আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের চার শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর আর্থিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া। নারী ও মেয়েদের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির কারণেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চার তালেবান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এরা হলেন, নৈতিকতা ও শিষ্টাচারবিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মদ খালিদ হানাফি, উচ্চশিক্ষামন্ত্রী নেদা মোহাম্মদ নাদিম, আইনমন্ত্রী আবদুল-হাকিম শরঈ এবং প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানি।
পেনি ওং বলেন, নারী-শিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা, কর্মসংস্থান ও চলাচলের স্বাধীনতা হ্রাস, এবং জনজীবনে নারীদের অংশগ্রহণ সীমিত করার মতো পদক্ষেপে সম্পৃক্ততার কারণে এই কর্মকর্তারা নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছেন।
এর আগে, জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) প্রধান বিচারপতি হাক্কানি এবং তালেবান সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার বিরুদ্ধে নারীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র–নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর প্রত্যাহারের পর ক্ষমতায় ফিরে আফগানিস্তানের নারী ও কন্যাশিশুর ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে তালেবান সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, কর্মস্থলে নিয়োগে বাধা এবং শিক্ষাবঞ্চিত হয়ে ১.৪ মিলিয়ন মেয়েশিশুর ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মানবাধিকার ও অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানে নারীরা শ্রমবাজার থেকে বাদ পড়ায় দারিদ্র্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশাল জনগোষ্ঠী এখন মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
পেনি ওং বলেন, এমন পরিস্থিতির মধ্যেও অস্ট্রেলিয়া মানবিক সহায়তা চলমান রাখবে। এজন্য নতুন নিষেধাজ্ঞা কাঠামোতে ‘হিউম্যানিটারিয়ান পারমিট’ রাখা হয়েছে।
আরডি