্রয়োজন হয় ৭ রানের।
তৃতীয় বলে জাকির আলী আউট হলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল। চতুর্থ বলে লেগ বাই থেকে এক রান এলে শেষ দুই বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন হয় ৬ রানের। পঞ্চম বলে ফুলটসকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন রিয়াদ। বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলে শেষ বলে টাইগারদের প্রয়োজন হয় ৬ রান। ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের নায়ক হওয়ার সুযোগ ছিলো তাসকিনের সামনে। তবে তিনিও পারেননি। শেষ পর্যন্ত পরাজয়ের স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশ দলকে।
আমেরিকার মাটিতে খেলা হলেও গ্যালারিতে বাংলাদেশের সমর্থকদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। বিদেশের মাটিতে এমন সমর্থনে দারুণ খুশি টাইগার অধিনায়ক শান্ত। তিনি আশা করেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজেও সমর্থকরা এভাবে দলকে সমর্থন দিবে।
ম্যাচ শেষে শান্ত বলেন, সবাই নার্ভাস ছিলো, কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যখন জাকের নেমেছিলো। বেশ কয়েক ম্যাচ ধরেই তানজিম সাকিব কঠোর পরিশ্রম করেছে। নতুন বলে আমাদের উইকেট নেয়া জরুরি ছিলো যেটা আজ তানজিম করে দিয়েছে। এই ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিলো, আমরা জয়ের কাছেও ছিলাম। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ কিছু ওভার দারুণ বল করেছে।
তিনি আরও বলেন, ক্রিকেটে এমনটা হতেই পারে। রিশাদ গত দুই ম্যাচেই দারুণ বোলিং করেছে। ১০-১৫ বছর ধরেই আমরা লেগস্পিনার শূন্যতা অনুভর করছিলাম। আশা করি রিশাদের ক্যারিয়ার দীর্ঘ হবে। আমরা যেখানেই খেলি না কেনো প্রচুর সমর্থন পায়, আশা করি ওয়েস্ট ইন্ডিজেও দর্শকদের সমর্থন পাবো।
এফএস