এইমাত্র
  • হাদি হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার
  • চট্টগ্রামে ঝুটের গুদামে ভয়াবহ আগুন
  • আজ মহান বিজয় দিবস
  • বিএনপির ৪ নেতা সুখবর পেলেন
  • ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
  • দেশের বাজারে আবার বাড়ল সোনার দাম
  • হাদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি
  • ইংল্যান্ড মাতাচ্ছেন আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ফুটবলার
  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ভবনে তালা, শিক্ষকরা অবরুদ্ধ
  • ভোলায় বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ২০
  • আজ মঙ্গলবার, ২ পৌষ, ১৪৩২ | ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ওয়েবসাইটে এখনও শেখ হাসিনার ছবি!

    স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সময়ের কণ্ঠস্বর প্রকাশ: ২ জুন ২০২৫, ১০:০৪ পিএম
    স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সময়ের কণ্ঠস্বর প্রকাশ: ২ জুন ২০২৫, ১০:০৪ পিএম

    টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ওয়েবসাইটে এখনও শেখ হাসিনার ছবি!

    স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সময়ের কণ্ঠস্বর প্রকাশ: ২ জুন ২০২৫, ১০:০৪ পিএম

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ১০ মাস পরও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ওয়েবসাইটে এখনো সগর্বে শোভা পাচ্ছে শেখ হাসিনার হাসিমাখা জনসমাবেশের ছবি। বিষয়টি নিয়ে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। স্থানীয় বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এতদিনেও কেন ওয়েবসাইট হালনাগাদ হয়নি, সেই প্রশ্ন উঠেছে সবার মনে।

    সোমবার (০২ জুন) রাত ৮টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, টাঙ্গাইলের (https://hospital.tangail.gov.bd/) সরকারি তথ্য বাতায়ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেখা যায়, ওয়েবসাইটটি সর্বশেষ হালনাগাদ করা হয়েছিল ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট—অর্থাৎ আওয়ামী সরকারের পতনের পাঁচ দিন পর। অথচ রহস্যজনকভাবে ওয়েবসাইটের কভার ফটোতে এখনও দিল্লিতে নির্বাসিত শেখ হাসিনার জনসভার ছবি রয়ে গেছে।

    এদিকে চলতি বছরের এপ্রিলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দেশের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার ওয়েবসাইট হালনাগাদ করার নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশনাও উপেক্ষা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক জেলার গোপালপুর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি ২০২১ সালের ১০ মার্চ এ হাসপাতালে যোগদান করেন এবং এখনও একই পদে রয়েছেন, যা বিষয়টিকে আরও রহস্যজনক করে তুলেছে।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইলের সমন্বয়ক আল-আমিন বলেন, 'আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে, জেনারেল হাসপাতালে এখনও ফ্যাসিস্টের কোনো দোসর রয়ে গেছে কিনা বা কার ইন্ধনে এই কাজটা হয়েছে। ১০ মাস শেখ হাসিনার ছবি কীভাবে টিকে থাকলো—এটি আমাদের দেখতে হবে। এটি অবশ্যই তদন্তের বিষয়। যে বা যার নির্দেশে এই ওয়েবসাইটের হালনাগাদ এতদিনেও করা হয়নি, তাদের খুঁজে বের করতে হবে।'

    টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, '৫ আগস্টের পর কোনো জায়গাতেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার কোনো চিহ্ন বা তার দোসরদের কোনো চিহ্ন থাকার কথা নয়। কিন্তু টাঙ্গাইলে এখনও এটার মধ্যে আছে—এটা আমার জানা ছিল না। যেহেতু জানলাম, আমরাও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করব।'

    জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, '১০ মাস পরও হাসপাতালের ওয়েবসাইটে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ছবি থাকাটা নিন্দনীয় ও রহস্যজনক। এর তদন্ত হওয়া উচিত এবং যাদের অবহেলায় এটি হয়েছে, তাদের অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত।'

    এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. ফরাজী মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মঞ্জুর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি হাসপাতালের উপ-পরিচালকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

    হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপপরিচালক) ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান মুঠোফোনে সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, 'এখনও শেখ হাসিনার ছবি জাতীয় তথ্য বাতায়নে থাকাটা আমার ভুল হয়েছে। আমি এখনই জানিয়ে দিচ্ছি যেন ওটা ওই স্থানে আর না থাকে।'

    এসকে/আরআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…