পৌষের শুরুতেই তীব্র শীতের দাপটে কাঁপছে সমগ্র কুড়িগ্রাম জেলা। টানা তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। শীতের তীব্রতায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
গত চার দিন ধরে জেলায় সূর্যের দেখা মিলছে না। দিনের বেলাতেও হিমেল বাতাস ও কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। তীব্র শীতের কারণে অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না।
সবচেয়ে বেশি শীতকষ্টে পড়েছেন জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের অতি দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে এসব এলাকার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৮-৯টা পর্যন্ত চারদিক ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে। কুয়াশার ঘনত্ব বেশি থাকায় সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে, এতে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে।
বয়বৃদ্ধ মমেনা বেগম বলেন, এমন শীত যা বৃষ্টির মত পড়ছে সাথে ঠান্ডা বাতাস যা সহ্য করার মত না। হাত পা বরফ হয়ে আসছে।
কৃষক আবু বকর বলেন, যে ঠান্ডা পড়েছে তাতে বীজতলার অনেক ক্ষতি হতে পারে।
একটি কম্বলের আকুতি জানিয়ে ছকিনা বেগম বলেন, ঠান্ডা নিবারনের জন্য যথেষ্ট কাপড় নেই আমার। যদি কেউ একটা কম্বল বা গরম কাপড় দিতো খুব উপকার হতো।
’সময়ের কন্ঠস্বরের মাধ্যমে কুড়িগ্রামের শীতার্ত অসহায় মানুষজনের পাশে দাড়াতে চাইলে যোগাযোগ- ০১৭১৩২০০০৯১।
এফএস