রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আবির্ভূত একজন প্রথিতযশা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। তার পরিচয়ের গণ্ডি শুধু নিজ দেশ নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও তিনি ব্যাপকভাবে সমাদৃত। এবার সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য গত ২২ এপ্রিল ভারত সরকার বাংলাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে, ভারতের মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা প্রদান করে। এ পুরস্কার প্রাপ্তির পর দেশে এবার খ্যাতিমান এ শিল্পীকে সংবর্ধনা দিয়েছে রাবেয়া খাতুন ফাউন্ডেশন।
রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ক্রিস্টাল বলরুমে এ সংবর্ধনা গ্রহন করেন বন্যা। অনুষ্ঠানের শুরুতে চ্যানেল আইয়ের পক্ষে বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান ফরিদুর রেজা সাগর ও শাইখ সিরাজ। এছাড়াও সেখানে রাবেয়া খাতুন ফাউন্ডেশনের সভাপতি আমীরুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ সামাদ, মাত্রা পরিবারসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, মাহ্ফুজ আনাম, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, শাহীন সামাদ, রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান প্রমুখ। বক্তারা রেজওয়ানা চৌধুরীর এ অর্জনকে বাংলাদেশের অর্জন বলে অভিহিত করেন।
১৯৫৭ সালের ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশের রংপুর জেলায় এক উপাধ্যক্ষ্যের পরিবারে এ গুণী শিল্পী জন্মগ্রহণ করেন।অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন বন্যা। সঙ্গীত ভুবনে তার পড়াশুনা বিস্তর। তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের উপর শিক্ষা লাভ করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় রেজওয়ানা বন্যা ‘ছায়ানট’ ও পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
এর আগে নিজ দেশে সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে কাজের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রেজওয়ান চৌধুরী বন্যা ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার সম্মাননা পেয়েছেন। এরপর ২০১৭ সালে ভারত সরকার তাকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘বঙ্গভূষণ’ পদক দিয়েও সম্মানিত করে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ট্রাস্ট ফান্ড’ কতৃক প্রদত্ত ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ও পুরস্কার ২০১৭’ পেয়েছেন এই প্রখ্যাত এই রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী।