দেবীগঞ্জে বিয়ের দাবিতে ওষুধ প্রশাসনে কর্মরত এক ব্যক্তির বাড়িতে অনশন করেছেন লিমা আক্তার নামে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে এক নারী। লিমা ঢাকার একটি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত আছেন। বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার তালেশ্বর ইউনিয়নে তার বাড়ি।
অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম খালেকুজ্জামান সৈকত। এলাকায় তিনি খালেক নামে পরিচিত। তিনি সম্প্রতি ড্রাগ সুপারিন্টেন্ডেন্ট হিসেবে ওষুধ প্রশাসন দফতরে যোগদান করেন। বর্তমানে লালমনিরহাটে কর্মরত আছেন তিনি। খালেকুজ্জামান সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের প্রধানের হাট এলাকার অফিত আলীর ছেলে।
শনিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় তিনি বিয়ের দাবিতে খালেকুজ্জামানের বাড়িতে আসেন।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ওই ব্যক্তির সাথে লিমার পরিচয় ফেসবুকে। খালেকুজ্জামান ঢাকায় চাকরির প্রস্তুতির জন্য অবস্থান করেছিলেন বেশ কয়েক মাস। সে সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে উঠে। এরই মধ্যে খালেকুজ্জামানের চাকরি হয় গত বছর অক্টোবরে। এই বছর ২৬ এপ্রিল বিসিএস পরীক্ষা দিতে ঢাকায় গেলে আবারো তারা একান্তে সময় কাটান। এইবার খালেকুজ্জামান লিমার স্মার্টফোন থেকে তাদের অন্তরঙ্গ ছবি ও পরস্পরের মধ্যে আদান-প্রদান হওয়া ম্যাসেজ ডিলিট করে দেন। ঢাকা থেকে ফেরার পর থেকে খালেকুজ্জামান লিমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন।
উপায়ন্তর না পেয়ে বাধ্য হয়ে খালেকুজ্জামানের বাড়িতে আসতে হয় বলে জানান লিমা।
এইদিকে লিমা গতকাল বাসায় আসার পরপরই খালেকুজ্জামান, তার বড় ভাই ও বাবা-মা সটকে পড়েন। গভীর রাত অবধি তারা বাসায় ফিরেননি। রাতে লিমার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পরে স্থানীয়রা সোনাহারে অন্য এক ব্যক্তির বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেন।
আজ (রবিবার) সারা দিন অপেক্ষা করেও খালেকুজ্জামান কিংবা তার পরিবারের কারো সাথে দেখা করতে পারেন নি লিমা। বাধ্য হয়ে স্থানীয়দের পরামর্শে সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিজ বাসা বরগুনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
এই বিষয়ে জানতে খালেকুজ্জামানের ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। অন্যদিকে খালেকুজ্জামানের বাবা অফিত আলীকে মুঠোফোনে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি কল কেটে দেন।
সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, এই ঘটনায় মেয়ে বা ছেলের পক্ষ থেকে কেউ কিছু জানায়নি আমাকে।
পিএম