এইমাত্র
  • দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
  • স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
  • ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না বিএনপি
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়
  • ওসমান হাদির ওপর হামলার পর পানছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • আজ রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ‘সব শেষ’ ভাবা ১৩ শিক্ষার্থীর মুখে হাসি

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (কক্সবাজার) প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪১ পিএম
    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (কক্সবাজার) প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪১ পিএম

    ‘সব শেষ’ ভাবা ১৩ শিক্ষার্থীর মুখে হাসি

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (কক্সবাজার) প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪১ পিএম

    নানা প্রতিকূলতা, চোখের জল আর হতাশা কাটিয়ে অবশেষে আবারও কলম হাতে নিতে যাচ্ছে কক্সবাজারের উখিয়ার ১৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী। প্রবেশপত্র না পেয়ে প্রথম পরীক্ষায় বসতে না পারা হলদিয়াপালং আদর্শ বিদ্যাপীঠের এই শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের বিশেষ ব্যবস্থায় দ্বিতীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।

    শুরুতে কেউ ভাবতেও পারেনি, তাদের মতো প্রস্তুত শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে অংশ নিতে পারবে না। প্রবেশপত্র না পেয়ে হতভম্ব হয়ে পড়া এই কিশোর-কিশোরীদের কান্না ছুঁয়ে গিয়েছিল পুরো উপজেলা জুড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা আবার আশার আলো দেখতে পাচ্ছে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি বলেন, “বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য চট্টগ্রাম বোর্ডের মাধ্যমে ফরম পূরণসহ সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রবেশপত্র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পরীক্ষা থেকেই তারা অংশ নিতে পারবে।”

    এই খবরে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে শিক্ষার্থীরা। একজন পরীক্ষার্থী জানায়,

    “যখন সবাই পরীক্ষা দিচ্ছে, আমরা স্কুল গেইটের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। মনে হচ্ছিল জীবন থেমে গেল। এখন আবার কলম হাতে নিতে পারবো ভেবে বুক ভরে গেছে।”

    অন্য একজন বলে, “যারা আমাদের এই পরিস্থিতিতে ফেলেছে, তারা যেন কখনো অন্য কোনো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ভাঙতে না পারে। আমাদের জীবনের এই দাগ কোনোদিন মুছে যাবে না।”

    শিক্ষার্থীদের সাথে সাথে অভিভাবকরাও কিছুটা স্বস্তি পেলেও ক্ষোভ এখনও রয়ে গেছে। একজন অভিভাবক বলেন, “আমার সন্তান বছরের পর বছর ধরে স্বপ্ন দেখেছে এই পরীক্ষার জন্য। সেই স্বপ্ন একজন প্রধান শিক্ষকের অবহেলায় মুছে যেতে বসেছিল। এর কঠোর বিচার চাই।”

    গত ১০ এপ্রিল শুরু হওয়া ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে প্রবেশপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষায় বসতে পারেনি ১৩ জন শিক্ষার্থী। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে সৃষ্টি হয় এই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা প্রতিবাদে ফেটে পড়ে—সড়ক অবরোধ ও বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ-ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। পরে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইউনুসকে আটক করে প্রশাসন।

    তবে আপাতত, ১৩টি মন ভাঙা থেকে জোড়া লেগেছে, ১৩টি হাতে ফিরেছে স্বপ্নের কলম। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তারা আবার ফিরছে পরীক্ষার টেবিলে—এটাই এই মুহূর্তে সবার জন্য সবচেয়ে বড় স্বস্তির খবর।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…