কিশোরগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে।
দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকাল (বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রেখে) এ কর্মবিরতি চলবে বলে হুশিয়ারি দেন।
রোববার (৫ মে) সকাল থেকে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি প্রাঙ্গণে দাবির স্বপক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
“বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়, বৈষম্যের স্থান নাই; বৈষম্য নিপাত যাক, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মুক্তি পাক” স্লোগানে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দুই ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মো. ওয়ালিউর রহমান, এজিএম রাগিব আল হাসান. এজিএম নাঈম প্রমুখ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদমর্যাদা (সরকার ঘোষিত গ্রেডিং ১-২০) ৬ মাস পিছিয়ে পে-স্কেল ও ৫% বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, এপিও বোনাস সমহারে না দেওয়া, লাইনম্যানদের নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও কাজের জন্য প্রয়োজনীয় লাইনম্যান এবং বিলিং সহকারী পদায়ন না করা, যথাসময়ে পদন্নোতি না করা লাইনক্রু লেভেল-১ ও মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক), বিলিং সহকারী (কানামুনা) চাকরি নিয়মিত না করা, স্মারকলিপিতে অংশগ্রহণ করায় ভোলা পবিস-এর এজিএম (আইটি) ও এজিএম (অর্থ)-কে সাময়িক বরখাস্ত, সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর ডিজিএম (কারিগরি) ও এজিএম (আইটি)-কে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে সংযুক্ত করায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ ও আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে পবিস-এ অভিন্ন চাকুরীবিধি বাস্তবায়নের জন্য এ কর্মবিরতি শুরু করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দেশের প্রায় ৪ কোটি গ্রাহককে (৮০ শতাংশ) বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বিআরইবি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এসব সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিনিয়ত নানান বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ, পদবী, পদোন্নতি, বেতন গ্রেড, সাপ্তাহিক ছুটি, একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে নিয়মিত এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, লোকবলের স্বল্পতাসহ সব ক্ষেত্রেই বৈষম্যের শিকার সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসব বৈষম্যের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বরং এসব ন্যায়সংগত অধিকারের কথা বললেই নানাভানে হয়রানি করা হয়।
দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকাল (বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রেখে) এ কর্মবিরতি চলবে বলে কর্মসূচি থেকে জানানো হয়।
এমআর