কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বালারহাট বাজারের অটো স্টান্ড থেকে আদর্শ মোড় ও গরুরহাট থেকে মাদ্রাসা পর্যন্ত খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় চরম দূর্ভোগে রয়েছে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ঐত্যিবাহী বালারহাট বাজার সংলগ্ন নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান সড়কের অটো স্টান্ড থেকে আদর্শ মোড় ৫শ গজ ও বালারহাটের গরুহাটি থেকে নাওডাঙ্গা ডিএস দাখিল মাদ্রাসা ৪শ গজ পর্যন্ত দুই পাশের খানাখন্দ সড়কের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে খানাখন্দে দুই সড়কে জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল-কলেজের কমলমতি শিক্ষার্থীসহ হাজারও পথচারী।
বালারহাট আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও নাওডাঙ্গা ডিএস দাখিল মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী ওই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে ময়লা ও কাঁদা যুক্ত পানিতে পোশাক-আশাক ও বইপত্র ভিজে দুঘর্টনার কবলে পড়েন।
শিক্ষার্থীসহ শত-শত ভুক্তভোগী মানুষ বালারহাটের পশ্চিম ও পূর্ব পাশের ব্যস্ততম সুবিশাল সড়কে অসহনীয় দূর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে খানাখন্দ ভরা সড়ক দুইটি সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।
রাধা রাণী রায় ও মিষ্টি খাতুন নামে দুই শিক্ষার্থী জানান, ওই সড়ক দিয়ে যখন চলাচলা করি তখন খুবই ভয় লাগে। চলাচল করার সময় পাশ দিয়ে মোটরসাইকেল-অটোরিকশা গেলে কাঁদা-পানির ছিটে পোশাক পরিচ্ছেদ নষ্ট হয়ে যায়। খুব দূর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছি।
পথচারী আব্দুল সাত্তার ও আবুল কাসেম জানান, কি কই(বলে), বলে লাভ কি। আজ কতদিন ধরে সড়কের বেহাল অবস্থায় চলাচল করছি আজ পর্যন্ত এই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হলো না।
বালারহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান সরকার জানান, বালারহাট আদর্শ মোড় পর্যন্ত এই সড়কটি খুবই ঝুঁকির্পর্ণ। এই সড়কে শত-শত শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে যাতায়ত করেন। অনেক শিক্ষার্থীর পোশাক ও বইপত্র কাঁদা পানিতে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। তিনি এই দুই সড়ক অতি দ্রুত সময়ে সংস্কার করার দাবী জানান।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান, বালারহাট বাজারের দুই পাশের সড়কের অবস্থা খুবই করুন। সামন্য বৃষ্টি হলেই অবস্থা আর বেগতিক হয়ে যায়। এই সড়ক দুটি সংস্কারের জন্য বার বার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোন কাজ হয়নি বলে জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী মামুনুর রহমান জানান, বালারহাট সংলগ্ন বেহাল দশা সড়ক দুইটির বিষয়ে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশাকরি খুবই দ্রুত সময়ে বরাদ্দ আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
আরইউ