এইমাত্র
  • দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার
  • ফেনীতে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কলেজ ছাত্র মাহাদীর
  • একজন আদর্শ স্বামীর গুণাবলী
  • চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন ৪৬ শতাংশ মানুষ
  • নতুন রেকর্ড গড়লেন ফারহান
  • বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে
  • পাকিস্তানে ট্রাক খাদে পড়ে একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
  • নরসিংদীতে পুকুরে মিলল নারীর মরদেহ
  • আর ভিডিও বানাবে না পাকিস্তানি খুদে ভ্লগার সিরাজ
  • কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশা চালকরা
  • আজ রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪
    আপনার স্বাস্থ্য

    সন্তান দুরন্ত নাকি মানসিকভাবে অসুস্থ!

    স্বাস্থ্য ডেস্ক প্রকাশ: ৭ মে ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম
    স্বাস্থ্য ডেস্ক প্রকাশ: ৭ মে ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম

    সন্তান দুরন্ত নাকি মানসিকভাবে অসুস্থ!

    স্বাস্থ্য ডেস্ক প্রকাশ: ৭ মে ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম

    শিশুরা দুরন্ত হবে এটাই স্বাভাবিক তবে অনেক ক্ষেত্রে আমরা ভালো করে খেয়াল করলে দেখবো যে, কিছু বাচ্চা আছে যাদের দুষ্টুমি বা দুরন্তপনা স্বাভাবিকের চেয়েও মাত্রাতিরিক্ত। এসব শিশু অনেক সময় আবার খেলার ছলে ঘরের জিনিস পত্র ভেঙে ফেলে। এমনকি আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বাড়িতে বেড়াতে এলে অনেক ক্ষেত্রে তাদের আচারণ, তাদেরকে আতঙ্কিত করে। এছাড়াও এই সব শিশুদের নিয়ে কোথাও বেড়াতে গেলেও হয় একই অবস্থা।

    শিশুদের এমন প্রতিনিয়ত রাগান্বিত বা আক্রমণাত্মক আচরণ কিন্তু বাবা মা এর জন্য মোটেও স্বাভাবিক বা সুখকর নয়। তাদের এই আবেগের বহিঃপ্রকাশ যদি বাড়ির বাইরে হয় তাহলে এর পরিণতি ওই শিশুর জন্য আরো গুরুতর হতে পারে। সেক্ষেত্রে কিভাবে বুঝবেন যে, আপনার সন্তান কেবল "দুষ্টু" নাকি তার এই অস্থির আচরণের পেছনে মানসিক অসুস্থতাই মূল কারণ?

    এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে যুক্তরাজ্যের মেন্টাল হেলথ ফাউন্ডেশন সম্প্রতি ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী এক হাজার ৩২৩ জনের ওপর জরিপ পরিচালনা করে। সেখান থেকে জানা যায়, শিশুদের আচরণ তখনই পরিবর্তন হয় যখন তারা দুশ্চিন্তা বা মন খারাপের মধ্যে থাকে।

    জরিপে অংশগ্রহণকারী এক চতুর্থাংশের দাবি, তারা যখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে বা মন খারাপ থাকে তখন তারা মারামারি বা ঝগড়াঝাঁটিতে জড়িয়ে পড়ে।

    বাকি আরো এক চতুর্থাংশ বলেছে মানসিক চাপে থাকলে তাদের হোমওয়ার্ক করাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। যেসব শিশু সহজেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। তাদের জন্য যেকোনো নতুন, অপরিচিত, কঠিন বা চাপযুক্ত জায়গা সম্ভাব্য হুমকি হিসাবে বিবেচিত হবে।

    যখন শিশুরা মানসিক চাপে থাকে বা কোনো হুমকি অনুভব করে, তখন তাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে হরমোন এবং অ্যাড্রেনালিনের সৃষ্টি হয়। যার কারণে তাদের শরীর শক্তিশালী, দ্রুতগামী ও ক্ষমতাবান হয়ে ওঠে এবং তারা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। যাকে Attention Deficit Hyper Active Disorder বা সংক্ষেপে ADHD বলা হয়। সাধারণত তিন থেকে সাত বছরের শিশুদেরই রোগের এর বহিঃপ্রকাশ ঘটতে দেখা যায়। তবে ছেলে শিশুরা মেয়ে শিশুদের তুলনায় সাধারণত বেশি আক্রান্ত হয়।

    অনেক বাবা-মা এই দুরন্তপনার ব্যাপারটি লক্ষ্য করতে চান না। তাদের কাছে এটা যেন শিশুর স্বাভাবিক ব্যবহারের অংশ। কিন্তু এই সকল ক্ষেত্রে অভিভাবকদের পজেটিভ প্যারেন্টিং অনেক ভালো কাজ করে। সেক্ষেত্রে আপনার সন্তানের দিকে অধিক মনোযোগ দিন এবং সে কেন এই ধরনের আচরণ করছে সেটা বুঝে, তা সমাধানের চেষ্টা করুন। তবে আপনার বাচ্চা যদি অতিরিক্ত জেদী, একগুঁয়ে ও অবাধ্য আচরণ করে এবং তা আপনি সামলাতে না পারেন, এক্ষেত্রে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে পারেন।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…