পঞ্চগড়ে পর্ণোগ্রাফি মামলায় সাবেক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এর আগে গত মার্চে আটোয়ারী থানায় ভুক্তভোগী নারী তার সাবেক স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধান আসামি করে পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন খরতৈল পূর্বপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ বুধবার (১০ জুলাই) র্যাব ১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সালমান নূর আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতার জাহাঙ্গীরের বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোল্লারহাট এলাকায় বাড়ি। সে ওই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী নারী গাজীপুরের টঙ্গীতে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। সেখানে পরিচয় হয় জাহাঙ্গীরের সাথে। এরপর প্রেমের সম্পর্ক থেকে ২০২২ সালের ২১ অক্টোবর বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর থেকে জাহাঙ্গীরের অত্যাচার শুরু হয়। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ভিকটিম ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ কাজীর মাধ্যমে জাহাঙ্গীরকে তালাক দেয়। বিষয়টি জানার পর ক্ষিপ্ত হন জাহাঙ্গীর। ৫ লাখ টাকা প্রদান না করলে ভুক্তভোগীর আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করার হুমকি দেয় জাহাঙ্গীর। বাধ্য হয়ে জাহাঙ্গীরকে ৩ লাখ ৭ হাজার টাকা প্রদান করে ভুক্তভোগী।
গত ১৬ মার্চ ভুক্তভোগী পুনরায় বিয়ে করেন। এরপর জাহাঙ্গীর ভুক্তভোগীর বর্তমান স্বামীকে ফোন করে ৩ লাখ টাকা দাবি করে নয়তো আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। কিন্তু তারা কোনো টাকা দিবে না জানানোর পর ১৯ মার্চ ফেসবুকে 'নীল আকাশের চাঁদ' নামে আইডি থেকে ভুক্তভোগীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে। পরে ভুক্তভোগী আটোয়ারী থানায় পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে জাহাঙ্গীর আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে গতকাল মঙ্গলবার র্যাব প্রযুক্তিগত ও গোয়ান্দা তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর থেকে জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে। জাহাঙ্গীরকে আটোয়ারী থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় র্যাব।
আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুসা মিয়া বলেন, এখনো র্যাবের পক্ষ থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।
এইচএ