ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে পানিতে ভাসছে সিলেট। এতে ম্লান হয়ে গেছে মানুষের ঈদ আনন্দ। বৃষ্টিতে অনেকের বাড়িতে গলা থেকে কোমর পর্যন্ত পানি ওঠেছে। তারপরও অনেক জায়গায় বৃষ্টিতে ভিজে দেওয়া হচ্ছে কোরবানি। তবে বেশির ভাগ জায়গায় সম্ভব হয়নি। সেই কোরবানিগুলো দেওয়া হবে মঙ্গলবার, এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সোমবার ভোর থেকে ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সকালের মধ্যেই জেলার প্রায় সব উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এছাড়া সিলেট মহানগরের অধিকাংশ এলাকায় দেখা দিয়েছে বন্যা। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়ক তলিয়েছে পানিতে। এ অবস্থায় বেশিরভাগ ঈদগাহে ঈদুল আজহার জামাত বাতিল করে স্থানীয় মসজিদগুলোতে নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। সোমবার দেশের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। এদিন সিলেটে ভোর ৪টা থেকে শুরু হয় বর্ষণ; টানা চলে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর প্রধান প্রধান সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি ঢুকেছে অনেকের বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। শুকনা স্থান না পেয়ে অনেকেই কোরবানির গরু-ছাগল পানির মধ্যে বেঁধে রেখেছেন। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অবনতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। বন্যা আক্রান্তদের জন্য ইতোমধ্যে ৪৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আজ সকাল পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ, গোয়ানঘাট, কানাইঘাটসহ কয়েকটি উপজেলায় ১০ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন বলে জানা গেছে। এদিকে ভারী বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সকাল ৮টায় শাহী ঈদগাহে সিলেটে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর এই জামাতে লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নিলেও এবার ছিল ব্যতিক্রম। শুধু শাহী ঈদগাহ নয়, প্রতিটি মসজিদ ও ঈদগাহের অবস্থা ছিল একই। সকাল ৮টায় পুলিশ লাইন জামে মসজিদে পানি প্রবেশ করায় একাংশে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে মুসল্লিদের। একইভাবে মেজরটিলা, কদমতলী, বিমানবন্দর সড়ক, উপশহর, সুবহানিঘাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ঈদগাহ ও মসজিদে পানি প্রবেশ করায় নামাজ আদায়ে ব্যাঘাত ঘটে।