মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রায় অধিকাংশ মুসলিম ধর্মাবলম্বী হওয়ায় তারা ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে দুই হাজারের বেশি গরু-ছাগল জবাই করা হবে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন দাতা সংস্থার (এনজিও) পক্ষ থেকে পাওয়া এসব পশু উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে পাঠানোর প্রক্রিয়াও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এর মধ্য ১ হাজার ৮০০টি গরু এবং ৪০০টি ছাগল রযেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরসি) মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা।
তিনি বলেন, ‘অন্য বছরের তুলনায় এবার ক্যাম্পগুলোতে কোরবানি পশু বরাদ্দ কমেছে। এবারে রোহিঙ্গাদের জন্য ২ হাজার ২০০টি কোরবানির পশু পাওয়া গেছে। এগুলো চাহিদার অনুযায়ী অপ্রতুল। তবে যেসব পশু পেয়েছি, সেগুলো একত্রিত করে যেখানে, যতটা দরকার পাঠানো হচ্ছে। এসব পশু জবাইয়ের পর মাঝিদের সহযোগিতায় ক্যাম্প ইনচার্জদের তত্ত্বাবধানে মাংস বণ্টন করা হবে।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, ‘বাংলাদেশে সোমবার পর্যন্ট সাতটি কোরবানির ঈদ পার করতে যাচ্ছি। আমরা মিয়ানমারে থাকা অবস্থায় ২-৩টি বড় গরু কোরবানি দিতাম। কিন্তু এখানে আসার পর সেই সুযোগ হয়নি।
তিনি বলেন, সাত বছর হতে চলছে। তবুও আমাদের কোনো কূল-কিনারা হচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের ঈদের আনন্দ বলতে কিছু নেই। আমরা ‘খোলা কারাগারে’ কষ্টের জীবনযাপন করছি। এরপরও আমাদের আশা, অন্তত আগামী বছর নিজ দেশে ঈদ উদযাপন করতে পারবো।
টেকনাফের জাদিমুড়া শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা বজলুল রহমান বলেন, আমার অধীনে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বসতি। এখানে সন্ধ্যার মধ্যে কোরবানির পশু পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এফএস