তীব্র শীত উপেক্ষা করে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে ৩শ ফিট এলাকা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে গণসংবর্ধনার আয়োজন করছে দলটি। রাজধানীর ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেস ওয়ে অর্থাৎ ৩০০ ফিট এলাকায় এ আয়োজনের প্রস্তুতি হিসেবে মঞ্চ তৈরির কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। সংবর্ধনাস্থল জনতার স্রোতে পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরেই পরিপূর্ণ হয়েছে মঞ্চ এলাকা। অনেক নেতাকর্মী খোলা আকাশের নিচেই রাত কাটিয়েছেন। এখনো বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা আসছেন।
প্রায় ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে তুলতে এবং রাজকীয় সংবর্ধনা দিতে এ মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে।
তার আগমন উপলক্ষে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা সংবর্ধনাস্থলে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। স্লোগান, প্ল্যাকার্ড ও উচ্ছ্বাসে পুরো মঞ্চ এলাকাকে উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত করেছে।
বুধবার সকাল থেকেই মঞ্চের শেষ মুহূর্তের কাজ ও সজ্জার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যানার, পতাকা, তোরণ ও আলোকসজ্জায় সাজানো মঞ্চ এলাকা পরিদর্শনে নেতাকর্মীরা হাজির হচ্ছেন। অনেকেই আগের রাত থেকেই অবস্থান নিয়েছেন।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মঞ্চ ও আশেপাশের এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টিমও টহল দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সমন্বিতভাবে কাজ চলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্বরোড মোড় থেকে পূর্বাচলমুখী সড়কের উত্তর অংশে দক্ষিণমুখী করে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছে ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুটের বিশাল মঞ্চ। এখন অপেক্ষা শুধু তারেক রহমানের আগমনের।
আরও দেখা গেছে, ৪৮ বাই ৩৬ ফিট আকারের বিশাল মঞ্চে বসানো হয়েছে এলইডি স্কিন। সেখানে বাংলাদেশে জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবির ওপর লেখা রয়েছে ‘তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’। এছাড়া নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মঞ্চে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিরাপত্তায় নিজস্ব বিশেষ সিকিউরিটি টিমের সদস্যরা।
সাধারণ মানুষের মধ্যেও তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। পূর্বাচল, কুড়িল, এয়ারপোর্ট এলাকার বাসিন্দারাও সন্তানদের নিয়েও মঞ্চ দেখতে আসেন।
ইখা