এইমাত্র
  • পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন বাবর আলী
  • গোপালগ‌ঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষকসহ নিহত চার
  • বড় ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে এসে কিশোরীর আত্মহত্যা
  • শরীয়তপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা, আহত ১০
  • ঢাকাসহ ১০ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস
  • আজ থেকে মাঠে নামছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী
  • ইরানে এক ইহুদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে
  • ১২ সেকেন্ডের তেলেসমাতিতে ৩০০ কোটি টাকা চুরি
  • আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম
  • ঝিনাইদহ-১ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী নায়েব আলী
  • আজ রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪
    ধর্ম ও জীবন

    কোরআনের বিধানে যাঁরা মানবজাতির আদর্শ

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৬ মে ২০২৪, ১০:২০ এএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৬ মে ২০২৪, ১০:২০ এএম

    কোরআনের বিধানে যাঁরা মানবজাতির আদর্শ

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৬ মে ২০২৪, ১০:২০ এএম

    আল্লাহ মানুষ সৃষ্টির প্রথম দিন থেকেই তাকে অনন্য জ্ঞান ও মর্যাদায় ভূষিত করেছেন। এই জন্যই বলা হয় মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। তবে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হলেও কিন্তু এর মাঝেই ভালো ও মন্দ উভয় শ্রেণির মানুষ বিদ্যমান রয়েছে।

    আমাদের এই সমাজের মাঝেই বিচিত্র স্বভাব ও বৈশিষ্ট্যের মানুষ বসবাস করে। তাদের মাঝে কেউ কেউ আবার আল্লাহর সৃষ্টি এই ভূমণ্ডল ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর কেউ আবার কল্যাণকর। যারা উত্তম চরিত্র ও গুণাবলির অধিকারী তারা মানবজাতির জন্য আদর্শ ও অনুসরণীয়। আর যাদের স্বভাব-চরিত্র মন্দ তারা পরিহারযোগ্য।

    পবিত্র কোরআনে আল্লাহ উভয় শ্রেণির মানুষের বর্ণনা দিয়েছেন; যেন মানুষ ভালোদের অনুসরণ এবং মন্দদের থেকে দূরে থাকতে পারে। আল্লাহর ইছায় যুগে যুগে বহু নবী-রাসুল দুনিয়াতে এসেছেন মানবজাতিকে হেদায়েত ও সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য। তাঁরাই মানবজাতির জন্য শ্রেষ্ঠ সন্তান এবং আদর্শ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাঁদের অনুসরণের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করেছেন, সুতরাং তুমি তাদের পথের অনুসরণ কোরো। বলো, এর জন্য আমি তোমাদের কাছে পারিশ্রমিক চাই না, তা তো শুধু বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৯০)

    এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই, সব নবী-রাসুল (আ.) মানবজাতির জন্য আদর্শ ও অনুসরণীয় ছিলেন। তবে আল্লাহ আমাদের শেষ নবী রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে সর্বোত্তম পুরুষ হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালকে ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে আছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ২১) আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, আয়াতটি কথা, কাজ ও অবস্থার ক্ষেত্রে নবীজি (সা.)-এর আনুগত্য বিষয়ে শরিয়তের বড় একটি মূলনীতি।

    সুরা আহজাবের ২১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালকে ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে’ বাক্য যুক্ত করেছেন। যার দ্বারা বোঝা যায়, নবীজি (সা.)-এর অনুসরণ করা মুমিনের ঈমানের দাবি। তবে কারো ঈমান যদি দুর্বল হয় এবং রাসুল (সা.)-এর প্রতি তাঁর ভালোবাসা দুর্বল হয়, তবে তার প্রতি আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘বলো, আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রাসুলের আনুগত্য করো।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৫৪)

    আল্লাহ পবিত্র কোরআনে আদর্শ মানুষ তথা নবী-রাসুলদের পরিচয় তুলে ধরেছেন, তাঁদের আনুগত্যের নির্দেশ দিয়েছেন এবং অনুগতদের জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর অবাধ্যতা থেকে সাবধান থাকে তারাই সফলকাম।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৫২)

    সাধারণ অবস্থায় মানবজাতির জন্য আদর্শ মহানবী (সা.)-এর আনুগত্য করা। এটা ঐচ্ছিক নয়, আবশ্যিক। কেননা আল্লাহ তাঁর নবীর অনুগত্যকে নিজের আনুগত্য বলে ঘোষণা করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ রাসুলের আনুগত্য করলে সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিলে তোমাকে তাদের ওপর তত্ত্বাবধায়ক প্রেরণ করি নাই।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৮০) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে আমার আনুগত্য করল সে আল্লাহরই আনুগত্য করল এবং যে আমার অবাধ্য হলো সে আল্লাহরই অবাধ্য হলো। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৩৭)

    একজন মুমিন, যিনি তাঁর ঈমান ও ইসলামের ক্ষেত্রে যত্নশীল, তিনি দেশ, জাতি ও সমাজের জন্য আদর্শ। আদর্শ হিসেবে তাঁরা নবী-রাসুলদের সঙ্গে তুল্য নন, তবে তাঁদের ভেতর থেকেও যে আল্লাহ অনুসরণীয় মানুষ তৈরি করেন তা নিম্নোক্ত আয়াত দ্বারা বোঝা যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং স্মরণ করো, যখন ইবরাহিমকে তার প্রতিপালক কয়েকটি কথা দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন এবং সেগুলো সে পূর্ণ করেছিল। আল্লাহ বললেন, আমি তোমাকে মানবজাতির নেতা করেছি। সে বলল, আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও? আল্লাহ বললেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালিমদের জন্য প্রযোজ্য নয়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৪)

    মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে মানবজাতির জন্য অনুসরণীয় হওয়ার দোয়া শিখিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করো, যারা হবে আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে করো মুত্তাকিদের জন্য অনুসরণযোগ্য।’ (সুরা : ফোরকান, আয়াত : ৭৪)

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…