রাজবাড়ীর পাংশায় স্থানীয়দের হাতে গণপিটুনিতে সম্রাট বাহিনীর প্রধান অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট (২৯) নামের এক সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার ঘটানা ঘটেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মো. সেলিম নামে তার এক সহযোগীকে দুইটি অন্ত্রসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মঈনুল ইসলাম।
নিহত সম্রাট কলিমহর ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা গ্রামে মৃত অক্ষয় মন্ডের ছেলে এবং আটক মো. সেলিম শেখ একই ইউনিয়নের বসা-কুষ্টিয়া গ্রামের মো. ইসলাম শেখের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্রাট তার নিজ নামে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় ও আশপাশে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি করে আসছিলো। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভারতে পালিয়ে থেকেও তার বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় হামলা ভাঙচুর ও চাঁদাবাজী করে। দীর্ঘদিন ভারতে পলাতক থাকার পর সম্প্রতি সে নিজ এলাকায় ফিরে আসে এবং কয়েকদিন আগে হোসেনডাঙ্গা পুরাতন বাজার এলাকার শহীদ শেখের বাড়িতে গিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বুধবার রাতে সম্রাট তার সহযোগীদের নিয়ে আবারও ওই বাড়িতে যায়। পরে তারা লোকজন ‘ডাকাত, ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করে। এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এসে সম্রাটকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় তার সহযোগী সেলিমকে দুইটি অস্ত্রসহ ধরে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। তাকেও গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শহীদ শেখ ও তার পরিবারের সদস্যরা কিছু বলেতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার বলেন, সম্রাট কলিমহর ইউনিয়নের শহীদ শেখের কাছে ইতিপূর্বে চাদা দাবি করেছিলেন। বুধবার রাত ১১টার দিকে সেই বাদিকৃত টাকা নিতে গিয়ে শহীদ শেখকে বাড়িতে পায়নি। এ সময় তার ছেলেকে মারপিট করে। শহীদ শেকের বাড়ীর লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি করলে এলাকার লোকজন এসে সম্রাটকে গণপিটুনি দেয় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, চাঁদাবাজীসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনার সময় তার সহযোগী সেলিমকেও গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে একটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটার গানসহ সেলিমকে আটক করে পুলিশ। নিহত সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। আটককৃত সেলিম পুলিশি হেফাজতে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এসআর