ভোলার লালমোহনে প্রেমিক কে না পেয়ে বিয়ের ৯ দিন পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নুপুর বেগম নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। বিনা ময়নাতদন্তে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোববার ( ১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের কুমারখালি গ্রামের সেলিম ব্যাপারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নুপুর ওই গ্রামের মো. সেলিম মিয়ার মেয়ে। এবং একই উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের মাদ্রাসা শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ছিলেন। সে দশম শ্রেণির মাদ্রাসার ছাত্রী ছিলেন।
পারিবার ও লালমোহন থানা পুলিশের সূত্রে জানা যায়, গত ৯ দিন আগে সাইফুল ইসলামের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় নুপুরের। বিয়ের ৭ দিন পর হঠাৎ উধাও হয়ে যায় নুপুর। খোঁজ নিয়ে পরিবার জানতে পারেন শান্ত নামের তারই এক ক্লাসমেটের সঙ্গে ঢাকায় পালিয়ে গিয়েছেন। শান্তর সাথে তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল বলে জানা যায়।
বিষয়টি পরিবার জানতে পেরে ঢাকায় গিয়ে প্রেমিক শান্তর কাছ থেকে তাকে বুজিয়ে শুনিয়ে রোববার সকালে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। ঢাকা থেকে আসার পর নুপুরকে তার চাচা বেল্লাল ঘরে দাদীর কাছে রাখেন। পরে সবাই যখন ঘরের কাজে ব্যস্ত হয়ে পরেন তখন সকলের অগোচরে চাচার ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন নুপুর।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এমআর