মামুনুর রশীদ একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের মঞ্চ আন্দোলনের পথিকৃৎ। তার নাট্যকর্মে প্রখর সমাজ সচেতনতা লক্ষণীয়। শ্রেণীসংগ্রাম তার নাটকের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু। তিনি টিভির জন্যেও অসংখ্য নাটক লিখেছেন এবং অভিনয় করেছেন।
বিভিন্ন সামাজিক ইস্যূ নিয়ে, শ্রেণীসংগ্রাম, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা অধিকার আদায়ের নানা আন্দোলন নিয়ে নাটক রচনা ও পরিবেশনা করে বাংলাদেশের নাট্য জগতে আলাদা স্থান করে নিয়েছেন। নাট্যকলায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১২ সালে তিনি একুশে পদকে ভুষিত হন। ১৯৮২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেলেও স্বৈরশাসনের প্রতিবাদ স্বরূপ তিনি পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করেন।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে বরেণ্য নাট্যজন মামুনুর রশীদ রুচির দুর্ভিক্ষের কথা উল্লেখ্য করেন। একই অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ওয়েব সিরিজগুলোতে সেক্স ,ভায়োলেন্স ছাড়া কিছু দেখা যায় না।
বর্তমান নাটক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনকার নাটকে মা-বাবা থাকে না। বয়স্ক লোকেরা থাকে না। এই নাটক বানায় কারা? এই যে ইউটিউবিং অবাধ যে অশ্লীলতার একটা জোয়ার চলছে এগুলো বানায় কারা? তার মানে আমাদের সংস্কৃতিটা ঠিক জায়গায় নাই! কিন্তু যদু সংস্কৃতিটা ঠিক না করা যায় তাহলে এগুলো ব্যবহার করবে কারা?
ইউটিউব, ওয়েব সিরিজ বর্তমান সময়ের বেশ জনপ্রিয়তা পেলেও সেগুলোতে যৌনতা, ভায়োলেন্স ছাড়া কিছু নেই বলে মনে করেই গুণী এই নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক। তিনি বলেন, বর্তমান ইউটিউব, ওয়েব সিরিজ অবাধ ভাবে হচ্ছে। ওয়েব সিরিজগুলোতে সেক্স ভায়োলেন্স ছাড়া কিছু দেখা যায় না।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে মামুনুর রশীদ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে টেলিভিশনের জন্য নাটক লিখতে শুরু করেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং জড়িত হন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে।
আরআইআর