তদন্ত ও অপরাধ দমন কর্মকান্ড খুলনার রেঞ্জের মধ্যে আবারও সেরা হয়েছে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত। এ নিয়ে টানা ৪র্থ বারের শ্রেষ্ঠত্বের খেতাব পেলেন তিনি। এর মধ্যে বেনাপোল পোর্ট থানায় কর্মরত অবস্থায় তিনবার সন্মাননা স্মারক পেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১১ মে) সকালে এক সভায় ডিআইজি মঈনুল হকের কাছ থেকে ওই পুরস্কার নেন।
এছাড়াও গত ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ সেরা হওয়ায় পুরস্কার পান যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), নাভারণ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান, বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই লিখন কুমার সরকার, এএসআই আবুল বাশার, কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক, ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম এবং কাজী আব্দুল মান্নান। এছাড়া গ্রাম পুলিশ সদস্য হিসাবে শার্শার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের শাকিলা খাতুন সেরার পুরস্কার পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি কমান্ড্যান্ট নওরোজ হাসান তালুকদার, অতিরিক্ত ডিআইজি (এডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) নিজামুল হক মোল্লা, অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) জয়দেব চৌধুরী, অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন্স) হাসানুজ্জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
পোর্টথানা সূত্রে জানা যায়, ওসি সুমন ভক্ত ২০২৩ সালের শেষের দিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় যোগদান করার পর থেকে মাদক, সন্ত্রাসী দমন, অস্ত্র উদ্ধার, কমিউনিটি পুলিশিং, ওয়ারেন্ট তামিলকারী ও দাপ্তরিক বিভিন্ন কর্মকান্ড সুষ্ঠু ও নির্ভূলভাবে পালন করায় জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে মনোনীত হন।
এছাড়াও অপরাধ পরিসংখ্যান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অপরাধ নিবারণ, মামলা রুজু ও নিষ্পত্তি পর্যালোচনা এবং গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর মামলা সমূহের তদন্তের অগ্রগতিতে সাফল্য অর্জন করায় তাকে এ সন্মাননা প্রদান করা হয়।
সন্মাননা সনদ পেয়ে ওসি সুমন ভক্ত জানান, ‘শ্রেষ্ঠ ওসির পুরস্কার পাওয়ায় জনগণের হয়ে কাজ করার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। এই মর্যাদা যেন ধরে রাখতে পারি, সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জনে আরও উদ্যোগ নেব। থানায় এসে কোনো মানুষ যাতে বলতে না পারে পুলিশ খারাপ।
আগামীতে সেবার মান বাড়িয়ে পুলিশ এবং সেবা গ্রহিতার মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ার প্রত্যয়ে থানার সকল অফিসার-ফোর্সকে সততা, সাহসিকতা, আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সাথে সরকারি কর্তব্য পালন করার জন্য আহবান জানান তিনি।